বিকেএমইএ সভাপতি হাতেম ‘অভ্যুত্থানের শত্রু’ : এনসিপি নেতা আল আমিন
Published: 4th, November 2025 GMT
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল বিপর্যয় ও উত্তরণের করণীয় শীর্ষক মতবিনিময় সভায় ব্যবসায়ীক সংগঠন বিকেএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ হাতেমকে গণ-অভ্যুত্থানের শত্রু আখ্যা দিয়ে কঠোর সমালোচনা করেছেন এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিব ও শৃঙ্খলা কমিটির প্রধান আব্দুল্লাহ আল আমিন। এ সময় তিনি হাতেমকে এ আয়োজনে স্পেস দেয়া উচিৎ হয়নি বলেও মন্তব্য করেন।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) নারায়ণগঞ্জ শহরের শিল্পকলা একাডেমিতে জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিঞা শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, জেলার বিভিন্ন কলেজের অধ্যক্ষ, শিক্ষকবৃন্দ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের নিয়ে এক বিশেষ মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন।
সভায় আব্দুল্লাহ আল আমিন বলেন, ‘আজ আসার পর দেখলাম একজন স্টেজে এসে ছাত্ররা কীভাবে পড়ালেখা করবে, রেজাল্ট ভালো করবে, ওই পরামর্শ দিচ্ছেন; যে ব্যক্তি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় শেখ হাসিনার মিটিংয়ে উপস্থিত হয়ে কীভাবে ছাত্রদের আন্দোলন দমন করতে হবে, সেই অনুরোধ করেছিলেন।’
আব্দুল্লাহ আল আমিন আরও বলেন, ‘আন্দোলন চলাকালীন শেখ হাসিনার সামনে দাঁড়িয়ে সে ছাত্রদের দমনের ব্যাপারে বলেছে। তাকে আমরা এই স্পেস দিতে পারি না। খুবই দুঃখ লেগেছে, নারায়ণগঞ্জের মানুষ আমরা এগুলো জানি। জানার পরও কেন আমরা এটা করি? আমরা কি সব ভুলে গেলাম। এই ভুলে যাওয়া আমাদের উচিত হয়নি।
এর আগে এই এনপিসি নেতা বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পরে প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রিক নানান ধরনের জটিলতা হয়েছে মানে ম্যানেজিং কমিটি এড কমিটি কোথাও কমিটি নাই কোথাও অধ্যক্ষ বা শিক্ষক আছে নাই বা নানান ধরনের ইস্যু সৃষ্টি হয়েছে।
এইজন্য এক ধরনের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি ছিল যেই ধরনের চেইন অফ কমান্ডে স্কুল কলেজ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো চলে ওভাবে চলতে পারেনি। ছাত্রদের মধ্যেও গণঅভ্যুত্থান কেন্দ্রিক একটা ট্রমা আছে। আমরা যখন শহীদ পরিবার বা আহতদের সাথে কাজ করি, আন্দোলনকারীদের মধ্যে এক ধরনের ট্রমা আছে।
তাদের যে আবার পড়ালেখায় মনোনিবেশ করতে হবে। সে মানসিকতা সবার হয়ে ওঠে নাই। আমরা যেই প্রফেশনে ছিলাম অভুত্থানের পরে আবার যে আমাদের কাজটা আমরা করব এই মানসিকতাটা হয় নাই। তো আমাদের পুরা ন্যাশনাল একটা গ্রুমিং এর প্রয়োজন।
তিনি বলেন, “গ্রীক পৌরাণিক কাহিনীতে আমরা দেখছিলাম যে, একিলিস হিল বলতে একটা ব্যাপার আছে। একিলিসের মতো এত বছরে হাসিনা প্রশ্নফাস, জালিয়াতি অটোপাসের মতো নানা ধরনের বড় বড় লুপস তারা রেখে দিছে। কিন্তু তারা উপস্থাপন করছে একটা বিশাল সাফল্য। এই দুর্বলতাটা আমরা উপলব্ধি করতে পারছি এটা সামনে আমাদের জেনারেশন, ছাত্র, দেশের জন্য ভালো হবে।”
নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিঞার সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ কলেজের অধ্যক্ষ ড.
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ ল ইসল ম আম দ র ন র পর সদস য ধরন র
এছাড়াও পড়ুন:
ডেঙ্গু রোগ সম্পর্কে নাসিকের ২৭টি ওয়ার্ডে মাইকিং
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন মহানগরীর ২৭টি ওয়ার্ডে ডেঙ্গু সতর্কতা বিষয়ে মাইকিং শুরু করেছে। সাত কর্মদিবসে এই মাইকিং চলবে। যাতে নগরবাসী ডেঙ্গু মহামারী থেকে রক্ষা করতে পারে।
নাসিক এর স্বাস্থ্য বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডাঃ নাফিয়া ইসলাম জানান, নাসিক এর প্রশাসক ড. আবু নছর মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ এর নির্দেশে নাসিক এর সকল ওয়ার্ডে ডেঙ্গু বিষয়ে মাইকিং চলছে।
মাইকিং করে বলা হচ্ছে, ডেঙ্গু একটি মশাবাহিত ভাইরাস। এডিস নামক মশার কামড়ে ডেঙ্গু জ্বর হয়। এডিস মশার কামড়ে ডেঙ্গু জ্বরের জীবাণুর মাধ্যমে এক ব্যক্তি থেকে অপর ব্যক্তিতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
এই রোগ থেকে আমাদের সুরক্ষার একমাত্র উপায় হলো এডিস মশার জন্মস্থল ধ্বংস করা এবং পরিবেশকে পরিচ্ছন্ন রাখা। এডিস মশা সাধারণত ঘরের ভেতরে ও আশেপাশের জমে থাকা পরিষ্কার পানিতে ডিম পারে।
এডিস মশার বিস্তার রোধে আপনার বাড়ির ভেতর এবং চারপাশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন। ফুলের টব, ডাবের খোসা, পরিত্যক্ত টায়ার ইত্যাদিসহ পরিত্যক্ত যে কোনো পাত্রে পানি জমা থাকলে প্রতি তিনদিনের মধ্যে অবশ্যই পরিষ্কার করুন।
বাড়ির আঙ্গিনা, ছাদ, বারান্দা, গ্যারেজের কোথাও পানি জমতে দিবেন না এবং জমে থাকা পানি নিয়মিত পরিষ্কার করুন। অপ্রয়োজনীয় ও পরিত্যক্ত পাত্র সরিয়ে ফেলুন।
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নিয়মিতভাবে সকালে স্প্রে মেশিনের মাধ্যমে লারভিসাইড এবং বিকালে ফগার মেশিনের সাহায্যে অ্যাডাল্টিসাইড প্রয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা করে। বিকালের ফগিং কার্যক্রমে প্রচুর ধোয়া নির্গত হয়, এ ধোয়া থেকে শিশুদের দূরে রাখুন।
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক নিয়োজিত কর্মীদেরকে আপনার বাসাবাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অফিস, ব্যবসা কেন্দ্রের বেসমেন্ট এবং ছাদে মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করতে সহায়তা করুন।
ডেঙ্গু মৌসুমে শরীরের বেশির ভাগ অংশ এবং হাত পা ঢাকা থাকে এমন কাপড় পরিধান করুন। দিনে এবং রাতে বিশ্রাম অথবা ঘুমানোর সময় মশারি ব্যবহার করুন।
আপনার বাড়ির আঙ্গিনা স্থাপনা, প্রতিষ্ঠানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে আপনার বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর সহযোগিতায় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে বিধি মোতাবেক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ডেঙ্গু মৌসুমে জ্বর হলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী রক্ত পরীক্ষা করুন ও চিকিৎসা গ্রহণ করুন। নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে স্বল্পমূল্যে ডেঙ্গু পরীক্ষার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে, সেখানে পরীক্ষা করুন।
গর্ভবর্তী মা, নবজাতক শিশু ও বয়স্কদের প্রতি বিশেষ যত্ন নিন। ডেঙ্গু একটি ভয়াবহ রোগ, যা এডিস মশার মাধ্যমে ছড়ায়।
এই রোগ থেকে আমাদের সুরক্ষা পাওয়ার একমাত্র উপায় হলো এডিস মশার জন্মস্থল ধ্বংস করা এবং পরিবেশকে পরিচ্ছন্ন রাখা। নিজে সচেতন হোন এবং অন্যকে সচেতন করুন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে আপনার অংশগ্রহণ-ই পারে, আপনার পরিবার ও নগর নিরাপদ রাখতে। মশার উৎসস্থল ধ্বংস করি, ডেঙ্গু মুক্ত দেশ গড়ি।