খালেদা জিয়াকে দেখতে হাসপাতালে প্রধান উপদেষ্টা
Published: 3rd, December 2025 GMT
গুরুতর অসুস্থ বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে দেখতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে গেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এভারকেয়ার হাসপাতালে পৌঁছান প্রধান উপদেষ্টা।
স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ২৩ নভেম্বর এভারকেয়ারে ভর্তি করা হয় বেগম খালেদা জিয়াকে। দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে সেখানে চিকিৎসাসেবা নিচ্ছেন তিনি।
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা বিষয়ে গতকাল বিএনপির পক্ষ থেকে সর্বশেষ ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, তিনি চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারছেন। প্রয়োজন হলে তাকে বিদেশে নেওয়া হবে।
ঢাকা/রায়হান/রফিক
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
গ্লোবাল সোর্সিং এক্সপোতে তিন লাখ ডলারের ক্রয়াদেশ
বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো আয়োজিত তিন দিনের গ্লোবাল সোর্সিং এক্সপোতে ৩ লাখ ১১ হাজার মার্কিন ডলারের ক্রয়াদেশ পেয়েছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। এ ছাড়া ৩ লাখ ৭২ হাজার ডলারের ক্রয়াদেশের প্রস্তাব পেয়েছেন রপ্তানিকারকেরা।
ঢাকার পূর্বাচলে বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে আজ বুধবার আয়োজিত সমাপনী অনুষ্ঠানে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ হাসান আরিফ এ কথা জানান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ইপিবির মহাপরিচালক বেবী রানী কর্মকার। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি ফজলে শামীম এহসান, ফার্নিচার মালিক সমিতির চেয়ারম্যান সেলিম এইচ রহমান, বিপিজিএমইএর সভাপতি শামীম আহমেদ। ইপিবির পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হাসান আরিফ বলেন, খুব অল্প সময়ের প্রস্তুতিতে সোর্সিং এক্সপো আয়োজন করতে হয়েছে। ফলে এ বছর অনেক সীমাবদ্ধতা ছিল। আন্তর্জাতিক মানের এই সোর্সিং এক্সপো ভবিষ্যতে নিয়মিতভাবে আয়োজন করা হবে।
বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের রপ্তানি সম্ভাবনা তুলে ধরতে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যৌথ আয়োজনে গ্লোবাল সোর্সিং এক্সপো শুরু হয় গত সোমবার। এতে বাংলাদেশের আটটি গুরুত্বপূর্ণ রপ্তানি খাতের পণ্য প্রদর্শন করা হয়। খাতগুলো হচ্ছে তৈরি পোশাক, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, কৃষিজাত পণ্য, প্লাস্টিক ও কিচেনওয়্যার, হোম ডেকর ও ফার্নিচার, ওষুধ ও তথ্যপ্রযুক্তি (আইসিটি)।
ইপিবি জানায়, প্রদর্শনীতে ১২৫টি প্রতিষ্ঠান ১৬৫টি স্টল নিয়ে অংশগ্রহণ করেছিল। বিশ্বের ১৪টি দেশের শতাধিক আন্তর্জাতিক ক্রেতা এ দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা করেন। এ ছাড়া বিদেশি ক্রেতারা দেশীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের স্টল ও কারখানা পরিদর্শন করেন। তিন দিনের এই প্রদর্শনীতে ৬টি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। মোট ২৩৮টি বি-টু-বি সভা হয়।
অনুষ্ঠানে আট খাতের সেরা প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করা হয়। পুরস্কার পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো হলো কৃষি ও কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ খাতে প্রাণ–আরএফএল গ্রুপ, তৈরি পোশাকে শিশু পরিবহন, ফার্নিচার ও হোম ডেকোর খাতে হাতিল, তথ্যপ্রযুক্তি (আইটি) খাতে ডিজি ইনফোটেক, পাট ও পাটজাত পণ্যে প্ল্যানেট কেয়ার, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যে এলএফএমইএবি, ওষুধ খাতে রেডিয়্যান্ট এবং প্লাস্টিক ও কিচেনওয়্যারে বেঙ্গল প্লাস্টিক।