১০ জনের দল নিয়ে ১০ গোলের ঝড় ফারইস্টের
Published: 3rd, December 2025 GMT
দিনের শেষ ম্যাচে ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি যেন গোলের বন্যা বইয়ে দিল। গোলের হিসাব রাখতে রাখতে দর্শকদের রীতিমতো গলদঘর্ম অবস্থা। ৩, ৪, ৯, ২০ ও ২৭ মিনিটে পাঁচ গোল—প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি পুরোপুরি অসহায় হয়ে পড়ে। ৩৫ মিনিটে তানভীর ইসলাম দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখলে ফারইস্ট হয়ে যায় দশজনের দল। চলতি টুর্নামেন্টের ঢাকা পর্বে এটিই প্রথম লাল কার্ড।
তবু থামেনি ফারইস্টের গোল-ঝড়। ১০ জন নিয়েও দ্বিতীয়ার্ধে করেছে আরও পাঁচ গোল। সাভারের বিরুলিয়ায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মাঠে শেষ পর্যন্ত স্কোরবোর্ডে ফারইস্টের গোলসংখ্যা দাঁড়ায় ১০। ইস্পাহানি-প্রথম আলো আন্তবিশ্ববিদ্যালয় ফুটবলের তৃতীয় আসরে এখন পর্যন্ত ৩২ ম্যাচ শেষে এটিই সর্বোচ্চ ব্যবধানে জয়।
প্রেসিডেন্সির একমাত্র সান্ত্বনা রাতুলের গোল। ৯-০ হওয়ার পর তাঁর গোলেই স্কোর হয় ৯-১। দলের কোচ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক ওপেনার জাভেদ ওমর। মন খারাপ করেই তাঁকে ছাড়তে হয়েছে মাঠ। অথচ প্রথম ম্যাচে ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশকে ৭-২ গোলে হারিয়ে দুর্দান্ত শুরু করেছিল প্রেসিডেন্সি। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচেই মুখোমুখি হতে হলো শক্তিশালী ফারইস্টের, যারা প্রথম আসরে ছিল ফাইনালিস্ট এবং গতবার সেমিফাইনালে বিদায় নিয়েছিল ড্যাফোডিলের কাছে হেরে।
আজকের বিশাল জয়ে ‘জি’ গ্রুপ থেকে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে ফারইস্ট.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইউন ভ র স ট ফ রইস ট র প রথম
এছাড়াও পড়ুন:
গ্লোবাল সোর্সিং এক্সপোতে তিন লাখ ডলারের ক্রয়াদেশ
বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো আয়োজিত তিন দিনের গ্লোবাল সোর্সিং এক্সপোতে ৩ লাখ ১১ হাজার মার্কিন ডলারের ক্রয়াদেশ পেয়েছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। এ ছাড়া ৩ লাখ ৭২ হাজার ডলারের ক্রয়াদেশের প্রস্তাব পেয়েছেন রপ্তানিকারকেরা।
ঢাকার পূর্বাচলে বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে আজ বুধবার আয়োজিত সমাপনী অনুষ্ঠানে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ হাসান আরিফ এ কথা জানান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ইপিবির মহাপরিচালক বেবী রানী কর্মকার। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি ফজলে শামীম এহসান, ফার্নিচার মালিক সমিতির চেয়ারম্যান সেলিম এইচ রহমান, বিপিজিএমইএর সভাপতি শামীম আহমেদ। ইপিবির পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হাসান আরিফ বলেন, খুব অল্প সময়ের প্রস্তুতিতে সোর্সিং এক্সপো আয়োজন করতে হয়েছে। ফলে এ বছর অনেক সীমাবদ্ধতা ছিল। আন্তর্জাতিক মানের এই সোর্সিং এক্সপো ভবিষ্যতে নিয়মিতভাবে আয়োজন করা হবে।
বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের রপ্তানি সম্ভাবনা তুলে ধরতে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যৌথ আয়োজনে গ্লোবাল সোর্সিং এক্সপো শুরু হয় গত সোমবার। এতে বাংলাদেশের আটটি গুরুত্বপূর্ণ রপ্তানি খাতের পণ্য প্রদর্শন করা হয়। খাতগুলো হচ্ছে তৈরি পোশাক, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, কৃষিজাত পণ্য, প্লাস্টিক ও কিচেনওয়্যার, হোম ডেকর ও ফার্নিচার, ওষুধ ও তথ্যপ্রযুক্তি (আইসিটি)।
ইপিবি জানায়, প্রদর্শনীতে ১২৫টি প্রতিষ্ঠান ১৬৫টি স্টল নিয়ে অংশগ্রহণ করেছিল। বিশ্বের ১৪টি দেশের শতাধিক আন্তর্জাতিক ক্রেতা এ দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা করেন। এ ছাড়া বিদেশি ক্রেতারা দেশীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের স্টল ও কারখানা পরিদর্শন করেন। তিন দিনের এই প্রদর্শনীতে ৬টি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। মোট ২৩৮টি বি-টু-বি সভা হয়।
অনুষ্ঠানে আট খাতের সেরা প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কৃত করা হয়। পুরস্কার পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো হলো কৃষি ও কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ খাতে প্রাণ–আরএফএল গ্রুপ, তৈরি পোশাকে শিশু পরিবহন, ফার্নিচার ও হোম ডেকোর খাতে হাতিল, তথ্যপ্রযুক্তি (আইটি) খাতে ডিজি ইনফোটেক, পাট ও পাটজাত পণ্যে প্ল্যানেট কেয়ার, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যে এলএফএমইএবি, ওষুধ খাতে রেডিয়্যান্ট এবং প্লাস্টিক ও কিচেনওয়্যারে বেঙ্গল প্লাস্টিক।