বিশ্বের সবচেয়ে কম জনসংখ্যার দেশ হিসেবে বিশ্বকাপে খেলার দ্বারপ্রান্তে কুরাসাও
Published: 15th, November 2025 GMT
বিশ্বকাপ ফুটবল মানে আন্ডারডগের উঠে আসার গল্পও। ২০১৮ সালে সবচেয়ে কম জনসংখ্যার দেশ হিসেবে বিশ্বকাপে এসে সবাইকে চমকে দিয়েছিল আইসল্যান্ড। কদিন আগে জনসংখ্যার হিসাবে দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম দেশ হিসেবে বিশ্বকাপের টিকিট কেটেছে কেপ ভার্দে।
সেই ধারাতে এবার বিশ্বকাপে টিকিট পাওয়ার দুয়ারে পৌঁছে গেছে কুরাসাও। কনক্যাকাফ অঞ্চলের এই দেশটি যদি শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করতে পারে, তবে তারা লিখবে নতুন এক ইতিহাস। আইসল্যান্ডকে ছাড়িয়ে তারাই হবে বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ পাওয়া সবচেয়ে কম জনসংখ্যার দেশ। কুরাসাওয়ের জনসংখ্যা মাত্র ১ লাখ ৫৬ হাজার এবং আয়তন মাত্র ৪৪৪ বর্গকিলোমিটার।
প্রথমবারের বিশ্বকাপে খেলার সম্ভাবনা উজ্জ্বল করার পথে গতকাল শুক্রবার রাতে হ্যামিল্টনে বারমুডাকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে কুরাসাও। এখন বিশ্বকাপের চূড়ান্ত টিকিট পেতে ১৯ নভেম্বর বুধবার জ্যামাইকার বিপক্ষে একটি ড্র পেলেই চলবে দলটির।
আরও পড়ুনআর্জেন্টিনার পরের ম্যাচের প্রতিপক্ষ কুরাসাও কারা, কীই–বা তাদের ফুটবল ঐতিহ্য২৭ মার্চ ২০২৩কুরাসাও এর আগে আলোচনায় এসেছিল ২০২৩ সালের মার্চে। সেবার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল তারা। সেই ম্যাচে লিওনেল মেসির হ্যাটট্রিকে আর্জেন্টিনা জিতেছিল ৭-০ গোলে। ম্যাচটিতে বড় ব্যবধানে হারলেও বিশ্বব্যাপী পরিচিতিও লাভ করে দেশটি। আর এবার তারা এখন আছে ইতিহাস গড়ার অপেক্ষায়।
কুরাসাও দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলার ঠিক উত্তরে, ক্যারিবিয়ান সাগরে অবস্থিত। তবে ভৌগোলিকভাবে দক্ষিণ আমেরিকার পাশে হলেও তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে কনক্যাকাফ অঞ্চলের দেশগুলোর সঙ্গে। দেশটি মূলত দুটি দ্বীপ নিয়ে গঠিত। একটি হলো কুরাসাও মূল দ্বীপ এবং অন্যটি জনবসতিহীন ‘লিটল কুরাসাও’।
কুরাসাও ১৮১৫ থেকে ১৯৫৪ পর্যন্ত কুরাসাও অ্যান্ড ডিপেনডিন্সিস কলোনির অংশ ছিল। এরপর ১৯৫৪ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত তারা ছিল নেদারল্যান্ডস এন্টিলিসের অংশ। ২০১০ সালের অক্টোবরে নেদারল্যান্ডস এন্টিলিসের বিলুপ্তির পর থেকে কুরাসাও রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত। বর্তমানে তারা মূলত কিংডম অব নেদারল্যান্ডসের অন্তর্গত স্বায়ত্তশাসিত একটি রাষ্ট্র। যেখানে তাদের প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্রনীতির নিয়ন্ত্রণ মূলত ডাচদের হাতে। এখানে ডাচ, ইংরেজি ও পাপিয়ামেন্টো ভাষায় কথা বলা হয়।
আরও পড়ুন৭ গোল হজম করেও যেভাবে ‘স্বপ্নপূরণ’ হলো কুরাসাও গোলরক্ষকের২৯ মার্চ ২০২৩কুরাসাওকে বিশ্বকাপের দুয়ারে পৌঁছে দেওয়ার অন্যতম নায়ক ডিক অ্যাডভোকাট। যিনি এর আগে নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম রেঞ্জার্স ও সান্ডারল্যান্ডের মতো ক্লাবের কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন। জনসংখ্যা খুব কম হলেও কুরাসাও দলে কিন্তু শীর্ষ লিগে খেলা ফুটবলার রয়েছে। যেমন বারমুডার বিপক্ষে জোড়া গোল করা জর্ডি পাউলিনা খেলেছেন বরুসিয়া ডর্টমুন্ডে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব শ বক প র জনস খ য র
এছাড়াও পড়ুন:
বিশ্বের সবচেয়ে কম জনসংখ্যার দেশ হিসেবে বিশ্বকাপে খেলার দ্বারপ্রান্তে কুরাসাও
বিশ্বকাপ ফুটবল মানে আন্ডারডগের উঠে আসার গল্পও। ২০১৮ সালে সবচেয়ে কম জনসংখ্যার দেশ হিসেবে বিশ্বকাপে এসে সবাইকে চমকে দিয়েছিল আইসল্যান্ড। কদিন আগে জনসংখ্যার হিসাবে দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম দেশ হিসেবে বিশ্বকাপের টিকিট কেটেছে কেপ ভার্দে।
সেই ধারাতে এবার বিশ্বকাপে টিকিট পাওয়ার দুয়ারে পৌঁছে গেছে কুরাসাও। কনক্যাকাফ অঞ্চলের এই দেশটি যদি শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করতে পারে, তবে তারা লিখবে নতুন এক ইতিহাস। আইসল্যান্ডকে ছাড়িয়ে তারাই হবে বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ পাওয়া সবচেয়ে কম জনসংখ্যার দেশ। কুরাসাওয়ের জনসংখ্যা মাত্র ১ লাখ ৫৬ হাজার এবং আয়তন মাত্র ৪৪৪ বর্গকিলোমিটার।
প্রথমবারের বিশ্বকাপে খেলার সম্ভাবনা উজ্জ্বল করার পথে গতকাল শুক্রবার রাতে হ্যামিল্টনে বারমুডাকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে কুরাসাও। এখন বিশ্বকাপের চূড়ান্ত টিকিট পেতে ১৯ নভেম্বর বুধবার জ্যামাইকার বিপক্ষে একটি ড্র পেলেই চলবে দলটির।
আরও পড়ুনআর্জেন্টিনার পরের ম্যাচের প্রতিপক্ষ কুরাসাও কারা, কীই–বা তাদের ফুটবল ঐতিহ্য২৭ মার্চ ২০২৩কুরাসাও এর আগে আলোচনায় এসেছিল ২০২৩ সালের মার্চে। সেবার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল তারা। সেই ম্যাচে লিওনেল মেসির হ্যাটট্রিকে আর্জেন্টিনা জিতেছিল ৭-০ গোলে। ম্যাচটিতে বড় ব্যবধানে হারলেও বিশ্বব্যাপী পরিচিতিও লাভ করে দেশটি। আর এবার তারা এখন আছে ইতিহাস গড়ার অপেক্ষায়।
কুরাসাও দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলার ঠিক উত্তরে, ক্যারিবিয়ান সাগরে অবস্থিত। তবে ভৌগোলিকভাবে দক্ষিণ আমেরিকার পাশে হলেও তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে কনক্যাকাফ অঞ্চলের দেশগুলোর সঙ্গে। দেশটি মূলত দুটি দ্বীপ নিয়ে গঠিত। একটি হলো কুরাসাও মূল দ্বীপ এবং অন্যটি জনবসতিহীন ‘লিটল কুরাসাও’।
কুরাসাও ১৮১৫ থেকে ১৯৫৪ পর্যন্ত কুরাসাও অ্যান্ড ডিপেনডিন্সিস কলোনির অংশ ছিল। এরপর ১৯৫৪ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত তারা ছিল নেদারল্যান্ডস এন্টিলিসের অংশ। ২০১০ সালের অক্টোবরে নেদারল্যান্ডস এন্টিলিসের বিলুপ্তির পর থেকে কুরাসাও রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত। বর্তমানে তারা মূলত কিংডম অব নেদারল্যান্ডসের অন্তর্গত স্বায়ত্তশাসিত একটি রাষ্ট্র। যেখানে তাদের প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্রনীতির নিয়ন্ত্রণ মূলত ডাচদের হাতে। এখানে ডাচ, ইংরেজি ও পাপিয়ামেন্টো ভাষায় কথা বলা হয়।
আরও পড়ুন৭ গোল হজম করেও যেভাবে ‘স্বপ্নপূরণ’ হলো কুরাসাও গোলরক্ষকের২৯ মার্চ ২০২৩কুরাসাওকে বিশ্বকাপের দুয়ারে পৌঁছে দেওয়ার অন্যতম নায়ক ডিক অ্যাডভোকাট। যিনি এর আগে নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম রেঞ্জার্স ও সান্ডারল্যান্ডের মতো ক্লাবের কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন। জনসংখ্যা খুব কম হলেও কুরাসাও দলে কিন্তু শীর্ষ লিগে খেলা ফুটবলার রয়েছে। যেমন বারমুডার বিপক্ষে জোড়া গোল করা জর্ডি পাউলিনা খেলেছেন বরুসিয়া ডর্টমুন্ডে।