পাকিস্তানে বিতর্কিত সংস্কার সামরিক ভারসাম্য শক্তিশালী করবে, নাকি টালমাটাল করে তুলবে
Published: 15th, November 2025 GMT
পাকিস্তান কয়েক দশকের মধ্যে তার সামরিক ও বিচারব্যবস্থায় সবচেয়ে বড় সংস্কারমূলক পদক্ষেপ নিশ্চিত করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি দেশটির আইনসভায় অনুমোদিত ২৭তম সংবিধান সংশোধনী বিলে স্বাক্ষর করেছেন।
বিরোধী দলের প্রতিবাদ এবং বিভিন্ন নাগরিক সংগঠন ও বিচারকদের সমালোচনার মুখে এ সপ্তাহের শুরুতে আইনসভার উভয় কক্ষে অনুমোদিত হয় বিতর্কিত এ সংশোধনী। এটি পাকিস্তানের উচ্চ আদালতের কাঠামোতে বড় পরিবর্তন আনছে।
কিন্তু অনেক বিশ্লেষক মনে করেন, সংস্কারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিকটি হলো, আর্টিকেল ২৪৩-এ ব্যাপক রদবদল আনা। পাকিস্তানের বেসামরিক সরকার ও সেনাবাহিনীর মধ্যকার সম্পর্ক সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে অনুচ্ছেদটিতে।
সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে যেসব পরিবর্তন আনা হয়েছে, তাতে দেশের শীর্ষ সামরিক নেতারা আজীবন দণ্ডমুক্তি পাচ্ছেন, সামরিক কমান্ড কাঠামো পুনর্গঠিত হচ্ছে এবং সশস্ত্র বাহিনীগুলোর মধ্যে বিরাজমান ভারসাম্য সেনাবাহিনীর দিকে ঝুঁকে পড়ছে।
বিশ্লেষকেরা সতর্ক করছেন যে এ বিতর্কিত সংস্কার পাকিস্তানের বিদ্যমান প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কৃতির সঙ্গে নতুন বন্দোবস্তের সংঘর্ষের ঝুঁকি তৈরি করতে এবং ভঙ্গুর বেসামরিক–সামরিক ভারসাম্যকে নাড়িয়ে দিতে পারে।
আল-জাজিরা সংশোধনী ও এর বিতর্ক নিয়ে সেনাবাহিনীর মিডিয়া শাখার মন্তব্য চেয়েছে। কিন্তু কোনো জবাব পাওয়া যায়নি।
নতুন কমান্ড কাঠামোসংশোধিত আর্টিকেল ২৪৩ নতুন পদ ‘চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ)’ প্রতিষ্ঠা করেছে। ‘চিফ অব আর্মি স্টাফ (সিওএএস)’ বা সেনাপ্রধানই এ পদে অধিষ্ঠিত হবেন। ফলে সেনাপ্রধানকে পাকিস্তান বিমানবাহিনী (পিএএফ) এবং নৌবাহিনী (পিএন) উভয়ের ওপর নিযন্ত্রণক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে যেসব পরিবর্তন আনা হয়েছে, তাতে দেশের শীর্ষ সামরিক নেতারা আজীবন দণ্ডমুক্তি পাচ্ছেন, সামরিক কমান্ড কাঠামো পুনর্গঠিত হচ্ছে এবং সশস্ত্র বাহিনীগুলোর মধ্যে বিরাজমান ভারসাম্য সেনাবাহিনীর দিকে ঝুঁকে পড়ছে।বর্তমান সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির। ২০২২ সালের নভেম্বরে তিনি দায়িত্বভার গ্রহণ করেন এবং ভারতের সঙ্গে চার দিনের সংঘাত শেষ হওয়ার ১০ দিন পর গত ২০ মে পাঁচ তারকা র্যাঙ্কে উন্নীত হন।
আসিম মুনির পাকিস্তানের দ্বিতীয় সামরিক কর্মকর্তা; যিনি পাঁচ তারকা পদ অর্জন করেছেন। প্রথম ব্যক্তিটি ছিলেন ১৯৬০-এর দশকে ফিল্ড মার্শাল আইয়ুব খান। বিমানবাহিনী ও নৌবাহিনী এখন পর্যন্ত কোনো পাঁচ তারকা কর্মকর্তা পায়নি।
সংশোধনীর অধীন ‘চেয়ারম্যান জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটি (সিজেসিএসসি)’–এর কার্যালয়ও এ মাসের শেষে বিলুপ্ত হচ্ছে। বর্তমানে এ পদে চার তারকা জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জা আছেন। ২৭ নভেম্বর অবসর নেবেন তিনি।
সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির (মাঝে), বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল জাহীর আহমদ বাবর সিধু (বাঁয়ে) ও নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল নাভিদ আশরাফ (ডানে)। ১৯ মে, ২০২৫.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
পাকিস্তানে বিতর্কিত সংস্কার সামরিক ভারসাম্য শক্তিশালী করবে, নাকি টালমাটাল করে তুলবে
পাকিস্তান কয়েক দশকের মধ্যে তার সামরিক ও বিচারব্যবস্থায় সবচেয়ে বড় সংস্কারমূলক পদক্ষেপ নিশ্চিত করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি দেশটির আইনসভায় অনুমোদিত ২৭তম সংবিধান সংশোধনী বিলে স্বাক্ষর করেছেন।
বিরোধী দলের প্রতিবাদ এবং বিভিন্ন নাগরিক সংগঠন ও বিচারকদের সমালোচনার মুখে এ সপ্তাহের শুরুতে আইনসভার উভয় কক্ষে অনুমোদিত হয় বিতর্কিত এ সংশোধনী। এটি পাকিস্তানের উচ্চ আদালতের কাঠামোতে বড় পরিবর্তন আনছে।
কিন্তু অনেক বিশ্লেষক মনে করেন, সংস্কারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিকটি হলো, আর্টিকেল ২৪৩-এ ব্যাপক রদবদল আনা। পাকিস্তানের বেসামরিক সরকার ও সেনাবাহিনীর মধ্যকার সম্পর্ক সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে অনুচ্ছেদটিতে।
সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে যেসব পরিবর্তন আনা হয়েছে, তাতে দেশের শীর্ষ সামরিক নেতারা আজীবন দণ্ডমুক্তি পাচ্ছেন, সামরিক কমান্ড কাঠামো পুনর্গঠিত হচ্ছে এবং সশস্ত্র বাহিনীগুলোর মধ্যে বিরাজমান ভারসাম্য সেনাবাহিনীর দিকে ঝুঁকে পড়ছে।
বিশ্লেষকেরা সতর্ক করছেন যে এ বিতর্কিত সংস্কার পাকিস্তানের বিদ্যমান প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কৃতির সঙ্গে নতুন বন্দোবস্তের সংঘর্ষের ঝুঁকি তৈরি করতে এবং ভঙ্গুর বেসামরিক–সামরিক ভারসাম্যকে নাড়িয়ে দিতে পারে।
আল-জাজিরা সংশোধনী ও এর বিতর্ক নিয়ে সেনাবাহিনীর মিডিয়া শাখার মন্তব্য চেয়েছে। কিন্তু কোনো জবাব পাওয়া যায়নি।
নতুন কমান্ড কাঠামোসংশোধিত আর্টিকেল ২৪৩ নতুন পদ ‘চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ)’ প্রতিষ্ঠা করেছে। ‘চিফ অব আর্মি স্টাফ (সিওএএস)’ বা সেনাপ্রধানই এ পদে অধিষ্ঠিত হবেন। ফলে সেনাপ্রধানকে পাকিস্তান বিমানবাহিনী (পিএএফ) এবং নৌবাহিনী (পিএন) উভয়ের ওপর নিযন্ত্রণক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
সংবিধান সংশোধনীর মাধ্যমে যেসব পরিবর্তন আনা হয়েছে, তাতে দেশের শীর্ষ সামরিক নেতারা আজীবন দণ্ডমুক্তি পাচ্ছেন, সামরিক কমান্ড কাঠামো পুনর্গঠিত হচ্ছে এবং সশস্ত্র বাহিনীগুলোর মধ্যে বিরাজমান ভারসাম্য সেনাবাহিনীর দিকে ঝুঁকে পড়ছে।বর্তমান সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির। ২০২২ সালের নভেম্বরে তিনি দায়িত্বভার গ্রহণ করেন এবং ভারতের সঙ্গে চার দিনের সংঘাত শেষ হওয়ার ১০ দিন পর গত ২০ মে পাঁচ তারকা র্যাঙ্কে উন্নীত হন।
আসিম মুনির পাকিস্তানের দ্বিতীয় সামরিক কর্মকর্তা; যিনি পাঁচ তারকা পদ অর্জন করেছেন। প্রথম ব্যক্তিটি ছিলেন ১৯৬০-এর দশকে ফিল্ড মার্শাল আইয়ুব খান। বিমানবাহিনী ও নৌবাহিনী এখন পর্যন্ত কোনো পাঁচ তারকা কর্মকর্তা পায়নি।
সংশোধনীর অধীন ‘চেয়ারম্যান জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটি (সিজেসিএসসি)’–এর কার্যালয়ও এ মাসের শেষে বিলুপ্ত হচ্ছে। বর্তমানে এ পদে চার তারকা জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জা আছেন। ২৭ নভেম্বর অবসর নেবেন তিনি।
সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির (মাঝে), বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল জাহীর আহমদ বাবর সিধু (বাঁয়ে) ও নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল নাভিদ আশরাফ (ডানে)। ১৯ মে, ২০২৫