কম্বোডিয়া নতুন করে ১৭টি যুদ্ধবিমান কেনার জন্য সুইডেনের সঙ্গে ৪.৩ বিলিয়ন ডলারের একটি চুক্তি স্বাক্ষরের ঘোষণা দিয়েছে। এমন এক সময়ে এই ঘোষণা এলো যখন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দেশটির সম্পর্ক তীব্র উত্তেনাজপূর্ণ।

বৃহস্পতিবার (১৫ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আলজাজিরা। 

আরো পড়ুন:

দুই শতাধিক খাদ্যপণ্যের ওপর থেকে শুল্ক প্রত্যাহার করলেন ট্রাম্প

চতুর্থ সন্তানের মা হলেন কার্ডি বি

প্রতিবেদনে বলা হয়, কম্বোডিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রো শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সুইডেনের কাছ ১৭টি গ্রিপেন যুদ্ধবিমান কেনার জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া একটি পোস্টে পেট্রো বলেন, “শান্তি অর্জনের জন্য এটি একটি প্রতিরোধমূলক অস্ত্র।”

যুদ্ধবিমান কেনার এই সিদ্ধান্ত এমন এক সময় এলো যখন কলম্বিয়া এবং ল্যাটিন আমেরিকার বেশিরভাগ দেশ এই অঞ্চলে মার্কিন সামরিক শক্তি বৃদ্ধির কারণে ঝুঁকিতে রয়েছে। মার্কিন বাহিনী চলতি বছরের সেপ্টেম্বর থেকে ক্যারিবীয় এবং পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরে নৌযানগুলোতে ‘মাদকবিরোধী অভিযানের’ নামে ব্যাপক হামলা চালাচ্ছে।  

মাদকসংশ্লিষ্টতার কোনো প্রমাণ না দিয়েই ট্রাম্প প্রশাসন দাবি করেছে, আন্তর্জাতিক জলসীমায় মাদক চোরাচালানকারী নৌযান লক্ষ্য করে মার্কিন বাহিনী এখন পর্যন্ত প্রায় ২০টি হামলা চালিয়েছে। এসব হামলায় প্রায় ৮০ জন নিহত হয়েছেন।

ল্যাটিন আমেরিকার নেতারা, আইনজ্ঞ এবং অধিকার গোষ্ঠীগুলো যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যাকাণ্ড চালানোর অভিযোগ তুলেছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট পেট্রো এবং ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর বিরুদ্ধে আঞ্চলিক মাদক ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগ এনেছেন। উভয় নেতাই এই অভিযোগ দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করেছেন।

পেট্রো বলেছেন, “নতুন যুদ্ধবিমানগুলো ‘কলম্বিয়ার বিরুদ্ধে আগ্রাসন, তা যেখান থেকেই আসুক না কেন’ দমন করতে ব্যবহার করা হবে।”

তিনি বলেন,  “ভূ-রাজনীতি অগোছালো একটি পৃথিবীতে এই ধরনের আগ্রাসন যেকোনো জায়গা থেকে আসতে পারে।”

গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই পেট্রো এবং ট্রাম্প একে অপরেরর বিরুদ্ধে অপমানজনক কথাবার্তা’ বলে আসছেন। উভয় নেতা একে অপরের বিরুদ্ধে ‘বড় ধরনের পদক্ষেপ’ এবং মামলার হুমকি পর্যন্ত দিয়েছেন।

পেট্রো বলছেন, এই অঞ্চলে মার্কিন সেনা মোতায়েনের চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো ভেনেজুয়েলার তেল সম্পদ দখল করা এবং ল্যাটিন আমেরিকাকে অস্থিতিশীল করা।

পেট্রোর ঘনিষ্ঠ মিত্র ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট মাদুরোও যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করে বলেছেন, এই অঞ্চলে মার্কিন বাহিনী মোতায়েনের মূল উদ্দেশ্য তাকে ক্ষমতাচ্যুত করা।

ট্রাম্প দীর্ঘদিন ধরে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট মাদুরোকে মাদক পাচারের জন্য অভিযুক্ত করে আসছেন এবং সম্প্রতি কলম্বিয়ার উচ্চ মাত্রার কোকেন উৎপাদনের কারণে পেট্রোকে ‘অবৈধ মাদক নেতা’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। ট্রাম্প কলম্বিয়া থেকে মার্কিন আর্থিক সহায়তা প্রত্যাহার করেছেন এবং আন্তর্জাতিকভাবে মাদক পাচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মিত্র দেশগুলোর তালিকা থেকে কলম্বিয়াকে বাদ দিয়েছেন।

বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, মার্কিন এবং ফরাসি সংস্থাগুলোও কলম্বিয়ার কাছে যুদ্ধবিমান বিক্রি করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কলম্বিয়া সুইডিশ যুদ্ধবিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সাব-এর সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।

সুইডেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পাল জনসন বলেছেন, “গ্রিপেন যুদ্ধবিমান ব্যবহারকারীর তালিকায় ব্রাজিল এবং থাইল্যান্ডের সাথে যোগ দিচ্ছে কলম্বিয়া। এর ফলে বোগোটা এবং স্টকহোমের মধ্যে প্রতিরক্ষা সম্পর্ক ‘উল্লেখযোগ্যভাবে গভীর’ হবে।”

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য ক তর ষ ট র য ক তর ষ ট র র কলম ব য র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

অভিষেকে মাঠে নামলেন মেসির বদলি হয়ে, করলেন বিশেষ আবদারও

অ্যাঙ্গোলার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ দিয়ে গতকাল শুক্রবার রাতে আর্জেন্টিনার হয়ে অভিষেক হয়েছে তরুণ হোয়াকিন পানিচেলির। লুয়ান্ডায় ম্যাচের ৮৬ মিনিটে লিওনেল মেসির বদলি হিসেবে মাঠে নামেন এই ফরোয়ার্ড। মেসির একজন ‘ফ্যান বয়’ হিসেবে তাঁর বদলি নেমে খেলতে পেরে দারুণ রোমাঞ্চিত ২৩ বছর বয়সী এই ফুটবলার। এমনকি মেসির কাছে ছবি তোলার আবদারও করেছেন তিনি।

রিভার প্লেটে খেলা ৬ ফুট ২ ইঞ্চি উচ্চতার এই ফরোয়ার্ড বলেছেন, এটা তাঁর জন্য স্বপ্ন সত্যি হওয়ার মতো ব্যাপার। যদিও মাঠে নেমে মাত্র ৪ মিনিট খেলা এই ফুটবলার একটি শট নেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন।

তবে এটুকুতেও অনেক উচ্ছ্বসিত পানিচেলি। ম্যাচের পর টিওআইসি স্পোর্টসকে পানিচেলি বলেছেন, ‘এটা স্বপ্ন সত্যি হওয়ার মতো। আজ কিছু সময় খেলতে পেরেছি। এখানে এসে খেলার সুযোগ পাওয়াটা দারুণ আনন্দের।’

আরও পড়ুনমেসির ছোঁয়ায় আর্জেন্টিনার ২–০ গোলের জয়১৫ ঘণ্টা আগে

এরপর নিজের খেলার ধরণ সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছেন, ‘আমি নিজেকে মূলত একজন সেন্টার ফরোয়ার্ড মনে করি। আমার মনে হয় আমার সেই গুণাগুণ আছে এবং আমি এটি ভালোভাবে সামলাতে পারি। আমি কঠোর পরিশ্রমী; লড়াই করা এবং ট্যাকল দিতেও আমি পছন্দ করি।’

এ সময় স্বাভাবিকভাবেই পানিচেলি কথা বলেছেন তাঁর আদর্শ মেসিকে নিয়ে। মেসির সামনে যতটা সম্ভব পেশাদার থাকার চেষ্টা করলেও একটি আবদার না করে পারেননি, ‘আমি তাঁকে ছোটবেলা থেকে দেখে বড় হয়েছি। এখানে এসে তাঁর সঙ্গে দেখা করা, মেসিসহ অন্য তারকাদের সামনাসামনি দেখা ছিল অসাধারণ এক ব্যাপার। তবে শেষ পর্যন্ত এটা একটা ফুটবল দল, তাই আমিও চেষ্টা করেছি প্রস্তুত থাকতে এবং সর্বোচ্চটা দিতে। আর তাকে একটি ছবিও তুলতে বলেছিলাম। তার সঙ্গে এই মুহূর্তগুলো ভাগাভাগি করতে পারা সত্যিই আনন্দের ছিল।’

আরও পড়ুনলাওতারো রিভেরো: ফুটপাতের বিস্কুট বিক্রেতা থেকে আর্জেন্টিনা দলে মেসির সতীর্থ০৫ অক্টোবর ২০২৫

ফরাসি ক্লাব রেসিং স্ত্রাসবুর্গে খেলা পানিচেলি এখন দারুণ ছন্দে আছেন। লিগে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ গোলদাতাও তিনি। ৯ ম্যাচে তাঁর গোল ১২টি। এর মধ্যে ইউরোপা কনফারেন্স লিগের অভিষেকে গোল করেও আলোচনায় এসেছেন পানিচেলি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ