স্টেডিয়ামে তখন ম্যাচ চলছে। ঝড় বইছিল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। আনন্দে এই মূর্ছা যাওয়ার দশা তো কিছুক্ষণ পরই হতাশা। ভালো–মন্দ কথা মিলিয়ে সরগরম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। কত যে আশার সব কথা! আশার প্রদীপ নিভে যাওয়ার পরই আবার দপ করেই ভর করছে হতাশা।
আপনি বলবেন এটাই তো খেলাধুলার মজা। বিলক্ষণ তাই। কিন্তু বাংলাদেশের ফুটবল নিয়ে মানুষের আবেগের এ উত্থান–পতনের খেলায় মজে ওঠা একটু নতুন নতুন লাগে না? না, বাংলাদেশের মানুষ তো ফুটবলকে ভালোবাসেই। আর এই ভালোবাসার সম্পর্কটা অনেক অনেক প্রজন্ম ধরেই চলমান। পার্থক্যটা হলো সেই সম্পর্কে মাঝে একটা দীর্ঘ সময় শুধু হতাশা–ই জমা পড়েছে। মাঝেমধ্যে হয়তো দু–একটি জয়, বাদবাকি সময় হারই ছিল যেন নিয়তি।
আরও পড়ুনহামজা–জাদুর পর আবারও শেষ মুহূর্তে গোল হজমের আক্ষেপ১৩ নভেম্বর ২০২৫হারেও সমস্যা তেমন ছিল না, কিন্তু খেলার ধরনটা চোখে বিঁধেছে অনেক দিন। জাতীয় পতাকার জন্য, দেশের জন্য লড়াইয়ের খিদেটা চোখে পড়েছে খুব খুব কমই। আর তাই কখনো কখনো বাংলাদেশ জিতলেও ৫৫ হাজার বর্গমাইলের এই জনবসতিকে একসঙ্গে জাগিয়ে তুলতে পারেনি সেসব জয়ও!
নেপালের বিপক্ষে হামজা চৌধুরীর গোল উদ্যাপন.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
গাজীপুরে ফ্ল্যাট বাসা থেকে স্বামী-স্ত্রীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার
গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী নওয়াব আলী মার্কেট এলাকায় একটি বাসা থেকে স্বামী-স্ত্রীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার (১৫ নভেম্বর) সকালে মরদেহ দু’টি উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত হলেন- ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট থানার আমতলা গ্রামের সুরুজ আলীর ছেলে এমরান হোসেন (৪০) ও তার স্ত্রী রহিমা খাতুন (৩৫)।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, এমরান ও রহিমা তাদের সন্তান শারমিনকে নিয়ে কোনাবাড়ি নওয়াব আলী মার্কেট এলাকার একতা ভিলার পাঁচ তলায় ভাড়া থাকতেন। তাদের মধ্যে কোন এক বিষয় নিয়ে মতবিরোধ সৃষ্টি হয়। তারই জের ধরে এমরান ধারালো দা দিয়ে প্রথমে স্ত্রী রহিমাকে জবাই করে। পরে নিজেও ওই দা নিয়ে নিজের গলা কেটে ফেলেন।
এ ঘটনা তাদের ১৬ বছর বয়সী মেয়ে শারমিন দেখেছেন বলে জানান। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকাবাসী পুলিশকে ফোন দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে।
কোনাবাড়ি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) পাপন হোসেন নিহতদের মেয়ে শারমিনের বরাত দিয়ে বলেন, “আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছি। তাদের সন্তান শারমিন আমাদের জানিয়েছেন প্রথমে তার বাবা তার মায়ের গলা কেটে দেয়, পরে নিজেই নিজের গলা কাটে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।”
ঢাকা/রেজাউল/এস