নয়টি শীর্ষস্থানীয় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক এনজিও একত্র হয়ে গঠন করেছে একটি নতুন জোট। এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘ক্লাইমেট অ্যান্ড প্রোট্র্যাকটেড ক্রাইসিস রেসপন্স অ্যালায়েন্স’। বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান দীর্ঘস্থায়ী সংকট, বিশেষ করে কক্সবাজারে মানবিক ও জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একটি সমন্বিত উদ্যোগ হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে এ জোটকে। আন্তর্জাতিক সংস্থা কেয়ার বাংলাদেশের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এই জোটে রয়েছে অ্যাকশন এগেইনস্ট হাঙ্গার, বিবিসি মিডিয়া অ্যাকশন, কেয়ার বাংলাদেশ, ড্যানিশ রিফিউজি কাউন্সিল, মুক্তি কক্সবাজার, এনজিও ফোরাম ফর পাবলিক হেলথ, অক্সফাম ইন বাংলাদেশ, পালস বাংলাদেশ এবং সোসাইটি ফর হেলথ এক্সটেনশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (শেড)। সংস্থাগুলো সম্প্রতি কেয়ার বাংলাদেশ ঢাকা অফিসে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে। কেয়ারের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মানবিক ও জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আরও সমন্বিত, টেকসই ও প্রেক্ষাপটভিত্তিক উদ্যোগের হিসেবে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

বর্তমানে বাংলাদেশে ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী অবস্থান করছে, যার মধ্যে চলতি বছর এসেছে দেড় লাখের বেশি। তহবিলসংকট, অবকাঠামোর অবনতি এবং বন্যা ও ভূমিধসের মতো জলবায়ুজনিত দুর্যোগ শরণার্থী ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। এই অ্যালায়েন্স গঠিত হয়েছে পরিবর্তনশীল মানবিক পরিস্থিতি, চলমান রোহিঙ্গা সংকট এবং জলবায়ুজনিত ঝুঁকি মোকাবিলার জন্য।

সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অ্যালায়েন্স সদস্যরা বৃহৎ পরিসরে উচ্চমানের মানবিক সহায়তা প্রদান, মানবিক, শান্তি প্রতিষ্ঠা ও উন্নয়ন কার্যক্রমকে সমন্বিত করা, স্থানীয় নেতৃত্ব ও অংশগ্রহণ জোরদার করা এবং সরকার ও দাতাদের সঙ্গে সমন্বিত সম্পৃক্ততা বৃদ্ধির বিষয়ে মতামত দেন। প্রতিনিধিরা ব্যয়-সাশ্রয়ী, জবাবদিহিমূলক এবং দীর্ঘমেয়াদি সহনশীলতা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন, যা জাতীয় কৌশল ও বৈশ্বিক মানবিক মানদণ্ডের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। বক্তারা উচ্চমানের প্রকল্প বাস্তবায়ন, দক্ষতা ও জ্ঞান বিনিময় এবং সহযোগিতার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এ জোটের লক্ষ্য হলো আর্থিক বিবেচনার ঊর্ধ্বে গিয়ে মানবিক অঙ্গীকারকে সততার সঙ্গে বজায় রাখা। এটি একটি যৌথ শাসনকাঠামোর অধীনে পরিচালিত হবে। সেখানে থাকবে স্টিয়ারিং কমিটি, রোটেটিং সেক্রেটারিয়েট এবং থিম্যাটিক ওয়ার্কিং গ্রুপ। প্রথম দুই বছর সেক্রেটারিয়েট হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে কেয়ার বাংলাদেশ, যা সমন্বয়, তহবিল ব্যবস্থাপনা এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে সম্পৃক্ততা নিশ্চিত করবে।

এই মডেল স্থানীয় নেতৃত্বাধীন অভিযোজন, প্রকৃতিভিত্তিক সমাধান এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসকে উৎসাহিত করে, যেখানে নারী, যুব, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: সমন ব ত ম নব ক জলব য়

এছাড়াও পড়ুন:

১০ মিনিট পর হানাদাররা বলল, এখনো দোয়া শেষ হয় নাই?

অলংকরণ: আরাফাত করিম

সম্পর্কিত নিবন্ধ