গাছ থেকে নারকেল, তাল কিংবা আম পেড়ে খেতে ভারী মজা। লম্বা লম্বা তালগাছ থেকে তাল পাড়তে অনেক কৌশল ব্যবহার করি আমরা। গাছের মাথা থেকে তাল ফেলে দিলে নিচে অনেক কসরত করে ধরতে হয়। কখনো বিশাল চাদর, কখনো বা খালি হাতেই তাল বা নারিকেল ধরতে চাই আমরা। এবার বিজ্ঞানীরা আকাশে ছুটে চলা গ্রহাণু ধরার একটি পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। বিভিন্ন গ্রহাণু বিরল ও সাধারণ সব ধরণের ধাতুসমৃদ্ধ। গ্রহাণুতে মানুষের পৌঁছানো বেশ কঠিন কাজ বলা যায়। বর্তমানে পৃথিবীতে যেহেতু ধাতুর খনির সম্পদ কমছে সেই পরিপ্রেক্ষিতে গ্রহাণু ধরে ধরে খনির চাহিদা মেটাতে চান বিজ্ঞানীরা। এমন চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার ট্রান্সঅ্যাস্ট্রা নামের স্টার্টআপ।
গ্রহাণু ধরতে একটি ক্যাপচার ব্যাগ ডিজাইন ও পরীক্ষা করা হচ্ছে। এই ব্যাগ ছোট পাথর থেকে শুরু করে বড় বড় আকারের গ্রহাণু পর্যন্ত সবকিছুকে ধরতে সক্ষম। এই বিশেষ ব্যাগ ব্যবহার করে মহাকাশের আবর্জনা অপসারণের সুযোগ তৈরি হতে পারে। ক্যালটেকের মহাকাশ প্রকৌশলী ও ট্রান্সঅ্যাস্ট্রার প্রতিষ্ঠাতা জোয়েল সার্সেল বলেন, গ্রহাণুতে খনন করা একটি খুব ঝুঁকিপূর্ণ ও চ্যালেঞ্জিং কাজ। গ্রহাণু খনন সমস্যা সমাধানের জন্য আসলে আরও চারটি সমস্যা সমাধান করতে হয়। গ্রহাণু শনাক্ত করে তাকে ধরা গুরুত্বপূর্ণ। এরপর প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ধাতু সংগ্রহের সুযোগ আছে।
সম্প্রতি আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে গ্রহাণুকে ধরার বিশেষ ব্যাগ প্রযুক্তি পরীক্ষা করা হয়েছে। ব্যাগটি পৃথিবীর মতো কক্ষপথে থাকা গ্রহাণুকে লক্ষ্য করে তৈরি করা হয়েছে। বেশ কিছু গ্রহাণু আছে যা তুলনামূলকভাবে কাছাকাছি মাত্র শত শত কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এসবে খনন করা যেতে পারে। ইতিমধ্যেই শত শত গ্রহাণুর তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। ২০২৮ সালে প্রথম গ্রহাণু ধরা হবে। ট্রান্সঅ্যাস্ট্রা বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ১.
এখন পর্যন্ত তিনটি গ্রহাণুতে খননের চেষ্টা করা হয়েছে। যদিও এর পেছনে কয়েক শ কোটি ডলার খরচ হয়েছে। খরচ কমানোর জন্য ক্যাপচার ব্যাগ ধারণা নিয়ে কাজ করছে। এই পরিকল্পনায় ব্যাগ নিয়ে সজ্জিত একটি মহাকাশযানকে লক্ষ্যবস্তুর কাছে পাঠানো হবে। লক্ষ্যবস্তুর কাছাকাছি যাওয়ার পর মহাকাশযানের মাধ্যমে একটি বড় ও টেকসই ব্যাগ দিয়ে তা ধরে ফেলা হবে। যেহেতু গ্রহাণুর ভিতরের নানা উপাদান থাকে তাই নমনীয় ব্যাগটি সেই সব উপাদান সুরক্ষিত করবে।
ট্রান্সঅ্যাস্ট্রার চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো গ্রহাণু খননের জন্য ক্যাপচার ব্যাগ ব্যবহার করা। সবচেয়ে বড় ব্যাগে ১০ হাজার টন ওজনের গ্রহাণু ক্যাপচার করা যাবে। ২০২৮ সালের মধ্যে খননের জন্য প্রথম গ্রহাণু ক্যাপচার বা ধরা হতে পারে। এছাড়াও মূল্যবান গ্রহাণুকে ধরার পাশাপাশি ক্যাপচার ব্যাগ মহাকাশের আবর্জনা হিসেবে অকেজো স্যাটেলাইট ধরতে ব্যবহার করা হবে বলে জানা গেছে।
সূত্র: এনডিটিভি
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব যবহ র কর ন র জন য লক ষ য গ রহ ণ
এছাড়াও পড়ুন:
২০২৮ ইউরোর ফাইনাল ওয়েম্বলিতে, উদ্বোধনী ম্যাচ কার্ডিফে
২০২৮ ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের (ইউরো) উদ্বোধনী ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ৯ জুন কার্ডিফে। লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে ৯ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে ফাইনাল। টুর্নামেন্টটির আয়োজক ইউরোপিয়ান ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফা গতকাল বুধবার লন্ডনে ২০২৮ সংস্করণের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনে এ তথ্য জানায়।
২৪ দলের এ টুর্নামেন্ট ইংল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, ওয়েলস ও স্কটল্যান্ডজুড়ে মোট ৮টি শহরের ৯টি ভেন্যুতে আয়োজন করা হবে। ম্যাচ হবে মোট ৫১টি। সেমিফাইনাল এবং কোয়ার্টার ফাইনালের একটি ম্যাচও ঐতিহ্যবাহী ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। কোয়ার্টার ফাইনালের বাকি ম্যাচগুলোর ভেন্যু ডাবলিন, গ্লাসগো ও কার্ডিফ। শেষ ষোলোর ম্যাচগুলো ওয়েম্বলি ছাড়া সব ভেন্যুতেই অনুষ্ঠিত হবে।
আয়োজক দেশগুলোর মধ্যে টুর্নামেন্টে যারা খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে, গ্রুপ পর্বের ম্যাচগুলো তারা ঘরের মাঠে খেলবে। আগের ইউরো টুর্নামেন্টগুলোর মতো আয়োজক দেশগুলো এবার আর সরাসরি খেলার সুযোগ পাবে না। বাছাইপর্ব পেরিয়ে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। চারটি আয়োজক দেশকে বাছাইপর্বে আলাদা আলাদা গ্রুপে রাখা হবে এবং যারা সরাসরি উত্তীর্ণ হতে পারবে না, সেসব দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ র্যাঙ্কধারী দুটি দলকে জায়গা দেওয়া হবে।
২০২৮ ইউরোর উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে অতিথিদের সঙ্গে উয়েফা সভাপতি আলেক্সান্দার সেফেরিন