মানবসভ্যতার সামষ্টিক জ্ঞানকে মহাকাশে সুরক্ষিত রেখে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সংরক্ষণ করার এক উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন ইলন মাস্ক। স্পেসএক্স ও এক্সএআইয়ের প্রধান নির্বাহী বলেন, উইকিপিডিয়ার বিকল্প হিসেবে গড়ে তোলা তাঁর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআইনির্ভর প্ল্যাটফর্ম গ্রোকিপিডিয়া একটি অস্থায়ী নাম। প্ল্যাটফর্মের সক্ষমতা আরও বাড়লে এর নাম পরিবর্তন করে রাখা হবে এনসাইক্লোপিডিয়া গ্যালাক্টিকা। চিরায়ত বিজ্ঞান কল্পকাহিনির প্রতি সম্মান জানিয়ে নেওয়া এই নাম মানবজ্ঞান রক্ষার মহাজাগতিক ভান্ডারের ধারণা বহন করবে।

গত মঙ্গলবার এক্সে দেওয়া বার্তায় মাস্ক জানান, গ্রোকিপিডিয়া যখন যথেষ্ট উন্নত অবস্থায় পৌঁছাবে, তখন এর নাম বদলে রাখা হবে এনসাইক্লোপিডিয়া গ্যালাক্টিকা। নামটির উৎস আইজ্যাক অ্যাসিমভের বিখ্যাত ফাউন্ডেশন সিরিজ। এ সিরিজে এক সাম্রাজ্যের সময়ে মানবজ্ঞান ধরে রাখতে গড়া হয়েছিল এনসাইক্লোপিডিয়া গ্যালাক্টিকা নামে এক বিশাল তথ্যভান্ডার। ২০২৫ সালের অক্টোবরে চালু হওয়া গ্রোকিপিডিয়া এক্সএআইয়ের নিজস্ব ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল গ্রোক ব্যবহার করে তৈরি করা অনলাইন বিশ্বকোষ। নিরপেক্ষ তথ্যসূত্র হিসেবে এটি উইকিপিডিয়ার বিকল্প হতে পারে বলে দাবি করে আসছেন মাস্ক। প্ল্যাটফর্মটিতে ইতিমধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ নিবন্ধ যুক্ত হয়েছে। এগুলোর বড় অংশই এআই দিয়ে লেখা বা সম্পাদিত।

তবে মাস্কের সর্বশেষ ঘোষণা প্ল্যাটফর্মটিকে ধাপে ধাপে নতুন পরিচয়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। তিনি জানান, গ্রোকিপিডিয়া কেবল সার্ভারে রাখা অনলাইন তথ্যভান্ডার হয়ে থাকবে না; এটি মানুষের মহাকাশ অভিযানের সঙ্গীও হবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, বিশ্বকোষের স্থায়ী কপি পাঠানো হবে চাঁদ, মঙ্গল গ্রহ এবং ভবিষ্যতে সম্ভাব্য আরও দূরবর্তী মহাজাগতিক গন্তব্যে। যেন মানবসভ্যতা কোনো সংকটে পড়লেও জ্ঞান হারিয়ে না যায়।

মাস্কের প্রযুক্তিগত কর্মযজ্ঞে সায়েন্স ফিকশনের প্রভাব নতুন নয়। স্টারশিপের নকশা থেকে শুরু করে সাইবারট্রাকের বাহ্যিক অবয়ব কিংবা টেসলার হিউম্যানয়েড রোবট ‘অপ্টিমাস’—তাঁর এমন অনেক প্রকল্পেই সায়েন্স ফিকশনের ছাপ স্পষ্ট। এবার অ্যাসিমভের কল্পনা থেকেই অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি মানবসভ্যতাকে অন্য গ্রহে বিস্তারের পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত করতে চাইছেন জ্ঞান সংরক্ষণের এই উদ্যোগকে।

তবে ঠিক কোন প্রযুক্তিতে এই মহাজাগতিক তথ্যভান্ডার সংরক্ষিত হবে, কীভাবে বিভিন্ন গ্রহে আপডেটের সমন্বয় করা হবে—এসব প্রশ্নের উত্তর এখনো জানা যায়নি। মাস্ক এ বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য দেননি।

সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প ল য টফর ম স রক ষ

এছাড়াও পড়ুন:

এনসাইক্লোপিডিয়া গ্যালাক্টিকা তৈরির পরিকল্পনা ইলন মাস্কের

মানবসভ্যতার সামষ্টিক জ্ঞানকে মহাকাশে সুরক্ষিত রেখে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সংরক্ষণ করার এক উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন ইলন মাস্ক। স্পেসএক্স ও এক্সএআইয়ের প্রধান নির্বাহী বলেন, উইকিপিডিয়ার বিকল্প হিসেবে গড়ে তোলা তাঁর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআইনির্ভর প্ল্যাটফর্ম গ্রোকিপিডিয়া একটি অস্থায়ী নাম। প্ল্যাটফর্মের সক্ষমতা আরও বাড়লে এর নাম পরিবর্তন করে রাখা হবে এনসাইক্লোপিডিয়া গ্যালাক্টিকা। চিরায়ত বিজ্ঞান কল্পকাহিনির প্রতি সম্মান জানিয়ে নেওয়া এই নাম মানবজ্ঞান রক্ষার মহাজাগতিক ভান্ডারের ধারণা বহন করবে।

গত মঙ্গলবার এক্সে দেওয়া বার্তায় মাস্ক জানান, গ্রোকিপিডিয়া যখন যথেষ্ট উন্নত অবস্থায় পৌঁছাবে, তখন এর নাম বদলে রাখা হবে এনসাইক্লোপিডিয়া গ্যালাক্টিকা। নামটির উৎস আইজ্যাক অ্যাসিমভের বিখ্যাত ফাউন্ডেশন সিরিজ। এ সিরিজে এক সাম্রাজ্যের সময়ে মানবজ্ঞান ধরে রাখতে গড়া হয়েছিল এনসাইক্লোপিডিয়া গ্যালাক্টিকা নামে এক বিশাল তথ্যভান্ডার। ২০২৫ সালের অক্টোবরে চালু হওয়া গ্রোকিপিডিয়া এক্সএআইয়ের নিজস্ব ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল গ্রোক ব্যবহার করে তৈরি করা অনলাইন বিশ্বকোষ। নিরপেক্ষ তথ্যসূত্র হিসেবে এটি উইকিপিডিয়ার বিকল্প হতে পারে বলে দাবি করে আসছেন মাস্ক। প্ল্যাটফর্মটিতে ইতিমধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ নিবন্ধ যুক্ত হয়েছে। এগুলোর বড় অংশই এআই দিয়ে লেখা বা সম্পাদিত।

তবে মাস্কের সর্বশেষ ঘোষণা প্ল্যাটফর্মটিকে ধাপে ধাপে নতুন পরিচয়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। তিনি জানান, গ্রোকিপিডিয়া কেবল সার্ভারে রাখা অনলাইন তথ্যভান্ডার হয়ে থাকবে না; এটি মানুষের মহাকাশ অভিযানের সঙ্গীও হবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, বিশ্বকোষের স্থায়ী কপি পাঠানো হবে চাঁদ, মঙ্গল গ্রহ এবং ভবিষ্যতে সম্ভাব্য আরও দূরবর্তী মহাজাগতিক গন্তব্যে। যেন মানবসভ্যতা কোনো সংকটে পড়লেও জ্ঞান হারিয়ে না যায়।

মাস্কের প্রযুক্তিগত কর্মযজ্ঞে সায়েন্স ফিকশনের প্রভাব নতুন নয়। স্টারশিপের নকশা থেকে শুরু করে সাইবারট্রাকের বাহ্যিক অবয়ব কিংবা টেসলার হিউম্যানয়েড রোবট ‘অপ্টিমাস’—তাঁর এমন অনেক প্রকল্পেই সায়েন্স ফিকশনের ছাপ স্পষ্ট। এবার অ্যাসিমভের কল্পনা থেকেই অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি মানবসভ্যতাকে অন্য গ্রহে বিস্তারের পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত করতে চাইছেন জ্ঞান সংরক্ষণের এই উদ্যোগকে।

তবে ঠিক কোন প্রযুক্তিতে এই মহাজাগতিক তথ্যভান্ডার সংরক্ষিত হবে, কীভাবে বিভিন্ন গ্রহে আপডেটের সমন্বয় করা হবে—এসব প্রশ্নের উত্তর এখনো জানা যায়নি। মাস্ক এ বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য দেননি।

সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে

সম্পর্কিত নিবন্ধ