সব বন্দরে অগ্নিনিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান
Published: 19th, October 2025 GMT
দেশের সব বন্দরের অগ্নিনিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (ডিসিসিআই)। ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে এ আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।
রবিবার (১৯ অক্টোবর) এক বার্তায় বলা হয়েছে, দেশের প্রধান বিমানবন্দরসহ অন্য বন্দরগুলোর সকল স্তরে অগ্নিনিরাপত্তাসহ সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়নে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন ডিসিসিআইর সভাপতি তাসকীন আহমেদ।
যাত্রীসেবার পাশাপাশি পণ্য আমদানি-রপ্তানির জন্য ব্যবসায়ীরা এ বিমানবন্দর বেশি ব্যবহার করেন। তাই, এ ধরনের অগ্নিকাণ্ড বাণিজ্যসহ সামগ্রিক অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করেন ঢাকা চেম্বারের সভাপতি।
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের ফলে ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা প্রয়োজন। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দ্রুত নিশ্চিত করার আহ্বান জানাচ্ছে ডিসিসিআই।
ঢাকা চেম্বার সভাপতি মনে করেন, দেশের ব্যবসায়িক কার্যক্রমকে আরো গতিশীল করতে বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে পণ্য খালাস প্রক্রিয়া ছুটির দিনগুলোতেও অব্যাহত রাখা প্রয়োজন।
একই সঙ্গে গতকাল অগিকাণ্ডে আহতদের দ্রুত প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা চেম্বার।
ঢাকা/নাজমুল/রফিক
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আহ ব ন জ ন ন শ চ ত কর র আহ ব ন
এছাড়াও পড়ুন:
সপ্তাহে ৩ দিন বিমান বাংলাদেশের ফ্লাইট যাবে পাকিস্তানে
প্রায় ১৩ বছর বন্ধ থাকার পর খুলতে যাচ্ছে ঢাকা-করাচির আকাশপথ। পাকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার ইকবাল হোসেন খান বলেছেন, ঢাকা-করাচি রুটে সপ্তাহে তিনটি সরাসরি ফ্লাইট চালু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।
বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও টিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার (৩ ডিসেম্বর) পাকিস্তানের ফরেন সার্ভিসেস একাডেমিতে একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্যের পর দ্য নিউজ-এর সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
করাচি রুটে ফ্লাইট চালুর বিষয়ে বাংলাদেশের হাইকমিশনার বলেন, “হ্যাঁ, আমরা পাকিস্তানের সঙ্গে সরাসরি ফ্লাইট শুরু করছি। আমাদের জাতীয় বিমান সংস্থা করাচিতে সপ্তাহে তিনটি ফ্লাইট পরিচালনা করবে।”
রুটটি ভারতীয় আকাশসীমার উপর দিয়ে যাবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “ভারতীয় বিমান যেমন বাংলাদেশের আকাশসীমা ব্যবহার করতে পারে, তেমনি বিমান বাংলাদেশের ফ্লাইটও ভারতের উপর দিয়ে উড়বে।”
পাকিস্তানের সরকারি একটি সূত্র দ্য নিউজকে জানিয়েছে, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের চলমান আকাশসীমার নিষেধাজ্ঞার কারণে, বর্তমানে পাকিস্তানের বিমান সংস্থাগুলোর ঢাকায় ফ্লাইট পরিচালনার কোনো তাৎক্ষণিক সম্ভাবনা নেই।
বাংলাদেশের হাইকমিশনার ফরেন সার্ভিসেস একাডেমিতে তরুণ কূটনীতিকদের সঙ্গে একটি ইন্টারেক্টিভ অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, এ ধরনের অধিবেশনগুলো এই অঞ্চলের ভবিষ্যতের প্রতিনিধিত্বকারী তরুণ কূটনীতিকদের সঙ্গে গঠনমূলক সংলাপের সুযোগ করে দিচ্ছে।
হাইকমিশনার বলেন, দক্ষিণ এশিয়ায় বাণিজ্য, যোগাযোগ ও সহযোগিতার বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে, কিন্তু সীমিত প্রবেশাধিকার, সীমান্ত বিধিনিষেধ ও আঞ্চলিক রাজনীতি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্ত করছে।
তিনি বলেন, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য উল্লেখযোগ্যভাবে সম্প্রসারণ হতে পারে, তবে প্রবেশাধিকারের সীমাবদ্ধতা এখনও সবচেয়ে বড় বাধা। তিনি উল্লেখ করেন, অতীতে রেলপথ দুটি দেশের মধ্যে বাণিজ্যকে সহজতর করেছিল, কিন্তু এখন পাকিস্তানের খেজুর দুবাই হয়ে আঞ্চলিক বাজারে পৌঁছায়।
তিনি বলেন, সরাসরি প্রবেশাধিকার অর্থনীতিকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবে এবং কৃষকদের আয় বাড়াবে। কাশ্মীরের শতাব্দী প্রাচীন পশমিনা শিল্পের কথা উল্লেখ করে তিনি জানান, খেজুর ও পশমিনার মতো ঐতিহ্যবাহী ক্ষেত্রগুলোকে সরাসরি বাজার রুট দেওয়া হলে বাণিজ্যের পরিমাণ বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে।
হাইকমিশনার খান বলেন, দুর্বল ভৌগোলিক সংযোগ দক্ষিণ এশিয়ার অগ্রগতির সবচেয়ে গুরুতর বাধা, যদিও প্রাচীন বাণিজ্য রুটগুলো একসময় কাবুল, পেশোয়ার, ঢাকা ও মায়ানমারকে সংযুক্ত করেছিল।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, কোনো দেশই বিচ্ছিন্নভাবে অগ্রগতি করতে পারে না এবং আঞ্চলিক সহযোগিতাই একমাত্র বাস্তব উপায়। বিমসটেকের কথা উল্লেখ করে তিনি এটিকে ভারত, থাইল্যান্ড এবং বাংলাদেশসহ একটি গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক গোষ্ঠী হিসেবে অভিহিত করেন। তবে বলেন যে, সীমান্ত বিধিনিষেধ এবং বৃহত্তর শক্তির আচরণ প্রায়শই আঞ্চলিক আস্থাকে দুর্বল করে দেয়।
তিনি বলেন, ঔপনিবেশিক মানসিকতা, আদর্শিক আধিপত্য এবং আঞ্চলিক আধিপত্যের প্রতি প্রবণতা প্রায়শই আঞ্চলিক সংস্থাগুলোর কার্যকারিতাকে বাধাগ্রস্ত করে।
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, দক্ষিণ এশীয় দেশগুলো যদি সম্মিলিত অগ্রগতিকে অগ্রাধিকার দেয় এবং নীতি নির্ধারণের কেন্দ্রবিন্দুতে সহযোগিতা স্থাপন করে তাহলে আঞ্চলিক বাণিজ্য, সংযোগ এবং ভাগাভাগি উন্নয়নের একটি নতুন যুগ রূপ নিতে পারে।
ঢাকা/ফিরোজ