মাসখানেক আগে গান ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন সংগীতশিল্পী তাহসান খান। এর আগে তিনি অভিনয় ছাড়ার ঘোষণাও দিয়েছেন। প্রথম আলোর সঙ্গে আলাপে জানিয়েছিলেন, তিনি বিনোদন–সংশ্লিষ্ট কোনো আড্ডায়ও থাকবেন না। কিন্তু আজ মঙ্গলবার জানা গেল, তাঁকে অন্যভাবে দেখা যাবে। ঢাকার একটি পাঁচ তারকা হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে তেমনটাই জানা গেছে।  

গেম শো ‘ফ্যামিলি ফিউড বাংলাদেশ’ আনুষ্ঠানিকভাবে ফিরে আসছে সিজন ২ নিয়ে। এবারের সিজনেও উপস্থাপনা করবেন সংগীতশিল্পী ও অভিনেতা তাহসান খান। সংবাদ সম্মেলনে অনুষ্ঠানের আয়োজক প্রতিষ্ঠান বঙ্গ জানিয়েছে, শিগগিরই সিজন ২ আসছে। আগামী ডিসেম্বরে শুটিং শুরু হবে। নতুন সিজনে থাকবে আরও বেশি হাসি, মজা আর জমজমাট পারিবারিক আনন্দ। প্রতিযোগীরা বাংলাদেশের এই প্রিয় গেম শোতে জিততে এবং সেরা হতে লড়বে।

তাহসান খান.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

জোটে গেলেও ভোট করতে হবে দলীয় প্রতীকে

নির্বাচনে নিবন্ধিত একাধিক দল জোটভুক্ত হলেও ভোট করতে হবে নিজ নিজ দলের প্রতীকে—শেষ পর্যন্ত এমন বিধান যুক্ত করে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন অধ্যাদেশ জারি করেছে সরকার। এটি ছাড়াও আরপিওতে পলাতক আসামিকে নির্বাচনে অযোগ্য করা; সেনা, বিমান ও নৌবাহিনীকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংজ্ঞাভুক্ত করাসহ কিছু নতুন বিধান যুক্ত করা হয়েছে। গত সোমবার আইন মন্ত্রণালয় এ অধ্যাদেশ জারি করে।

আগে কোনো দল জোটভুক্ত হয়ে নির্বাচনে অংশ নিলে তারা জোটের শরিক যেকোনো দলের প্রতীক নেওয়ার সুযোগ পেত। এর আগে গত ২৩ অক্টোবর উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আরপিও সংশোধন অধ্যাদেশের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।

জোট করলেও দলীয় প্রতীকেই নির্বাচন করার বিধান নিয়ে তখন আপত্তি জানিয়েছিল বিএনপি। দলটি নির্বাচন কমিশন ও আইন মন্ত্রণালয়কে লিখিতভাবে তাদের আপত্তির কথা জানায়। জোটভুক্ত হতে আগ্রহী কিছু ছোট দলের মধ্যেও সরকারের এই সিদ্ধান্তে অস্বস্তি তৈরি হয়েছিল।

এরপর সরকার বিষয়টি বাদ দেওয়ার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এমন খবর জানতে পেরেছে উল্লেখ করে জামায়াতে ইসলামী এটি নিয়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখায়। শেষ পর্যন্ত ওই বিধান রেখেই অধ্যাদেশ জারি করা হলো।

সংশোধিত অধ্যাদেশ অনুযায়ী, কোনো আদালত–ঘোষিত পলাতক আসামি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অযোগ্য হবেন। আরপিওতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সংজ্ঞায় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীকেও যুক্ত করা হয়েছে। এর ফলে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরাও পুলিশের মতো ভোটকেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। তিন বাহিনীকে নির্বাচনী দায়িত্ব দিতে আলাদা কোনো আদেশের প্রয়োজন হবে না।

আরপিওতে আংশিক ‘না’ ভোটের বিধান যুক্ত করা হয়েছে। কোনো আসনে একক প্রার্থী থাকলে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হতে পারবেন না। সেখানে ‘না’ ভোটের ব্যবস্থা থাকবে।

আগে প্রার্থীদের ২০ হাজার টাকা জামানত দিতে হতো। এবার সেটা বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে।

নির্বাচন বন্ধ করার ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে। অনিয়মের কারণে কোনো আসনের যেকোনো ভোটকেন্দ্র বা প্রয়োজনে পুরো আসনের ভোট বাতিলের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে নির্বাচন কমিশনকে।

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) সংক্রান্ত সব বিধান আরপিও থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে পোস্টাল ব্যালটে ভোটের কিছু নতুন বিধান আরপিওতে যুক্ত করা হয়েছে। আগে নির্বাচনে রঙিন পোস্টার ছাপানো নিষিদ্ধ ছিল। এবার অধ্যাদেশে যেকোনো পোস্টার ছাপানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এসবের বাইরে আরও কিছু সংশোধনীও আনা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ