৬–৭টি গুলি, পড়ে গেলেন রক্তাক্ত মামুন
Published: 10th, November 2025 GMT
‘আমি হাসপাতালের ফটকের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলাম। দেখি, একটা লোক দৌড়ে হাসপাতালের দিকে আসছেন। পেছন থেকে দুজন মোটরসাইকেল থেকে নেমে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়েন।...ছয় থেকে সাতটি গুলি ছোড়েন। এরপর এক ব্যক্তির বুকের ডান পাশে গুলি করেন। তাঁর হাতেও গুলি লাগে।’ আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পুরান ঢাকার ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট হাসপাতালের সামনে গুলি করে হত্যা করা হয় তারিক সাইফ মামুনকে (৫৫)। এ ঘটনার বর্ণনা এভাবেই দিচ্ছিলেন প্রত্যক্ষদর্শী আরাফাত হোসেন।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
কিশোরগঞ্জ-২ আসনে বিএনপির প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিলের দাবি
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-২ আসনে বিএনপি প্রার্থী জালাল উদ্দিনকে ‘ফ্যাসিস্টের পদলেহনকারী’ উল্লেখ করে তার দলীয় মনোনয়ন বাতিল এবং দলের সব পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন সাংবাদিক (আমার দিন সম্পাদক) আহসান হাবিব বরুন।
সোমবার (১০ নভেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনী মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তিনি।
আরো পড়ুন:
শেখ হাসিনাকে জিয়াউর রহমানের অর্ধাঙ্গিনী বলা সেই বিএনপি নেতাকে শোকজ
টাঙ্গাইলে নির্বাচন অফিসে হামলা-ভাঙচুর, কর্মকর্তাসহ আহত ৩
আহসান হাবিব বলেন, “বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ৩১ দফার ভিত্তিতে একটি আধুনিক, নিরাপদ ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার যে স্বপ্ন দেখছেন, সেখানে এমন বিতর্কিত ব্যক্তির উপস্থিতি সেই স্বপ্নের জন্য হুমকিস্বরূপ।”
তিনি বলেন, “জালাল উদ্দিন কিশোরগঞ্জে ফ্যাসিস্ট সরকারের ঘনিষ্ঠ আব্দুল কাহার আকন্দকে (একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি) প্রতিষ্ঠিত করতে নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অনুষ্ঠানে বারবার প্রধান অতিথি হিসেবে এনেছেন এবং একুশে আগস্ট হামলা মামলার সম্পূরক চার্জশিটের প্রশংসা করেছেন। কাহার আকন্দ, সোহরাব হোসেন, নূর মোহাম্মদ, মুখলেসুর রহমান বাদল, রফিকুল ইসলাম রেনু ও ফেরদৌস উকিলসহ আওয়ামী ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের সঙ্গে জালালের সম্পর্ক রয়েছে।”
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর জালাল উদ্দিন চাঁদাবাজি, দখলবাজি ও মামলাবাজিতে জড়িত হন। পাকুন্দিয়া উপজেলার তিনটি বালুমহাল দখল করে তিনি লুটপাটের মাধ্যমে কোটি টাকার বালু বিক্রি করেছেন। টেন্ডার সমঝোতার নামে দুই কোটি ৯২ লাখ টাকা সংগ্রহ করে তার মধ্যে এক কোটি ১৪ লাখ টাকা দলীয় নাম ব্যবহার করে আত্মসাৎ করেন।”
আহসান হাবিব দাবি করেন, “জালাল উদ্দিন বিভিন্ন ব্যবসায়ীকে মামলা ও হামলার ভয় দেখিয়ে চাঁদা আদায়, বিএনপি নেতাকর্মীদের হয়রানি এবং মনোনয়ন পাওয়ার পর এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করেছেন। ছাত্রদল নেতাদের হুমকি, প্রবাসী কর্মীদের ভয় দেখানো, এমনকি স্থানীয় ব্যবসায়ীদের গ্রেপ্তার করাতে তার ভূমিকা ছিল। সম্প্রতি তারেক রহমানের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত ‘খন্দকার শামসুল আলম ফাউন্ডেশন মেধাবৃত্তি পরীক্ষা’ সফল না হওয়ার জন্যও জালাল উদ্দিন সক্রিয় ছিলেন। যে ব্যক্তি দলের শীর্ষ নেতৃত্বের জনসম্পৃক্ততামূলক অনুষ্ঠানে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন, তিনি তারেক রহমানের জীবন ও আদর্শের জন্য হুমকি।”
ঢাকা/রায়হান/এসবি