শহরে মাসুদুজ্জামান মাসুদের বিশাল গণমিছিল
Published: 14th, November 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হিসেবে মাসুদুজ্জামান মাসুদকে মনোনীত করায় বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানিয়ে বিশাল র্যালি ও সামবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) বিকেল তিনটায় শহরের খানপুর হাসপাতাল রোড থেকে শুরু করে বিশাল র্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে মন্ডল পাড়ার মোড়ে এই বিশাল র্যালিটি সমাপ্তি হয়।
সমাবেশে মাসুদুজ্জামান মাসুদ বলেন, “এ মনোনয়ন আমার ব্যক্তিগত অর্জন নয় - নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সর্বস্তরের মানুষের ভালোবাসা, বিশ্বাস এবং গণতন্ত্রকামী জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন। দল আমার প্রতি যে আস্থা রেখেছে, আমি সেই আস্থার মর্যাদা রক্ষায় জীবন বাজি রেখে কাজ করব।”
র্যালিটি নারায়ণগঞ্জের খানপুর হাসপাতাল রোড থেকে শুরু হয়ে চাষাড়া হয়ে মন্ডল পাড়ায় যেয়ে সমাপ্ত হয়। উৎসবমুখর পরিবেশে দলের নেতা কর্মী ও সাধারণ মানুষ যুক্ত হয়ে সারা শহর জনসমুদ্রে রূপান্তরিত করে। জনমানুষের জনপ্রিয় নেতা, বিশিষ্ট সমাজসেবী ও ক্রীড়ানুরাগী মাসুদুজ্জামান মাসুদের নেতৃত্বে এই র্যালি ঐক্য ও গণতান্ত্রিক রূপান্তরের প্রত্যাশাকে আরও জোরদার করে তোলে।
সমাবেশ শুরুর আগেই নেতা-কর্মীদের ভিড়ে খানপুর হাসপাতাল এলাকা জনসমুদ্রে রূপ নেয়। পথজুড়ে স্লোগান, ব্যানার, কর্মীদের উদ্দীপনা এবং সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতিতে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে নির্বাচনী উত্তেজনা নতুন মাত্রা পায়।
মাসুদুজ্জামান মাসুদ জনগণের উদ্দেশে বলেন - “এ আসনের উন্নয়ন, সুশাসন নিশ্চিতকরণ এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য আমি জনগণের পাশে আছি এবং থাকব। নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন হবে বিএনপির দূর্গ, এই দুর্গকে আরও শক্তিশালী করাই আমাদের লক্ষ্য।”
সমাবেশ কর্মসূচিতে জেলা, মহানগর ও ওয়ার্ড পর্যায়ের বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল, কৃষকদল ও শ্রমিকদলের বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহৃবায়ক আব্দুস সবুর খান সেন্টু ও আনোয়ার হোসেন আনু। মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য; হাজী ফারুক হোসেন, মাহাবুব উল্লাহ তপন, এড.
নেতৃবৃন্দ বলেন, “মাসুদুজ্জামান মাসুদ নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের জন্য এক যোগ্য, শিক্ষিত, সৎ ও জনবান্ধব নেতৃত্বের প্রতীক।” তারা আরও উল্লেখ করেন যে, দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা, এলাকায় তাঁর গ্রহণযোগ্যতা এবং মানুষের প্রতি তাঁর আন্তরিকতা ইতোমধ্যেই জনগণের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
নেতৃবৃন্দের ভাষায়, তাঁর মতো স্বচ্ছ, দায়িত্বশীল এবং জনগণের কল্যাণে নিবেদিত নেতা আজকের রাজনৈতিক পরিন্ডলে অত্যন্ত প্রয়োজন। মাসুদুজ্জামান মাসুদের মনোনয়ন ঘোষণার মধ্য দিয়ে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের রাজনীতিতে নতুন আশা, নতুন দিশা এবং পরিবর্তনের সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে।
তাদের প্রত্যাশা, তাঁর নেতৃত্বে এলাকায় উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড আরও ত্বরান্বিত হবে এবং জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংপ্রাম নতুন গতি পাবে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ত র ক রহম ন ন র য়ণগঞ জ ৫ আসন ল ইসল ম ব এনপ র জনগণ র র র জন আসন র
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশে রাষ্ট্রপতির সই
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) বিকেলে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশে স্বাক্ষর করেছেন।
রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের পর আনুষ্ঠানিকভাবে ‘জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫’-এর গেজেট প্রকাশ করেছে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
আরো পড়ুন:
সংসদ নির্বাচনের দিনেই গণভোট: প্রধান উপদেষ্টা
ইউনূস সরকার জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে একা চলা শুরু করেছে: নাসীরুদ্দীন
এর মাধ্যমে সংবিধান সংস্কার ও গণভোট আয়োজনের সাংবিধানিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলো বলে জানিয়েছে আইন বিভাগ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, “জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের আদেশ অনুমোদন দিয়েছে সরকার। জাতীয় নির্বাচনের দিনেই গণভোট হবে। জনগণই নির্ধারণ করবেন, আমরা কোন পথে এগোব?”
প্রধান উপদেষ্টা আরো বলেছেন, ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের বিষয়ে অভ্যুত্থানের পক্ষের রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যবদ্ধ না থাকলে জাতি এক মহাবিপদের মুখে পড়বে। প্রায় দেড় যুগ ধরে জনগণ ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত ছিল। এখন তারা নতুন গণতান্ত্রিক সূচনার অপেক্ষায়।
জুলাই সনদের পটভূমি
গত ১৭ অক্টোবর জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় বিএনপি, জামায়াতসহ ২৪টি রাজনৈতিক দল বহুল প্রত্যাশিত ‘জুলাই সনদ’-এ স্বাক্ষর করে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসও তাতে স্বাক্ষর করেন।
এই সনদের মূল লক্ষ্য ছিল— সংবিধান সংস্কার, নির্বাচনকালীন সরকারের কাঠামো নির্ধারণ এবং জবাবদিহিমূলক গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ২৮ অক্টোবর অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের দুটি বিকল্প প্রস্তাব দেয়, যার একটি এখন রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষর ও গেজেট প্রকাশের মাধ্যমে আইনি রূপ পেল।
অন্তর্বর্তী সরকারের বৈঠক
এর আগে প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে তার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি ও গণভোট আয়োজনের সম্ভাব্য সময়সূচি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান
ভাষণে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে জুলাই অভ্যুত্থানে যে ঐক্য দেশবাসী দেখিয়েছিল, আমরা যেন তা লঘু বিবাদে ভেঙে না ফেলি। স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও মানবিক ন্যায়বিচারের লড়াই এখনই শেষ হয়নি।
আইন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ কার্যকর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নির্বাচন কমিশন গণভোটের প্রস্তুতি শুরু করবে। ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচনের দিনেই গণভোট হবে, এমনটাই সরকারের পরিকল্পনা।
রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের মাধ্যমে ‘জুলাই সনদ’ এখন আইনি রূপ পেল, যা দেশের ইতিহাসে প্রথম গণভোটভিত্তিক সংবিধান সংস্কারের পথ খুলে দিচ্ছে।
ঢাকা/এএএম/রফিক