রংপুরের ব্যবসায়ী আশরাফুল হককে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ব্ল্যাকমেইল করে ১০ লাখ টাকা আদায়ের উদ্দেশ্য ছিল তার বন্ধু জরেজুল ইসলাম ও জরেজুলের প্রেমিকা শামীমা আক্তার ওরফে কোহিনুরের। এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে কোহিনুর মিথ্যা প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে।

শনিবার (১৫ নভেম্বর) সকালে কারওয়ান বাজার র‍্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য র‌্যাবের জানান কর্মকর্তারা।

আরো পড়ুন:

রাঙ্গুনিয়ায় শ্রমিক দল নেতাকে গুলি করে হত্যা

গণহত্যার রায় নিয়ে শঙ্কা নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

র‌্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফায়েজুল আরেফিন জানান, জরেজুলের পরামর্শে শামীমা এক মাস আগে আশরাফুলের সঙ্গে মিথ্যা প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন এবং মোবাইল ফোনে নিয়মিত কথা বলতেন কোহিনুর। গত ১১ নভেম্বর আশরাফুলকে ঢাকায় আনা হয়। ১২ নভেম্বর তারা ঢাকার শনির আখড়ার নূরপুর এলাকায় একটি বাসা ভাড়া করেন। রংপুর থেকে আসার আগেই জরেজুল শামীমাকে অন্তরঙ্গ ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেইলের মাধ্যমে টাকা আদায়ের কথা জানান।

পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী, শামীমা আশরাফুলকে মাল্টার শরবতের সাথে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে হালকা অচেতন করেন। এরপর তারা যখন একান্ত সময় কাটান, তখন জরেজুল বাইরে থেকে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও ধারণ করেন।

র‌্যাব কর্মকর্তা জানান, এক পর্যায়ে জরেজুল আশরাফুলকে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করেন এবং মুখে কসটেপ দিয়ে আটকে দেন। শ্বাস নিতে না পারায় আশরাফুলের মৃত্যু হয়। পরবর্তীতে, তারা বাজার থেকে কেনা দুটি ড্রামে আশরাফুলের মরদেহ ২৬ টুকরো করে ভরে সিএনজি করে হাইকোর্ট মাজারগেটের কাছে ফেলে রাখে। ১৩ নভেম্বর হাইকোর্ট সংলগ্ন এলাকায় দুটি নীল ড্রামের ভেতর অজ্ঞাত পুরুষের ২৬ খণ্ডের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। আঙুলের ছাপের মাধ্যমে পরে মরদেহটি নিখোঁজ ব্যবসায়ী আশরাফুল হকের বলে শনাক্ত হয়।

নিহতের বোনের দায়ের করা হত্যা মামলার সূত্র ধরে তদন্তে নেমে র‍্যাব-৩ গত ১৪ নভেম্বর সকালে কুমিল্লার লাকসাম থেকে জরেজুলের প্রেমিকা শামীমা আক্তারকে গ্রেপ্তার করে। শামীমার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হত্যার কাজে ব্যবহৃত আলামত- রক্তমাখা পোশাক, দড়ি, স্কচটেপ ইত্যাদি শনির আখড়ার নূরপুর এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিক তদন্তে র‌্যাব আরো জানিয়েছে, ব্ল্যাকমেইল করে টাকা আদায়ই ছিল তাদের মূল উদ্দেশ্য। তবে হত্যাকাণ্ডের পেছনে ব্যক্তিগত শত্রুতার বিষয় আছে কি না- তা প্রধান আসামি জরেজুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে পরিষ্কার হবে। 

ঢাকা/এমআর/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য আশর ফ ল র

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো স্টেডিয়াম আলট্রা-রান

বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো হতে যাচ্ছে স্টেডিয়ামভিত্তিক আলট্রা-রান প্রতিযোগিতা, আয়োজন করতে যাচ্ছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কোস্টাল আলট্রা বাংলাদেশ। ‘ঢাকা স্টেডিয়াম রান ২০২৫’ নামে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৫ ও ২৬ ডিসেম্বর জাতীয় স্টেডিয়ামে।

কোস্টাল আলট্রা বাংলাদেশ-এর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এই ইভেন্ট আয়োজনে সহযোগিতা করছে বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশন। কোস্টাল আলট্রা বাংলাদেশ এ বছর ফেব্রুয়ারিতে কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম দূরত্বের আলট্রা-ম্যারাথন আয়োজন করেছিল। সেই প্রতিযোগিতায়  ৫০ কিলোমিটার থেকে শুরু করে ২০০ কিলোমিটার—চার ক্যাটাগরিতে  দেশি–বিদেশি প্রায় ৪০০ দৌড়বিদ অংশ নেন।

আলট্রা-রান মূলত ম্যারাথনের প্রচলিত ৪২.১৯৫ কিলোমিটারের চেয়ে বেশি দূরত্বের দৌড়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিশ্বের নানা দেশে এ ধরনের দৌড়ের জনপ্রিয়তা দ্রুত বাড়ছে। তবে স্টেডিয়াম আলট্রা-রান একটু আলাদা, এখানে নির্দিষ্ট দূরত্ব নয়; বরং নির্দিষ্ট সময় ধরে দৌড়াতে হয়। নির্দিষ্ট সময়ে কে কত দূর দৌড়াতে পারেন, সেই হিসাবেই নির্ধারিত হন বিজয়ী।

আয়োজকেরা জানিয়েছেন, ‘ঢাকা স্টেডিয়াম রান ২০২৫’–এ থাকছে সময়ভিত্তিক চার ক্যাটাগরি ৩৬ ঘণ্টা, ২৪ ঘণ্টা, ১২ ঘণ্টা ও ৬ ঘণ্টা। আন্তর্জাতিক মান পূরণ সাপেক্ষে দেশি–বিদেশি প্রায় ৪০০ দৌড়বিদ এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেবেন বলে জানানো হয়েছে। দৌড়বিদদের সহায়তায় কাজ করবেন প্রায় ২০০ স্বেচ্ছাসেবক।

ইভেন্টে অংশগ্রহণের জন্য আবেদন গ্রহণ শুরু হবে ১৬ নভেম্বর রাত ৮টা থেকে। বাছাইপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্বাচিত দৌড়বিদেরাই প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবেন। আবেদন করা যাবে সংগঠনটির ওয়েবসাইটে: coastalultra.com

সম্পর্কিত নিবন্ধ