কাশ্মীরে থানায় বিস্ফোরক ভান্ডারে বিস্ফোরণে নিহত ৯, আহত ২৯
Published: 15th, November 2025 GMT
ভারতের কাশ্মীরের একটি থানায় জব্দ করে রাখা বিস্ফোরকের বিশাল ভান্ডারে শুক্রবার গভীর রাতে বিস্ফোরণ ঘটেছে। এতে নয়জন নিহত ও ২৯ জন আহত হওয়ার খবর জানিয়েছে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
দিল্লির লাল কেল্লার কাছ থেকে উদ্ধার করা বিস্ফোরকগুলো সেখানে মজুত করা ছিল।
এনডিটিভির বরাতে রয়টার্স বলেছে, এতে অন্তত সাতজন নিহত ও আরও ২৭ জন আহত হয়েছেন।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, নিহতদের বেশির ভাগই পুলিশ সদস্য এবং ফরেনসিক দলে কর্মরত ছিলেন। তাঁরা ওই থানায় মজুত করে রাখা বিস্ফোরক পরীক্ষা করছিলেন।
আরও পড়ুনদিল্লিতে বিস্ফোরণের পর ভারতে আবার ইসলামবিদ্বেষ ছড়ানো হচ্ছে, কাশ্মীরে চলছে ধরপাকড়১২ ঘণ্টা আগেআহতদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে—জানিয়েছে এনডিটিভি।
বিস্ফোরণের কারণ তাৎক্ষণিকভাবে যাচাই করতে পারেনি রয়টার্স। এ বিষয়ে জানার জন্য জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের সঙ্গে রয়টার্সের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়েছিল। তাৎক্ষণিক জবাব পাওয়া যায়নি।
এর আগে স্থানীয় একজন পুলিশ কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছিলেন, নওগাম থানায় একটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। আগুন পুরো থানায় ছড়িয়ে পড়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে দমকল বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। হতাহতের আশঙ্কা রয়েছে।
আরও পড়ুনদিল্লির বিস্ফোরণের ঘটনায় সন্দেহভাজন উমরের বাড়ি গুঁড়িয়ে দিল ভারতের নিরাপত্তা বাহিনী১৬ ঘণ্টা আগেরাজধানী দিল্লির লাল কেল্লার কাছে একটি গাড়িতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের মাত্র চার দিন পর কাশ্মীরের থানাটিতে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটল। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবর অনুসারে দিল্লির ওই বিস্ফোরণে কমপক্ষে ১৩ জন নিহত হন। ভারত সরকার একে ‘সন্ত্রাসী ঘটনা’ হিসেবে উল্লেখ করেছে।
এর আগে দিল্লিতে বিস্ফোরণের ঘটনায় গাড়িচালক উমর নবীর জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার বাড়ি গুঁড়িয়ে দেয় ভারতের নিরাপত্তা বাহিনী। বিস্ফোরণের ঘটনায় তাঁকে সন্দেহ করছে নিরাপত্তা বাহিনী।
জানানো হয়, কাশ্মীর, হরিয়ানা, দিল্লি এবং উত্তর প্রদেশের একাধিক সংস্থা এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্যের সূত্রগুলো মেলাতে কাজ করছে। জম্মু-কাশ্মীরে চলছে ব্যাপক ধরপাকড়। গত বৃহস্পতিবার জম্মু-কাশ্মীরের একজন মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক এবং একজন ছাত্রসহ আরও দুজনকে উত্তর প্রদেশ থেকে আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুনদিল্লিতে গাড়ি বিস্ফোরণে কাশ্মীরে গ্রেপ্তারকৃতদের যোগসাজশ খতিয়ে দেখছে পুলিশ২১ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
জেফরি এপস্টেইনের ব্যক্তিগত ইমেইলে একাধিকবার ট্রাম্পের নাম
যৌন নিপীড়ন ও নারী পাচারের দায়ে দোষী সাব্যস্ত জেফরি এপস্টেইন এক সহযোগী এবং একজন লেখকের কাছে পাঠানো ইমেইলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম একাধিকারবার উল্লেখ করেছেন। বুধবার প্রকাশিত নতুন কিছু ইমেইলে এমনটি দেখা গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের ‘ওভারসাইট কমিটির’ ডেমোক্র্যাট সদস্যরা এসব ইমেইল প্রকাশ করেছেন। তবে এক বিবৃতিতে ইমেইলগুলোকে ‘ভুয়া বয়ান তৈরির মাধ্যমে ট্রাম্পকে কলঙ্কিত করার অপচেষ্টা’ বলে উল্লেখ করেছে হোয়াইট হাউস।
এপস্টেইন নিজের সহযোগী গিসলেইন ম্যাক্সওয়েল ও ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ লেখক মাইকেল ওলফকে ১৫ বছর ধরে এসব ইমেইল লিখেছিলেন। দোষী সাব্যস্ত যৌন অপরাধী এপস্টেইন ২০১৯ সালের ১০ আগস্ট নিউইয়র্কের ম্যানহাটানে কারাবন্দী অবস্থায় আত্মহত্যা করেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, এপস্টেইনের সাবেক প্রেমিকা ম্যাক্সওয়েল অপ্রাপ্তবয়স্কদের যৌনকাজে সম্পৃক্ত করার অভিযোগে বর্তমানে ২০ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন। এপস্টেইন মারা যাওয়ার পর তিনি দণ্ডিত হন।
নতুন প্রকাশিত ইমেইলগুলোতে এমন একটি বার্তা রয়েছে, যেখানে এপস্টেইন দাবি করেছেন, ট্রাম্প একজন নারীর সঙ্গে উল্লেখযোগ্য সময় কাটিয়েছেন। ওভারসাইট কমিটির ডেমোক্র্যাটরা এই নারীকে এপস্টেইনের যৌন পাচারের শিকার হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
ইমেইলগুলোতে আরেকটি বার্তা আছে, যেখানে এপস্টেইন বলেছেন, ট্রাম্প ‘ওই নারীদের সম্পর্কে জানতেন’। এখানে যেসব নারীর কথা বলা হয়েছে, তাঁরা সম্ভবত ট্রাম্পের মালিকানাধীন মার-এ-লাগো অবকাশযাপনকেন্দ্রে কাজ করতেন। তাঁদের প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি এপস্টেইনকে মার-আ-লাগো থেকে বের করে দিয়েছিলেন। কারণ, এপস্টেইন সেখানে কর্মরত কমবয়সী নারীদের কদর্যভাবে প্রলোভন দেখাচ্ছিলেন।
এপস্টেইনের ওই ইমেইলগুলোর কোনোটি ট্রাম্পের কাছে পাঠানো হয়নি বা এর কোনোটি ট্রাম্প অন্য কারও কাছে পাঠাননি। এসব ইমেইলের বেশির ভাগই ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার আগের। তা ছাড়া এপস্টেইন বা ম্যাক্সওয়েলের সঙ্গে কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে ট্রাম্পকে এখন পর্যন্ত অভিযুক্ত করা হয়নি।
বুধবার ওভারসাইট কমিটি এক বিবৃতিতে জানায়, এপস্টেইন এস্টেটের হস্তান্তর করা মোট ২৩ হাজার নথি প্রকাশ করা হয়েছে। এসব নথি বর্তমানে তাঁরা পর্যালোচনা করে দেখছেন।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৯০-এর দশক থেকে ২০০০-এর দশকের শুরুর কয়েক বছর পর্যন্ত এপস্টেইনের সঙ্গে ট্রাম্পের যোগাযোগ ছিল। ২০০৪ সালের দিকে তাঁদের মধ্যে মনোমালিন্য হয়। ট্রাম্প সম্প্রতি বারবার বলেছেন, এপস্টেইনের অবৈধ কর্মকাণ্ড সম্পর্কে তিনি কিছু জানতেন না।
নতুন ইমেইলগুলো সম্পর্কে জানতে সিএনএন হোয়াইট হাউস এবং মাইকেল ওলফের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। কিন্তু তারা তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।