কমিউনিটি ক্লিনিকে কিডনি রোগ পরীক্ষার সুযোগ রাখা প্রয়োজন
Published: 15th, November 2025 GMT
দেশে এখন কিডনি রোগীর সংখ্যা ২ কোটির বেশি। এই রোগীদের মধ্যে প্রতিবছর ৩৫-৪০ হাজার মানুষ কিডনি বিকল হওয়ার চূড়ান্ত ধাপে (এন্ড স্টেজ রেনাল ডিজিজ) পৌঁছে যায়। ওই রোগীদের মধ্যে মাত্র এক–চতুর্থাংশের চিকিৎসার ব্যয়ভার চালানোর সামর্থ্য থাকে। এ ছাড়া অনেকে চিকিৎসা শুরু করেও আর্থিক সংকটের কারণে ছয় মাসের মধ্যেই তা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন। তাই কিডনি রোগে আক্রান্ত হওয়ার চেয়ে রোগটি প্রতিরোধ করাটা জরুরি। এ ক্ষেত্রে কমিউনিটি ক্লিনিক পর্যায়েই কিডনি রোগ পরীক্ষার সুযোগ থাকা উচিত।
কিডনি ফাউন্ডেশনের ২১তম বার্ষিক সম্মেলন ও বৈজ্ঞানিক সেমিনারে বিশেষজ্ঞ ও বক্তারা এসব কথা বলেন। আজ শনিবার সকালে রাজধানীর মিরপুরে কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতাল ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে আয়োজিত এ সেমিনারের প্রতিপাদ্য ছিল ‘কিডনি সেবায় রূপান্তর: প্রতিরোধ থেকে প্রতিস্থাপন’।
সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনের প্রধান জাতীয় অধ্যাপক ডা.
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
দিল্লি ও ইসলামাবাদে বিস্ফোরণ: ভারত-পাকিস্তান কি আবার সংঘাতে জড়াচ্ছে
দিল্লির লালকেল্লার কাছে গত সোমবার এক গাড়ি বিস্ফোরণে অন্তত ১৩ জন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। পরদিন মঙ্গলবার ইসলামাবাদে একটি ‘আত্মঘাতী বোমা’র বিস্ফোরণ ঘটেছে। এতে ১২ জন নিহত ও ৩০ জন আহত হয়েছেন।
চলতি মাসের শুরুতে দিল্লি ও ইসলামাবাদে এমন বিস্ফোরণ দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ করে তুলেছে। ভারত–পাকিস্তান—উভয় দেশ হামলার ঘটনাগুলোতে দ্রুত উদ্ধার তৎপরতা চালায়, নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার ও তদন্ত শুরু করে। বিস্ফোরণের ধরন ও সময়কাল দেখে মনে হচ্ছে, এগুলো পরিকল্পিত হামলা; দুর্ঘটনা নয়।
বর্তমানে ভারত ও পাকিস্তানের রাজনৈতিক এবং সামরিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার মঞ্চ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে আফগানিস্তান। আফগান–পাকিস্তান সীমান্ত সংঘর্ষের মধ্যেই গত সপ্তাহে দিল্লি ও ইসলামাবাদে বিস্ফোরণের ওই ঘটনা ঘটল। এতে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বৈরিতা আরেক দফা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থার মতে, তেহরিক–ই–তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) আফগান ভূখণ্ডে পুনরায় সক্রিয় হয়েছে। তারা অভিযোগ করছে, সেখান থেকে এ গোষ্ঠী পাকিস্তানে হামলার পরিকল্পনা ও তৎপরতা চালাচ্ছে। আর পাকিস্তানের মাটিতে টিটিপিসহ বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় আরেক প্রতিবেশী ভারত মদদ দিচ্ছে বলেও অভিযোগ তাদের।
বিস্ফোরণের প্রেক্ষাপট ও ভারতের প্রতিক্রিয়াভারত ও পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি এবং নিরাপত্তা পরিস্থিতি একে অপরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত। সীমান্তবর্তী সংঘর্ষ, সন্ত্রাসী হামলা ও সাম্প্রতিক বিস্ফোরণগুলো উভয় দেশের রাজনীতিতে গভীর প্রভাব ফেলছে।
ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপি সোমবারের বিস্ফোরণের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে এবং সন্ত্রাস দমন কার্যক্রম শক্তিশালী করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
বিশ্লেষকেরা সতর্ক করেছেন, রাজনৈতিক নেতাদের উসকানিমূলক বক্তব্য ও সংবেদনশীল গণমাধ্যম প্রতিবেদন উভয় দেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়াতে পারে। তাই কূটনৈতিক সংলাপ ও জনমত উভয় দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।ভারত এ ঘটনার তদন্ত করছে ‘সন্ত্রাসী হামলা’ হিসেবে। তদন্তে নেতৃত্ব দিচ্ছে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ); যা ‘সন্ত্রাসবাদ’ সম্পর্কিত মামলার তদন্ত করার দায়িত্বপ্রাপ্ত। বিস্ফোরণের নেপথ্যে থাকা ব্যক্তিদের খুঁজে বের করতে কর্তৃপক্ষ কঠোর ‘সন্ত্রাসবিরোধী’ ধারাগুলো কাজে লাগাচ্ছে।
বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার এক প্রস্তাবে দিল্লির ঘটনাকে ‘রাষ্ট্রবিরোধী শক্তির হাতে সংঘটিত একটি নৃশংস সন্ত্রাসী হামলা’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রথম থেকেই এ ঘটনাকে ‘ষড়যন্ত্র’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, চক্রান্তকারীদের কেউ রেহাই পাবেন না, সবাইকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।
দিল্লির লালকেল্লার কাছে গাড়ি বিস্ফোরণ স্থলে কাজ করছেন ফরেনসিক দলের সদস্য