রিয়া মনির মামলায় জামিন পেলেন হিরো আলম
Published: 15th, November 2025 GMT
রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় হত্যাচেষ্টা, মারধর ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে সাবেক স্ত্রী রিয়া মনির করা মামলায় আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
উভয়পক্ষের শুনানি নিয়ে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মো. রাকিবুল হাসান আজ শনিবার এই আদেশ দেন।
বিকেল ৪টা ১০ মিনিটের দিকে হাতিরঝিল থানা থেকে হিরো আলমকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর তাঁকে ঢাকার সিএমএম আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। কিছুক্ষণ পর পুলিশের কঠোর নিরাপত্তায় তাঁকে সিএমএম আদালতের ৯তলার এজলাসে নেওয়া হয়।
হিরো আলমের পক্ষের আইনজীবীরা তাঁর জামিন চেয়ে শুনানি করেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে বিচারক ২০০ টাকা মুচলেকায় তাঁর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন।
এদিকে হিরো আলমের মামলার শুনানির সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন এই মামলার বাদী রিয়া মনি। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘হিরো আলমের একটা শিক্ষা হওয়া দরকার। আমাকে যেমন বিনা কারণে জেল খাটিয়েছে, তারও জেলে থাকা উচিত।’
এর আগে শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে রাজধানীর হাতিরঝিল থানাধীন এলাকা থেকে সাবেক স্ত্রী রিয়া মনির দায়ের করা মামলায় হিরো আলমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াহিদুজ্জামানের আদালত হিরো আলম ও তাঁর সহযোগী আহসান হাবিব সেলিমের বিরুদ্ধে ১২ নভেম্বর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। সেই পরোয়ানা অনুসারেই হিরো আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত ২৩ জুন হাতিরঝিল থানায় রিয়া মনি বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলার অভিযোগে সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি হিরো আলম ও বাদী রিয়া মনির মধ্যে মনোমালিন্য দেখা দেয়। এরপর হিরো আলম বাদীকে তালাক দিয়ে বাসা থেকে বের করে দেন। গত ২১ জুন বাদীর পরিবারের সঙ্গে মীমাংসার কথা বলে হাতিরঝিল থানাধীন এলাকায় একটি বাসায় ডাকা হয়। ওই সময়ে হিরো আলমসহ ১০ থেকে ১২ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি বাদী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। পরে তাঁরা বাদীর বর্তমান বাসায় বেআইনিভাবে প্রবেশ করে কাঠের লাঠি দিয়ে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করেন। এতে বাদীর শরীরে জখম হয়। এ সময় তাঁর গলায় থাকা দেড় ভরি ওজনের স্বর্ণের হার চুরি করে নিয়ে যাওয়া হয় বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুনরিয়া মনির মামলায় হিরো আলম গ্রেপ্তার২ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
নারী ক্রিকেটে অসদাচরণ তদন্তে যুক্ত হলেন আরও দুজন
নারী ক্রিকেটে অসদাচরণের অভিযোগ তদন্তে যে কমিটি গঠন করেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সেখানে আরও দুজন সদস্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তাঁদের নিয়ে কমিটির মোট সদস্যসংখ্যা এখন পাঁচ। আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বিসিবি।
জাতীয় দলের বাইরে থাকা অলরাউন্ডার জাহানারা আলম সম্প্রতি একটি ইউটিউব চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নারী দলের সাবেক নির্বাচক ও ম্যানেজার মঞ্জুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ করেন। এর জের ধরে গত শনিবার তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করে বিসিবি।
কমিটির আহ্বায়ক সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারক তারিক উল হাকিম। অন্য দুই সদস্য বিসিবির একমাত্র নারী পরিচালক রুবাবা দৌলা ও সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার সারওয়াত সিরাজ শুক্লা।
তবে গত রোববার এক বিবৃতিতে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) দাবি করে, অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত করতে কমিটিতে যৌন হয়রানি তদন্তে দক্ষ ও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন অন্তত দুজন স্বতন্ত্র বিশেষজ্ঞকে যুক্ত করতে হবে।
এরপর আজ এক বিবৃতিতে বিসিবি জানিয়েছে, তদন্ত কমিটিতে আরও দুজন আইনজীবীকে যুক্ত করা হয়েছে, তাঁরা হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ও আইন কমিশনের বর্তমান সদস্য অধ্যাপক ড. নাঈমা হক ও সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট ব্যারিস্টার মোহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান খান।
বিসিবি আগেই জানিয়েছিল, কমিটি গঠনের ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে তাঁরা প্রতিবেদন জমা দেবেন।