রাশিয়ায় উচ্চশিক্ষা নিতে চাইলে সে সুযোগ এসেছে। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দিচ্ছে দেশটি। ইচ্ছুক আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের সেই বৃত্তির জন্য আবেদন শুরু হয়েছে। এ বৃত্তির নাম ‘ওপেন ডোরস রাশিয়ান স্কলারশিপ’। রুশ সরকার এ বৃত্তিতে অর্থায়ন করে। ২০২৬ সালের এ প্রোগ্রামে বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। এ বৃত্তিতে রাশিয়ার শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সম্পূর্ণ বিনা খরচে পড়াশোনা করার সুযোগ পাবেন শিক্ষার্থীরা।

এই বৃত্তির আওতায় শিক্ষার্থীরা ব্যাচেলর, মাস্টার্স ও পোস্টডক্টরাল পর্যায়ে পড়াশোনা করতে পারবেন। শুধু টিউশন ফি-ই নয়, নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের মাসিক ভাতা দেওয়া হবে, যা বিশ্ববিদ্যালয়ভেদে ভিন্ন হতে পারে।

আরও পড়ুনআরব আমিরাতের সেরা ১০ স্কলারশিপ: এভিয়েশন–মেডিকেলে পড়াশোনা ০৪ নভেম্বর ২০২৫যেসব বিষয়ে পড়াশোনার সুযোগ রয়েছে

বৃত্তির আওতায় প্রায় সব একাডেমিক বিষয়ই অন্তর্ভুক্ত। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—

অ্যাপ্লায়েড ম্যাথমেটিকস ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা

জীববিজ্ঞান ও বায়োটেকনোলজি

ব্যবসা ও ব্যবস্থাপনা

কেমিস্ট্রি ও ম্যাটেরিয়ালস সায়েন্স

কম্পিউটার ও ডেটা সায়েন্স

আর্থ সায়েন্স ও এনভায়রনমেন্টাল সাসটেইনেবিলিটি

ইঞ্জিনিয়ারিং ও টেকনোলজি

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও রাজনীতি

রুশ ভাষা ও সংস্কৃতি

নগর–পরিকল্পনা ও সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং

এই বৃত্তির আওতায় শিক্ষার্থীরা ব্যাচেলর, মাস্টার্স ও পোস্টডক্টরাল পর্যায়ে পড়াশোনা করতে পারবেন।.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

গাজীপুরে ফ্ল্যাট বাসা থেকে স্বামী-স্ত্রীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার

গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী নওয়াব আলী মার্কেট এলাকায় একটি বাসা থেকে স্বামী-স্ত্রীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। 

শনিবার (১৫ নভেম্বর) সকালে মরদেহ দু’টি উদ্ধার করে পুলিশ। 

নিহত হলেন- ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট থানার আমতলা গ্রামের সুরুজ আলীর ছেলে এমরান হোসেন (৪০) ও তার স্ত্রী রহিমা খাতুন (৩৫)। 

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, এমরান ও রহিমা তাদের সন্তান শারমিনকে নিয়ে কোনাবাড়ি নওয়াব আলী মার্কেট এলাকার একতা ভিলার পাঁচ তলায় ভাড়া থাকতেন।  তাদের মধ্যে কোন এক বিষয় নিয়ে মতবিরোধ সৃষ্টি হয়। তারই জের ধরে এমরান ধারালো দা দিয়ে প্রথমে স্ত্রী রহিমাকে জবাই করে। পরে নিজেও ওই দা নিয়ে নিজের গলা কেটে ফেলেন। 

এ ঘটনা তাদের ১৬ বছর বয়সী মেয়ে শারমিন দেখেছেন বলে জানান। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকাবাসী পুলিশকে ফোন দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে। 

কোনাবাড়ি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) পাপন হোসেন নিহতদের মেয়ে শারমিনের বরাত দিয়ে বলেন, “আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছি। তাদের সন্তান শারমিন আমাদের জানিয়েছেন প্রথমে তার বাবা তার মায়ের গলা কেটে দেয়, পরে নিজেই নিজের গলা কাটে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।”

ঢাকা/রেজাউল/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ