দেশের সব বন্দরের অগ্নিনিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (ডিসিসিআই)। ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে এ আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।

রবিবার (১৯ অক্টোবর) এক বার্তায় বলা হয়েছে, দেশের প্রধান বিমানবন্দরসহ অন্য বন্দরগুলোর সকল স্তরে অগ্নিনিরাপত্তাসহ সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়নে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন ডিসিসিআইর সভাপতি তাসকীন আহমেদ।

যাত্রীসেবার পাশাপাশি পণ্য আমদানি-রপ্তানির জন্য ব্যবসায়ীরা এ বিমানবন্দর বেশি ব্যবহার করেন। তাই, এ ধরনের অগ্নিকাণ্ড বাণিজ্যসহ সামগ্রিক অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করেন ঢাকা চেম্বারের সভাপতি। 

হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের ফলে ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা প্রয়োজন। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দ্রুত নিশ্চিত করার আহ্বান জানাচ্ছে ডিসিসিআই।

ঢাকা চেম্বার সভাপতি মনে করেন, দেশের ব্যবসায়িক কার্যক্রমকে আরো গতিশীল করতে বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে পণ্য খালাস প্রক্রিয়া ছুটির দিনগুলোতেও অব্যাহত রাখা প্রয়োজন।

একই সঙ্গে গতকাল অগিকাণ্ডে আহতদের দ্রুত প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা চেম্বার।

ঢাকা/নাজমুল/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আহ ব ন জ ন ন শ চ ত কর র আহ ব ন

এছাড়াও পড়ুন:

বিমানবন্দরের আগুন নেভাতে গিয়ে আহত ১৪ জন সিএমএইচে

হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে লাগা আগুন নেভাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ১৪ সদস্যকে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি আছেন। 

রবিবার (১৯ অক্টোবর) সকালে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, বিমানবন্দরে আগুনে এখন পর্যন্ত বিমানবাহিনীর একজন, ফায়ার সার্ভিসের তিনজন, পুলিশের একজন, আনসারের ১০ জন সদস্য সিএমএইচে চিকিৎসাধীন।

আগুন নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে আইএসপিআর জানায়, বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি সেনা, নৌ, বিমান বাহিনীসহ সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বিত প্রচেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আসে। 
আইএসপিআর আরো জানায়, গতকাল আনুমানিক দুপুর আড়াইটায় হজরত শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত ঘটে। মুহূর্তে আগুন বিকট আকার ধারণ করলে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী সহ সকল আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সমন্বিতভাবে অগ্নিনির্বাপন এবং উদ্ধার কাজে অংশগ্রহণ করে। এছাড়া, আহতদের দ্রুত চিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক অ্যাম্বুলেন্স সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। 

কার্গো ভিলেজে রক্ষিত দাহ্য রাসায়নিক পদার্থ আগুনের মাত্রা কে তীব্রতর করে দেয়। অগ্নি নির্বাপনকালে রাসায়নিক পদার্থের ধোঁয়া ও আগুনের তীব্রতায় ১০ জন আনসার সদস্য, ৩ জন ফায়ার ফাইটার এবং ১ জন পুলিশ সদস্য প্রবল শ্বাস-প্রশ্বাস জনিত কারণে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের চিকিৎসার জন্য জরুরি ভিত্তিতে সিএমএইচ ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। যেকোনো দুর্যোগে জনগণের পাশে থেকে সহায়তা প্রদান করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বদা প্রস্তুত ও দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ বলে এতে উল্লেখ করা হয়।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ড তদন্তে স্বরাষ্ট্র সচিবের নেতৃত্বে কোর কমিটি
  • অগ্নিনির্বাপণে ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে কাজ শুরু হয়েছে: উপদেষ্টা
  • বিমানবন্দরের আগুন নেভাতে গিয়ে আহত ১৪ জন সিএমএইচে
  • বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুনের ঘটনা নাশকতা কি না, তদন্তের দাবি জাপার
  • বিমানবন্দরে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ভালো, তবে...
  • বারবার অগ্নিকাণ্ড স্পষ্ট করেছে নিরাপত্তাব্যবস্থার দুর্বলতা: তারেক রহমান
  • কার্গো ভিলেজ কী, সেখানে কী থাকে
  • শাহজালাল বিমানবন্দরের কার্গো সেকশনে আগুন
  • বিমানবন্দরে ক্রিকেটারদের হেনস্থা, জড়িতদের ধরতে আইন–শৃঙ্খলা বাহিনীর সাহায্য চেয়েছে বিসিবি