গুমের মামলায় শেখ হাসিনার পক্ষে লড়তে এগিয়ে গিয়েও পিছু হটার ব্যাখ্যা দিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ডাকা হলো জেড আই খান পান্নাকে। হাজির হয়ে আদালতের কাছে ক্ষমা চাইলেন তিনি। শুনানিতে কথা বলতে গিয়ে ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের ধমকও শুনতে হলো জ্যেষ্ঠ এই আইনজীবীকে। এই আইনজীবীও আওয়ামী লীগ সভাপতির পক্ষে দাঁড়াতে আগ্রহী ছিলেন। কিন্তু পরে তিনি ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে একটি চিঠি পাঠিয়ে জানান, রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী হিসেবে তিনি থাকতে চান না

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

কুমিল্লায় ছাত্রলীগ ‘সন্দেহে’ গ্রেপ্তার অষ্টম শ্রেণির সেই শিক্ষার্থীর জামিন

‘ছাত্রলীগ কর্মী’ সন্দেহে গ্রেপ্তার হওয়া কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার একটি বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির সেই শিক্ষার্থীর জামিন হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে কুমিল্লার শিশু আদালতের বিচারক ইয়াছিন আরাফাত কিশোরের জামিন মঞ্জুর করেছেন বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্র থেকে ১৫ বছর বয়সী ওই কিশোরকে আজ সোমবার কুমিল্লার আদালতে হাজির করা হয়। জামিন হওয়ায় আদালত থেকেই তাকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ ভিত্তিহীন উল্লেখ করে ওই কিশোরের পরিবার বলছে, জামিন হলেও এমন ঘটনায় ছেলেটি হতভম্ব। এ ছাড়া বার্ষিক পরীক্ষায় বসতে না পারায় তার শিক্ষাজীবন থেকে একটি বছর নষ্ট হয়ে গেছে।

ওই কিশোরের বাড়ি নাঙ্গলকোট উপজেলার একটি ইউনিয়নে। পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ১৭ নভেম্বর দিবাগত রাত তিনটার দিকে নিজ বাড়ি থেকে ওই কিশোরকে আটক করে নাঙ্গলকোট থানা–পুলিশ। পরদিন পুলিশ বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে থানায় করা একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। গত ২০ নভেম্বর কিশোরের বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হয়। আটকের পর ছেলের পরীক্ষার প্রবেশপত্র নিয়ে পুলিশের কাছে গেছেন বাবা। কিন্তু তাতে কোনো লাভ হয়নি। এ ঘটনার কারণে এ বছর পরীক্ষা থেকে ছিটকে পড়েছে ইমরান।

ঘটনার পর কিশোরের বাবা দাবি করেন, তাঁর ছেলের শিক্ষার্থীর বাইরে আর কোনো পরিচয় নেই। পুলিশ নিজেদের গ্রেপ্তারের ‘কোটা’ পূরণ করতে ভিত্তিহীন অভিযোগে তাঁর ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে। যদিও ঘটনার পর পুলিশ দাবি করেছে, গ্রেপ্তারকৃত কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মীর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই কিশোরকে গ্রেপ্তার করে তারা।

আজ সোমবার সন্ধ্যায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিশোরের আইনজীবী প্রথম আলোকে বলেন, ১৮ নভেম্বর কিশোরকে আদালতে হাজির করা হয়। পরে তাকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। সেখানে থেকে তাকে গাজীপুর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়। আজকে জামিন আবেদনের শুনানি থাকায় কিশোরকে গাজীপুর থেকে কুমিল্লার আদালতে হাজির করা হয়। পরে আদালত তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন। এরপর কিশোরকে আদালত থেকেই পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

সোমবার সন্ধ্যায় ওই শিক্ষার্থীর বাবা প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার ছেলের জামিন হয়েছে, এটাই আমার কাছে বড় আনন্দের বিষয়। তবে এমন ঘটনায় আমার ছেলেটা কেমন জানি হতভম্ব হয়ে পড়েছে। আদালত থেকে বিকেলে বাড়ি এসেছি। ছেলেটা এক গ্লাস পানি ছাড়া কিছুই খায়নি। কারও সঙ্গে কথাও বলছে না। শুধু এটাই বলছে, কেন তাকে মিথ্যা অভিযোগে জেলে পাঠানো হয়েছে?’

শিক্ষার্থীর বাবা আরও বলেন, ‘আমার ছেলে ছাত্রলীগের মিছিলে ছিল ন্যূনতম কোনো প্রমাণও কেউ দেখাতে পারেনি এবং পারবেও না। শুধু সন্দেহের বশে আমার ছেলেটাকে ফাঁসানো হয়েছে। ছেলেটার শিক্ষাজীবন থেকে একটা বছর নষ্ট হয়ে গেছে। আমার ছেলেটা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসুক, এটাই আমার চাওয়া।’

প্রসঙ্গত, গত ১৭ নভেম্বর গভীর রাতে আটকের পরদিন নাঙ্গলকোট থানায় ২৫ জনের নাম-পরিচয় উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৫০ থেকে ৬০ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা করেন থানার উপপরিদর্শক আলমগীর। মামলায় অষ্টম শ্রেণির ওই শিক্ষার্থীকে ৬ নম্বর আসামি করা হয়েছে। ১৮ নভেম্বর বিকেলে তাকে কুমিল্লার শিশু আদালত-১–এর মাধ্যমে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। মামলার এজাহারে ইমরান হোসেনের পদবি ‘ছাত্রলীগ কর্মী’ বলে উল্লেখ করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ট্রাইব্যুনালে ডেকে আনার পর ক্ষমা চাইলেন জেড আই খান পান্না
  • শেখ হাসিনার পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী হিসেবে আমির হোসেনকে নিয়োগ
  • এবার নিজ দলের কর্মীর মামলায় গ্রেপ্তার সাবেক সংসদ সদস্য মোজাম্মেল হক
  • নির্বাচন আয়োজনের সব কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে রিট
  • ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের সব কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে রিট
  • রেফারেন্স–মতামতপ্রক্রিয়া নিয়ে রিট খারিজের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিলের শুনানি শেষ, আদেশ কাল
  • হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলে পক্ষভুক্ত হলেন মির্জা ফখরুল ও সুব্রত চৌধুরী
  • বাংলাদেশে টিউলিপের কারাদণ্ডের রায়ে যুক্তরাজ্যে কী প্রভাব পড়তে পারে
  • কুমিল্লায় ছাত্রলীগ ‘সন্দেহে’ গ্রেপ্তার অষ্টম শ্রেণির সেই শিক্ষার্থীর জামিন