ভোটার তালিকায় জুবিনের ছবি দেখে আবেগ ধরে রাখতে পারেননি তাফিজ উদ্দিন
Published: 3rd, December 2025 GMT
জুবিনের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসার নিদর্শন দেখিয়েছিল আসামের মানুষ। তাঁর মৃত্যুতে যেন আসাম থেমে গিয়েছিল। মৃত্যুর কয়েক মাস পরও এ ভালোবাসা রয়েছে অব্যাহত। এবার জুবিনকে সম্মান জানিয়ে ভোটার তালিকায় গায়ককে মৃত লিখতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন একজন নির্বাচনী কর্মকর্তা।
জুবিন গার্গ.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার রোধে জিরো টলারেন্স নিশ্চিত করতে হবে: ফরিদা আখতার
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, ‘আমরা অনেক সময় জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে কথা বলে থাকি। তবে অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার ও অপ্রয়োজনীয় ব্যবহার রোধে জিরো টলারেন্স নিশ্চিতে আমাদের কাজ করতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, আমদানি ও রপ্তানিতে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে ডব্লিউটিও নীতিমালা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ অত্যন্ত জরুরি।
ফরিদা আখতার আজ বুধবার সকালে রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে ঢাকার ব্রিটিশ হাইকমিশনের উদ্যোগে আয়োজিত ‘ফ্লেমিং ফান্ড লেগাসি ইন বাংলাদেশ: ট্যাকলিং এএমআর থ্রু ওয়ান হেলথ অ্যাপ্রোচ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
ফরিদা আখতার বলেন, ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বিশেষ করে এসডিজি-২ বা ক্ষুধা দূরীকরণ নিশ্চিতে আমাদের দায়িত্ব শুধু খাদ্য উৎপাদনে সীমাবদ্ধ নয়। খাদ্য উৎপাদন ও প্রাণিসম্পদ খাতে অ্যান্টিবায়োটিক এবং পেস্টিসাইড (কীটনাশক) ব্যবহারের সঠিক নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করাও অত্যন্ত জরুরি।’ তিনি আরও বলেন, প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ এবং খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করাই অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর) মোকাবিলার সবচেয়ে কার্যকর উপায়। সস্তা পোলট্রি উৎপাদনের জন্য অপ্রয়োজনীয় অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দরিদ্র জনগোষ্ঠী।
উপদেষ্টা আরও বলেন, যুক্তরাজ্য সরকারের ফ্লেমিং ফান্ড ২০২০ সাল থেকে ওয়ান হেলথ পদ্ধতির মাধ্যমে বাংলাদেশের এএমআর নজরদারি শক্তিশালী করতে গুরুত্বপূর্ণ সহায়তা দিয়ে আসছে। এ উদ্যোগের ফলে সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে কৃষক, ভেটেরিনারিয়ান এবং মাঠ কর্মকর্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে, যা নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন ও দায়িত্বশীল অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল ব্যবহারে সহায়তা করছে।
ফরিদা আখতার ওয়ান হেলথ কার্যক্রমের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, মানুষের স্বাস্থ্য, মৎস্য, প্রাণিসম্পদ, কৃষি—সব ক্ষেত্রকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। কেউ কেন্দ্রে নয়, সবাই সমানভাবে অংশগ্রহণ করবে। নিরাপদ খাদ্য, স্বাস্থ্যসচেতনতা ও অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করতে তিনি সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ঢাকার ব্রিটিশ হাইকমিশনের উপ-উন্নয়ন পরিচালক মার্টিন ডসন। বাংলাদেশে ফ্লেমিং ফান্ডের প্রধান সাফল্য নিয়ে উপস্থাপনা করেন ফ্লেমিং ফান্ড কান্ট্রি গ্র্যান্ট টু বাংলাদেশের (এফএফসিজিবি) টেকনিক্যাল লিড মো. নূরে আলম সিদ্দিকী।
এফএফসিজিবির টিম লিড শাহ মনির হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ঢাকার ব্রিটিশ হাইকমিশনের উপহাইকমিশনার জেমস গোল্ডম্যান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবু জাফর, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবদুর রউফ এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবু সুফিয়ান, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) বাংলাদেশে নিযুক্ত কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ জিয়োকুন শি এবং ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল ডা. মো. শামীম হায়দার।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন গবেষক, বিজ্ঞানী ও সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।