“শিক্ষার শত্রু কাউছার” প্রতিবাদ সভায় ক্ষুব্ধ শিক্ষক, অভিভাবক ও এলাকাবাসী
Published: 15th, November 2025 GMT
সোনারগাঁ উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. কাউছার বিদ্যালয়ে হামলা, গেট ভাঙচুর, মালামাল আটকে রাখা এবং শিক্ষক–কর্মচারীদের হেনস্তা করেছেন এমন অভিযোগে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন শিক্ষক–অভিভাবক ও এলাকাবাসী।
শনিবার (১৫ নভেম্বর) পঞ্চমীঘাট উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় তাঁকে “শিক্ষার শত্রু” আখ্যা দিয়ে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মনিরুজ্জামান ভূঁইয়া লিটন।
তিনি বলেন, ূযে ব্যক্তি বাহিনী নিয়ে এসে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তাণ্ডব চালায়, সে সমাজের কল্যাণে নয় ধ্বংসাত্মক শক্তির অংশ। কাউছার-সহ যারা এই হামলার সাথে জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনতেই হবে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম বলেন,বিদ্যালয়ের শান্ত পরিবেশ নষ্ট করতে এ ধরনের সন্ত্রাসী আচরণ ক্ষমার অযোগ্য। শিক্ষক শিক্ষার্থীরা আতঙ্কে পড়েছে। এমন ব্যক্তিদের কঠোর শাস্তি ছাড়া শিক্ষার পরিবেশ রক্ষা সম্ভব নয়।
সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ও সাদিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি কামরুজ্জামান ভূঁইয়া মাসুম আরও ক্ষুব্ধ কণ্ঠে বলেন,বিদ্যালয়ে হামলা মানে পুরো সমাজকে আঘাত করা।
কাউছার নামের ওই ব্যক্তি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যে সন্ত্রাস সৃষ্টি করেছে, তা কোনোভাবেই রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নয় এটা সরাসরি অপরাধ। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামা ছাড়া উপায় থাকবে না।
প্রতিবাদ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সাদিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আলমগীর হোসেন, সহসভাপতি অধ্যাপক ইব্রাহিম মিয়া, যুগ্ম সম্পাদক বিল্লাল হোসেন, রফিকুল ইসলাম, যুব সম্পাদক এডভোকেট আল আমিন শাহ, এডভোকেট আনোয়ার হোসেন, ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি নাসির উদ্দীন, ৮নং ওয়ার্ড সভাপতি শামসুল আলম, যুবদল নেতা আওলাদ হোসেন, সাবেক অভিভাবক সদস্য নাজিমউদ্দীন, এবং বিদ্যালয়ের শিক্ষক–অভিভাবকসহ স্থানীয় শতাধিক মানুষ।
বক্তারা একসঙ্গে ঘোষণা দেন,শিক্ষার শত্রু কাউছারকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে কেউ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হামলার সাহস না পায়।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স ন রগ ও ন র য়ণগঞ জ ব এনপ র
এছাড়াও পড়ুন:
অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির প্রতিবাদে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রায়কে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি ও ফ্যাসিবাদের দোসরদের অপতৎপরতার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিক্ষোভ মিছিলের আহ্বান জানায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু)।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকসু ভবনের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। পরে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ হয়ে কাটা পাহাড়ের রাস্তা ধরে গোলচত্বরে গিয়ে মিছিল শেষ হয়। এ সময় বিক্ষোভকারীরা ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাইরে’, ‘খুনি হাসিনার বিচার চাই, গণহত্যার বিচার চাই’ বলে স্লোগান দেন।
কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন চাকসুর সহসভাপতি (ভিপি) মো. ইব্রাহীম, যোগাযোগ ও আবাসনবিষয়ক সম্পাদক মো. ইসহাক ভূঁঞা, শামসুন নাহার হলের ভিপি ফাইরোজ ফেরদৌস ও শাহজালাল হলের ভিপি মো. আলাউদ্দিন।
চাকসুর সহসভাপতি মো. ইব্রাহীম বলেন, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ যেসব সংগঠন নিষিদ্ধ হয়েছে, তাদের অপতৎপরতা এখনো অব্যাহত আছে। শেখ হাসিনার রায়কে কেন্দ্র করে যে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে, তা সুশীল সমাজের জন্য লজ্জাজনক।
মো. ইব্রাহীম আরও বলেন, ‘আমরা চাই, আইনিপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাঁদের বিচার করা হোক। ১৭ নভেম্বর হাসিনার রায়ে জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদদের আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ হোক, আমরা তাঁর সর্বোচ্চ শাস্তি প্রত্যাশা করি।’
বিক্ষোভ মিছিলে আরও উপস্থিত ছিলেন সাহিত্য, সংস্কৃতি ও প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক হারেজুল ইসলাম, সহ–সাহিত্য সম্পাদক জিহাদ হোসাইন, দপ্তর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান, ছাত্রীকল্যাণ সম্পাদক নাহিমা আক্তার, সহ–ছাত্রীকল্যাণ সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস, বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি সম্পাদক মো. মাহবুবুর রহমান প্রমুখ।
আগামী সোমবার জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করা হবে। বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল–১ আজ এ তারিখ নির্ধারণ করেন। অপর দুই সদস্য বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
মামলার অন্য দুই আসামি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুন। এর মধ্যে মামুন রাজসাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর পুনর্গঠিত ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এটি প্রথম মামলা। অভিযোগে বলা হয়েছে, তিনি আন্দোলনকারীদের দমন ও হত্যার নির্দেশ দেন, যার ফলে বিভিন্ন স্থানে হত্যার ঘটনা ঘটে।