খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলা সদরের খান কমপ্লেক্সের চতুর্থ তলার একটি কক্ষ থেকে অবৈধ ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রোটোকল (VOIP) কার্যক্রমের অভিযোগে দুই চীনা নাগরিকসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে রামগড় থানা পুলিশ। 

বুধবার (১২ নভেম্বর) রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়। শনিবার (১৫ নভেম্বর) তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে খাগড়াছড়ি আদালতে পাঠানো হয়েছে।

রামগড় থানা পুলিশ জানায়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী পার্বত্য চট্টগ্রামে বিদেশি নাগরিকদের অবস্থানের জন্য বিশেষ অনুমতি প্রয়োজন। এ অনুমতি ছাড়াই দুই চীনা নাগরিক রামগড়ে অবস্থান করছিলেন এমন তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার রাতে পুলিশ ওই কক্ষে অভিযান চালায়। 

অভিযানের সময় কক্ষটিতে রাখা বিভিন্ন প্রযুক্তিগত সরঞ্জাম দেখে পুলিশের সন্দেহ হয়। পরে ঢাকা থেকে বিটিআরসির বিশেষজ্ঞ দল এসে ডিভাইসগুলো পরীক্ষা করে ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রটোকল (VOIP)- এর অবৈধ ব্যবহার নিশ্চিত করে।

অভিযানে কক্ষটি থেকে সিমবক্স, রাউটার, কানেকশন প্যানেল, অ্যান্টেনা, NVR মেশিন, POE সুইচসহ প্রায় ৬০টির বেশি ডিভাইস জব্দ করা হয়। এসব ডিভাইস ব্যবহার করে আন্তর্জাতিক কল টার্মিনেশন জালিয়াতি চালানো হচ্ছিলো বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে বিটিআরসি। এতে সরকারের উল্লেখযোগ্য রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।

গ্রেপ্তার চীনা নাগরিকরা হলেন জিয়াং চেংটং (৩৩) এবং তাং তংউ (৩২)। তারা চট্টগ্রামের খুলশী আবাসিক এলাকায় বসবাস করছিলেন। একই মামলায় চট্টগ্রামের বোয়ালখালীর মো.

আসিফ উদ্দিনকেও (২৫) গ্রেপ্তার করা হয়।

বিটিআরসির উপসহকারী পরিচালক মোশারফ হোসেন বাদী হয়ে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০০১ (সংশোধনী ২০১০)-এর সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা করেছেন।

রামগড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন বলেন, “জব্দ করা সরঞ্জামগুলো অবৈধ কলরাউটিংয়ে ব্যবহৃত হচ্ছিলো, বিটিআরসি তা নিশ্চিত করার পরই মামলার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। এ ধরনের আর কোনো চক্র এলাকায় সক্রিয় আছে কি না, তা যাচাই করা হচ্ছে। গ্রেপ্তার তিন জনকে শনিবার (১৫ নভেম্বর) আদালতে পাঠানো হয়েছে।”

ঢাকা/রূপায়ন/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব ট আরস র মগড

এছাড়াও পড়ুন:

খাগড়াছড়িতে ভিওআইপি চক্রের আস্তানা, চীনা নাগরিকসহ আটক ৩

খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলা সদরের খান কমপ্লেক্সের চতুর্থ তলার একটি কক্ষ থেকে অবৈধ ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রোটোকল (VOIP) কার্যক্রমের অভিযোগে দুই চীনা নাগরিকসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে রামগড় থানা পুলিশ। 

বুধবার (১২ নভেম্বর) রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়। শনিবার (১৫ নভেম্বর) তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে খাগড়াছড়ি আদালতে পাঠানো হয়েছে।

রামগড় থানা পুলিশ জানায়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী পার্বত্য চট্টগ্রামে বিদেশি নাগরিকদের অবস্থানের জন্য বিশেষ অনুমতি প্রয়োজন। এ অনুমতি ছাড়াই দুই চীনা নাগরিক রামগড়ে অবস্থান করছিলেন এমন তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার রাতে পুলিশ ওই কক্ষে অভিযান চালায়। 

অভিযানের সময় কক্ষটিতে রাখা বিভিন্ন প্রযুক্তিগত সরঞ্জাম দেখে পুলিশের সন্দেহ হয়। পরে ঢাকা থেকে বিটিআরসির বিশেষজ্ঞ দল এসে ডিভাইসগুলো পরীক্ষা করে ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রটোকল (VOIP)- এর অবৈধ ব্যবহার নিশ্চিত করে।

অভিযানে কক্ষটি থেকে সিমবক্স, রাউটার, কানেকশন প্যানেল, অ্যান্টেনা, NVR মেশিন, POE সুইচসহ প্রায় ৬০টির বেশি ডিভাইস জব্দ করা হয়। এসব ডিভাইস ব্যবহার করে আন্তর্জাতিক কল টার্মিনেশন জালিয়াতি চালানো হচ্ছিলো বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে বিটিআরসি। এতে সরকারের উল্লেখযোগ্য রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।

গ্রেপ্তার চীনা নাগরিকরা হলেন জিয়াং চেংটং (৩৩) এবং তাং তংউ (৩২)। তারা চট্টগ্রামের খুলশী আবাসিক এলাকায় বসবাস করছিলেন। একই মামলায় চট্টগ্রামের বোয়ালখালীর মো. আসিফ উদ্দিনকেও (২৫) গ্রেপ্তার করা হয়।

বিটিআরসির উপসহকারী পরিচালক মোশারফ হোসেন বাদী হয়ে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০০১ (সংশোধনী ২০১০)-এর সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা করেছেন।

রামগড় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন বলেন, “জব্দ করা সরঞ্জামগুলো অবৈধ কলরাউটিংয়ে ব্যবহৃত হচ্ছিলো, বিটিআরসি তা নিশ্চিত করার পরই মামলার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। এ ধরনের আর কোনো চক্র এলাকায় সক্রিয় আছে কি না, তা যাচাই করা হচ্ছে। গ্রেপ্তার তিন জনকে শনিবার (১৫ নভেম্বর) আদালতে পাঠানো হয়েছে।”

ঢাকা/রূপায়ন/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ