আয়ারল‌্যান্ডের বিপক্ষে শেষ টি-টোয়েন্টি ম‌্যাচে ৩ উইকেট নিয়ে র‌্যাংকিংয়ে দুই ধাপ এগিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। দশে থাকা মোস্তাফিজুর উঠে এসেছেন আট নম্বরে। এই অবস্থানে থেকে আরেকটি সফল বছর শেষ করলেন মোস্তাফিজুর। যদিও তার ক‌্যারিয়ারের সেরা র‌্যাংকিং পাঁচ। 

বুধবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে ইন্টারন‌্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) পুরুষ ক্রিকেটারদের র‍্যাঙ্কিংয়ের সাপ্তাহিক হালনাগাদ করেছে। 

আরো পড়ুন:

গোছানো ‘সংসার’ ভাঙতে চান না লিটন

হিট অব দ‌্য মোমেন্টে অনেক কিছু হয়েছে, নির্বাচকের সঙ্গে দ্বন্দ্ব নিয়ে লিটন

আয়ারল্যান্ডের সিরিজ জয়ের সঙ্গে একাধিক ক্রিকেটারের র‌্যাংকিংয়েও উন্নতি হয়েছে। ব‌্যাটসম‌্যানদের মধ‌্যে ২১ ধাপ এগিয়েছেন পারভেজ হোসেন ইমন। প্রথম ম‌্যাচে রান না পেলেও শেষ দুই ম‌্যাচে ৪৩ ও ৩৩ রানের ইনিংস আসে তার ব‌্যাট থেকে। শেষ ম‌্যাচে ৩৩ রান করে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। র‌্যাংকিংয়ে তার অবস্থান এখন ৩৮ নম্বরে। তানজিদ শেষ ম‌্যাচে ঝড়ো ফিফটিতে দলকে জেতালেও আগের দুই ম‌্যাচে রান পাননি। এজন‌্য এক ধাপ অবনমন হয়ে ১৯ নম্বরে নেমে গেছেন। এছাড়া তাওহীদ হৃদয়ের ৫ ধাপ উন্নতি হয়েছে। ৪২তম স্থানে আছেন তিনি। যৌথভাবে তার সঙ্গে আছেন গ্লেন ম‌্যাক্সওয়েল। 

মোস্তাফিজুর প্রথম দুই ম‌্যাচে কোনো উইকেট পাননি। তবে, রান দিয়েছেন ২৩ ও ৩৯। শেষ ম‌্যাচে ১১ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন। সিরিজ নির্ধারণী ম‌্যাচে তার নিখুঁত বোলিংয়ে আয়ারল‌্যান্ডকে অল্পতে আটকে রাখতে পেরেছিল বাংলাদেশ। 

৩ উইকেট পেয়েছিলেন লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেনও। তিনি এগিয়েছেন ৫ ধাপ। র‌্যাংকিংয়ে তার অবস্থান ১৫তম। ৩ ধাপ এগিয়েছেন শেখ মাহেদী হাসান। দুই ম‌্যাচ খেলে কোনো উইকেট না পেলেও ৫ ধাপ এগিয়েছেন নাসুম আহমেদের। বাঁহাতি এই স্পিনার আছেন ২৫তম স্থানে। ওই দুই ম্যাচে ৩ উইকেট নিয়ে পেসার তানজিম হাসান দুই ধাপ এগিয়ে ৩৫ নম্বরে।

টি-টোয়েন্টি বোলারদের মধ্যে আগের মতোই সবার ওপরে ভারতের বরুণ চক্রবর্তী। ব্যাটসম্যানদের মধ্যে শীর্ষে ভারতের অভিষেক শর্মা।

ঢাকা/ইয়াসিন/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উইক ট ন ৩ উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

জমে উঠেছে কুমিল্লা বইমেলা 

কুমিল্লা নগরীর টাউন হল মাঠে জমে উঠেছে কুমিল্লা বইমেলা। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতা এবং জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের উদ্যোগে কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে।

আজ বুধবার (৩ নভেম্বর) সপ্তম দিনে বইপ্রেমী মানুষের উচ্ছ্বসিত ভিড় দেখা গেছে মেলায়। 

এবার মেলায় রাজধানীর ৭৪টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান, ১০টি সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং কুমিল্লার ১০টি স্থানীয় প্রকাশনাসহ মোট ৯৪টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে।

মেলার বই বিক্রেতা মিজানুর রহমান বলেন, “এই মেলায় পাঠকের ভিড় দেখে মনে হচ্ছে মানুষ আবার বইয়ের কাছে ফিরছে। বিক্রিও আগের বছরের চেয়ে ভালো।”

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী তামান্না আক্তার। তিনি বলেন, ‘‘সোশ্যাল মিডিয়ার যুগেও বইয়ের পাতায় যে আনন্দ আছে, তার তুলনা নেই। তাই প্রতিবছর অপেক্ষায় থাকি কুমিল্লা বইমেলার। এই মেলা যেন প্রতি বছর কুমিল্লাতে হয়।’’

প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ‘প্রথম আলো’র বিক্রয় কর্মকর্তা জাহিদুল হক বলেন, “আজ বিকেলের পর থেকে ভিড় এমন পর্যায়ে গেছে যে স্টলে দাঁড়ানোর জায়গা পাওয়া কঠিন। শিশুতোষ বই ও উপন্যাস বেশি বিক্রি হচ্ছে।”

এদিকে সন্ধ্যার পর মেলা নতুন সাজে মেতে ওঠে। মঞ্চে আবৃত্তি, গান আর পথনাটকের সুরে চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে সাংস্কৃতিক উচ্ছ্বাস। শহরের মানুষের ভিড়ে চেনা-অচেনা মুখগুলো যেন বই আর সাহিত্যের এক অদৃশ্য সুতোয় বাঁধা পড়ে তখন। 

মেলা চলবে ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

ঢাকা/রুবেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ