কফি, কলা, গরুর মাংস সহ দুই শতাধিক খাদ্যপণ্যের ওপর থেকে শুল্ক প্রত্যাহার করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুক্রবার তিনি এ  সংক্রান্ত একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন।

খাদ্যদ্রব্যের ক্রমবর্ধমান দামের কারণে ট্রাম্প প্রশাসন চাপের মুখোমুখি হওয়ার পর এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আজ শনিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। 

আরো পড়ুন:

চতুর্থ সন্তানের মা হলেন কার্ডি বি

ইরানের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রের

প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্প এর আগে সাধারণ মার্কিনিদের জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির উদ্বেগকে অগ্রাহ্য করলেও, গত সপ্তাহের মেয়র নির্বাচনে তার রিপাবলিকান পার্টির খারাপ ফলাফলের পর থেকে তিনি এই বিষয়টির উপর মনোযোগ দিয়েছেন।

হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, খাদ্যপণ্যের জন্য ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন শুল্ক ছাড় ১৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে কার্যকর হয়েছে।

দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট পদে বসার পরে থেকেই শুল্ক চাপিয়ে বিশ্ববাণিজ্যের পরিস্থিতি জটিল করেন ট্রাম্প। এতদিন তিনি দাবি করে আসছিলেন যে, তার ব্যাপক শুল্ক আরোপের সঙ্গে মূল্যস্ফীতির কোনো সম্পর্ক নেই। তার দাবি, ক্রয়ক্ষমতা মার্কিনিদের কাছে একটি ‘নতুন শব্দ’ এবং ডেমোক্র্যাটদের ‘প্রতারণা’।

তিনি যুক্তি দিয়েছিলেন যে, মার্কিন বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে শুল্কগুলো প্রয়োজনীয়। তার মতে, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বিভিন্ন দেশের পণ্যের ওপর আরোপিত ‍উচ্চ শুস্ক নাগরিকদের দেশীয় পণ্য কিনতে উৎসাহিত করবে।

কিন্তু নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন খাদ্যপণ্য ও গরুর মাংসের উর্ধ্বমুখী দাম ট্রাম্পের জন্য একটি রাজনৈতিক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত সপ্তাহে, তিনি মাংস-প্যাকিং খাতে তদন্তের আহ্বান জানিয়ে কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে ‘অবৈধ যোগসাজশ, মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য কারসাজির’ অভিযোগ করেন।

শুল্কের পক্ষে সমর্থন পাওয়ার লক্ষ্যে ট্রাম্প মার্কিনিদের জন্য দুহাজার ডলারের একটি পেমেন্ট অফার করেছিলেন, যা আগামী বছর শুল্ক রাজস্ব থেকে অর্থায়ন করা হবে। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট ট্রাম্পের এই শুল্ক বাস্তবায়নের আইনি কর্তৃত্ব আছে কিনা তা বিবেচনা করছে।

শুক্রবার দুই শতাধিক খাদ্যপণ্যের ওপর থেকে শুল্ক প্রত্যাহারের ঘোষণাটি ট্রাম্পের অবস্থান থেকে বড় ধরনের নীতিগত পরিবর্তন।

হোয়াইট হাউজ এক বিবৃতিতে বলেছে, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ককে আরও ‘পারস্পরিক সুবিধাজনক’ অবস্থানে আনার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্টের অগ্রগতির ধারাবাহিকতায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদিত বা প্রক্রিয়াজাত নয় এমন কিছু খাদ্যপণ্যকে শুল্কমুক্ত করা যৌক্তিক বিবেচনায় এসেছে বলে বলা হয়।

আরো শুল্ক ছাড়ের পরিকল্পনা আছে কি না- শুক্রবার হোয়াইট হাউজে সাংবাদিকদের এ প্রশ্নে ট্রাম্প বলেন, “আমার মনে হয় প্রয়োজন হবে না। আমরা কিছু খাবারের ওপর থেকে শুল্ক কিছুটা প্রত্যাহার করেছি। যেমন কফির দাম একটু বেশি ছিল; খুব শিগগিরই তা কমে যাবে।”

বিবিসির প্রতিবেদন অনুসারে, শুল্ক প্রত্যাহারের তালিকায় আম, কমলা, কলা, আনারস, পেয়ারা, লেবু, চা, কোকো, টমোটো, গরুর মাংস সহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্য রয়েছে। বেশ কয়েকটি মশলা এবং সারের ক্ষেত্রেও শুল্কে পরিবর্তন আনা হয়েছে। 

এক বছর আগের তুলনায় এসব পণ্যের দাম অনেকটাই বেড়েছে মার্কিন বাজারে। কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্সের তথ্য অনুযায়ী, গুরুর কিমার দামের এক বছরে বৃদ্ধি হয়েছে ১৩ শতাংশ। যা তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ দামের বৃদ্ধি। কলার দাম ৭ শতাংশ, টমোটোর দাম ১ শতাংশ বেড়েছে। সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে খাবারের দামই ২.

৭ শতাংশ বেড়েছে। গ্রোসারি দ্রব্যের দামও বেড়েছে দেশটিতে। যা নিয়ে সাধারণ মার্কিনীদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতেই শুল্ক নিয়ে পিছু হঠলেন ট্রাম্প।

ঢাকা/ফিরোজ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য ক তর ষ ট র য ক তর ষ ট র খ দ যপণ য র র ওপর থ ক য র ওপর পর থ ক

এছাড়াও পড়ুন:

ডিএসইতে সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে সামিট অ্যালায়েন্স

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে (৯ থেকে ১৩ নভেম্বর) কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোর মধ্যে লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে সেবা ও আবাসন খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট লিমিটেড।

শনিবার (১৫ নভেম্বর) ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য মতে, সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ১৯ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা ছিল ডিএসইর মোট লেনদেনের ৫.৪৭ শতাংশ। এর ফলে কোম্পানিটি লেনদেনের শীর্ষে অবস্থান করছে।

তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা আনোয়ার গ্যালভানাইজিংয়ের ১৪ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ৪.২১ শতাংশ।

তৃতীয় স্থানে থাকা ওরিয়ন ইনফিউশনের ১১ কোটি ৮৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ৩.৩৬ শতাংশ।

লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে- সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজের ৮ কোটি ৯৫ লাখ টাকা, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের ৮ কোটি ৬৯ লাখ টাকা, স্কয়ার ফার্মার ৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা, ডমিনেজ স্টিলের  ৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা, মনোস্পুল পেপারের ৮ কোটি ৪২ লাখ টাকা, খান ব্রাদার্স পিপি বেগ ইন্ডাস্ট্রিজের ৭ কোটি ৬৫ লাখ টাকা এবং রানার অটোমোবাইলের ৭ কোটি ৩ লাখ টাকা।র লেনদেন হয়েছে।

ঢাকা/এনটি/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ