কেউ কেউ বন্ধু নয়, স্বার্থের মৌমাছি, পূর্ণিমার উপলব্ধি
Published: 19th, October 2025 GMT
সিনেমায় কাজ কম করলেও চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা উপস্থাপনায় সরব। ভিন্ন ভিন্ন সব উপস্থাপনার অনুষ্ঠান দিয়ে তাঁকে নিয়মিত দেখা যায়। সম্প্রতি তাঁকে রান্নার অনুষ্ঠানের বিচারক হিসেবে দেখা গেছে। রান্নাবিষয়ক সেই অনুষ্ঠানে বিচারক হিসেবে কাজ করে পূর্ণিমা ছিলেন আলোচনায়। আজ রোববার দেশের জনপ্রিয় এই নায়িকা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি আবেগঘন পোস্ট করেছেন, যা তাঁর ভক্ত ও নেটিজেনদের নজরে এসেছে। পূর্ণিমা তাঁর ফেসবুক পোস্টে মানুষের স্বার্থপর আচরণ ও সম্পর্ক নিয়ে তাঁর গভীর উপলব্ধির কথা বলেছেন।
পূর্ণিমা.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বাবরি মসজিদ নির্মাণের ডাক দেওয়ায় সাসপেন্ড তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা
ভারতে আবারো বাবরি মসজিদ নির্মাণের ডাক দেওয়া হুমায়ুন কবীরকে সাসপেন্ড করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেস। মমতার দলের সিনিয়র এই নেতা ও পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিধায়ককে মূলত দলবিরোধী কাজের জন্যই সাসপেন্ড করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন করে মুর্শিদাবাদ জেলার ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে সাসপেন্ড করার কথা ঘোষণা করেন কলকাতার মেয়র ও মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
তিনি বলেন, “হুমায়ুনের সঙ্গে কোনোরকম সম্পর্ক রাখবে না দল।”
সম্প্রতি বাবরি মসজিদ শিলান্যাসের ঘোষণা এবং এই ইস্যুতে দলের মতামতকে প্রাধান্য না দিয়ে দিয়ে পুলিশ প্রশাসনকে নিশানা করে সবচেয়ে বড় বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন কবীর। সেই সাথে নিজের দল তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যেই কিছুটা কোণঠাসা হয়ে পড়েন কবীর। যদিও বাবরি মসজিদ পুনঃনির্মাণের ব্যাপারে অটল থাকেন তিনি।
কয়েক দিন আগেই বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমের সামনে কবীর জানিয়েছিলেন, চলতি বছরের ৬ ডিসেম্বর পশ্চিমবঙ্গের বেলডাঙ্গায় বাবরি মসজিদের শিলান্যাস করা হবে। মসজিদটি সম্পূর্ণ হতে তিন বছর সময় লাগবে। শিলান্যাস অনুষ্ঠানে প্রায় দুই লাখ মানুষ উপস্থিত থাকবেন এবং মঞ্চে ৪০০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি উপস্থিত থাকবেন। অবশ্য ২০২৪ সালের ১২ ডিসেম্বর রাজ্য বিধানসভার বাইরে দাঁড়িয়েই প্রথমবারের জন্য বাবরি মসজিদ নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন হুমায়ূন কবীর।
এবারই প্রথম নয় বিভিন্ন সময়ে নিজের দলের বিরুদ্ধে প্রশাসনের বিরুদ্ধে মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছিল এই বিধায়কের বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে দলের পক্ষ থেকে সতর্কও করা হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন থেকে ফিরহাদ হাকিম বলেন, “বাবরি মসজিদ করার কথা বলে বাবরি ধ্বংসের স্মৃতি উসকে দিতে চাইছেন কবীর। আমরা মনে করি এর পিছনে বিজেপি রয়েছে। ওরা হুমায়ুনকে সামনে রেখে হিন্দু-মুসলিম বিভাজনের রাজনীতি করছে।”
ফিরহাদ আরো বলেন, “কেউ কোথাও নিজের অর্থে মসজিদ করলে করতেই পারেন। কিন্তু দলের বিধায়ক সংহতি দিবসের (৬ ডিসেম্বর) তারিখটাকেই বেছে নিলেন শিলান্যাসের জন্য? কেন?” ফিরহাদের দাবি, হুমায়ুন বাংলায় দাঙ্গা পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করছে।
যদিও দলের সিদ্ধান্তকে গুরুত্ব দিতে নারাজ হুমায়ুন। সাসপেন্ডের সিদ্ধান্তের কথা জানামাত্রই আগামী ২২ ডিসেম্বরই নতুন দল ঘোষণা দেন কবীর।
যদিও হুমায়ুন কবীরের বাবরি মসজিদ নির্মাণের ঘোষণার পরেই দেশ জড়ে ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হয়। এমনকি ভারতের সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, মধ্যপ্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও সিনিয়র বিজেপি নেত্রী উমা ভারতী সরাসরি হুমকি দিয়ে বলেন, “আমরা উপরওয়ালা বা ইসলামের নামে নির্মিত মসজিদগুলোকে সম্মান করব, কিন্তু বাবরের নামে কোনো মসজিদ নির্মাণের চেষ্টা হলে অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধ্বংসের মতো পরিণতি হবে।”
মমতা ব্যানার্জীকে পরামর্শ দিয়ে উমা ভারতী বলেন, “যারা বাবরের নামে মসজিদ তৈরির কথা বলেন তাদের বিরুদ্ধে যেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়।”
ঢাকা/সুচরিতা/শাহেদ