‘কানতারা টু’ সিনেমার আয় ১ হাজার কোটি টাকার দোরগোড়ায়
Published: 19th, October 2025 GMT
কন্নড় ভাষার আলোচিত সিনেমা ‘কানতারা’। ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ঋষভ শেঠি পরিচালিত এই সিনেমা। মুক্তির পর বক্স অফিস দাপিয়ে বেড়ায় এটি। ১৬ কোটি রুপি বাজেটের সিনেমাটি বিশ্বব্যাপী আয় করে ৪০০ কোটি রুপির বেশি।
শুধু বক্স অফিস নয়, ‘কানতারা’ সিনেমা দর্শকদেরও প্রশংসা কুড়ায়। নির্মিত হয়েছে সিনেমাটির প্রিকুয়েল। ‘কানতারা’ সিনেমার এই প্রিকুয়েলের নাম রাখা হয়েছে ‘কানতারা লিজেন্ড: চ্যাপ্টার ওয়ান’। হোম্বেল ফিল্মস প্রযোজিত সিনেমাটিতে ঋষভ শেঠির ফার্স্ট লুক দারুণ সাড়া ফেলেছিল। তারপর নানা কারণে আলোচনায় উঠে এসেছে। গত ২ অক্টোবর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে এটি। মুক্তির পর থেকে দর্শক-সমালোচকদের ভূয়সী প্রশংসা কুড়াচ্ছে। বক্স অফিসও দাপিয়ে বেড়াচ্ছে সিনেমাটি। যদিও তুলনামূলক আয় কমেছে।
আরো পড়ুন:
সমালোচনা ভুলে ৩৮ বছরের ছোট নায়িকার সঙ্গে চিরঞ্জীবীর রোমান্স
কানতারা টু: ‘রাজকন্যা কঙ্কাবতী’ রুক্মিণীকে কতটা জানেন?
স্যাকনিল্ক এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ‘কানতারা টু’ ১৭ দিনে ভারতে আয় করেছে ৫৮৯.
বলি মুভি রিভিউজের তথ্য অনুসারে, মুক্তির প্রথম দিনে ‘কানতারা টু’ আয় করে ৮৭.৯ কোটি রুপি, দ্বিতীয় দিনে আয় করে ৬১ কোটি রুপি, তৃতীয় দিনে আয় করে ৮১ কোটি রুপি, চতুর্থ দিনে আয় করে ৯০ কোটি রুপি, পঞ্চম দিনে আয় করে ৪০ কোটি রুপি, ৬ষ্ঠ দিনে আয় করে ৪৫ কোটি রুপি, সপ্তম দিনে আয় করে ৩০ কোটি রুপি, অষ্টম দিনে আয় করেছে ২৫.৯ কোটি রুপি, নবম দিনে আয় করেছে ২৯.০৫ কোটি রুপি, দশম দিনে আয় করেছে ৫৩.৫ কোটি রুপি।
এগারো দিনে আয় করে ৫৫ কোটি রুপি, বারো দিনে আয় করে ১৯ কোটি রুপি, তেরো দিনে আয় করে ২০ কোটি রুপি, চৌদ্দ দিনে আয় করে ১৬ কোটি রুপি, পনেরো দিনে আয় করে ১২ কোটি রুপি, ষোল দিনে আয় করে ১১.২ কোটি রুপি, সতেরো দিনে আয় করে ১৪.৫ কোটি রুপি। যার মোট আয় দাঁড়িয়েছে ৭০০ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৯৭২ কোটি ১২ লাখ টাকা)।
‘কানতারা টু’ মুক্তির আগেই মোটা অঙ্কের অর্থ আয় করেছে। একটি সূত্র পিঙ্কভিলাকে বলেন, “অ্যামাজন প্রাইম ‘কান্তারা: চ্যাপ্টার ১’-এর পোস্ট-থিয়েট্রিক্যাল স্ট্রিমিং রাইটস ১২৫ কোটি রুপিতে (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৭২ কোটি ৫৬ লাখ টাকার বেশি) কিনে নিয়েছে। এটি কন্নড় সিনেমার ইতিহাসে অন্যতম সর্বোচ্চ চুক্তি, ‘কেজিএফ টু’-এর পরের অবস্থানে রয়েছে এটি। এই প্ল্যাটফর্মটি সব ভাষার স্ট্রিমিং রাইটস কিনেছে।”
‘কানতারা’ শব্দের অর্থ গহিন জঙ্গল। স্থানীয় গ্রামবাসীর দেবতা ‘ভূতা’-কে কেন্দ্র করে নির্মিত হয় সিনেমাটির কাহিনি। তিনটি ভিন্ন ভিন্ন সময় ধরে প্রথম পার্টে তা দেখিয়েছেন পরিচালক। পরিচালনার পাশাপাশি ‘কানতারা’ সিনেমার চিত্রনাট্য রচনা ও অভিনয়ও করেন ঋষভ শেঠি। ‘কানতারা টু’ সিনেমার চিত্রনাট্য রচনা, পরিচালনা এবং অভিনয়ও করছেন ঋষভ।
‘কানতারা’ প্রথমে কন্নড় ভাষায় নির্মাণ করা হয়েছিল। পরে আরো ছয়টি ভাষায় ডাব করে প্রদর্শিত হয়। তখন শুধু নির্মাণে ব্যয় হয়েছিল ১৬ কোটি রুপি; সব মিলিয়ে বাজেটের অঙ্ক গিয়ে দাঁড়িয়েছিল প্রায় ৩৫ কোটি। প্রিকুয়েলটি নির্মাণে এর দ্বিগুণ খরচ হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে বলি মুভি রিভিউজ জানিয়েছে, সিনেমাটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১২৫ কোটি রুপি।
‘কানতারা: চ্যাপ্টার ১’ বা ‘কানতারা টু’ সিনেমার বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন—জয়রাম, রাকেশ পূজারি, রুক্মিণী, গুলশান প্রমুখ।
ঢাকা/শান্ত
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক নত র পর চ ল
এছাড়াও পড়ুন:
শাবিপ্রবিতে ক্যাম্পাসে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই: ছাত্রদল
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) আসন্ন ছাত্র সংসদ নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।
রবিবার (১৯ অক্টোবর) দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সেক্রেটারি নাইম সরকার এ অভিযোগ করেন।
আরো পড়ুন:
অস্ত্র মামলায় বহিষ্কৃত ছাত্রের শাস্তি প্রত্যাহার দাবিতে শাবিপ্রবিতে মানববন্ধন
শাবিপ্রবিতে ইনকিলাব মঞ্চের নেতৃত্বে হাফিজুল-হীরা
তিনি বলেন, “আমরা শাকসু চাই। তবে বর্তমানে ক্যাম্পাসে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই। সমান সুযোগ নিশ্চিত করে সেমিস্টার ফাইনালের পর শাকসুর কার্যক্রম শুরু করতে হবে। তাহলেই শিক্ষার্থীরা উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে।”
তিনি আরো বলেন, “প্রশাসনের পক্ষপাতমূলক আচরণ, আবাসিক হলে সিট বরাদ্দে অনিয়ম, ক্যাম্পাসে নিরাপত্তাহীনতা ও রাজনৈতিক নিষেধাজ্ঞা শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বাধা সৃষ্টি করছে।”
এ সময় সংগঠনটির পক্ষ থেকে সাত দফা প্রস্তাবনা উপস্থাপন করে। প্রস্তাবনাগুলোর মধ্যে রয়েছে— সেমিস্টার ফাইনালের পর শাকসুর কার্যক্রম শুরু করা; ক্যাম্পাসের সব অংশীজনের ঐক্যের ভিত্তিতে ‘স্মার্ট ও সুরক্ষিত ক্যাম্পাস সনদ–২০২৫’ প্রণয়ন; হল সিট বরাদ্দে কোটার প্রক্রিয়া ও প্রশাসনিক নীতিমালা স্বচ্ছ ও সবার জন্য সমান করা; সহাবস্থান ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করা।
বাকি প্রস্তাবনাগুলোর মধ্যে রয়েছে- শিক্ষার মানোন্নয়ন, গবেষণার সুযোগ, অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও শিক্ষার্থী কল্যাণকে অগ্রাধিকার দেওয়া; প্রশাসন ও শিক্ষক সমাজকে রাজনৈতিক পক্ষপাত থেকে মুক্ত রাখা; ৫ আগস্ট পরবর্তী ছাত্রদলের উত্থাপিত সব দাবি দ্রুত বাস্তবায়ন করা।
ছাত্রদল নেতারা বলেন, এসব দাবি বাস্তবায়ন হলেই শাবিপ্রবিতে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক ছাত্র সংসদ নির্বাচন সম্ভব হবে।
ঢাকা/ইকবাল/মেহেদী