জাহানারা আলমসহ একাধিক নারী ক্রিকেটার গণমাধ্যমে যৌন হয়রানি নিয়ে অভিযোগ তুলেছেন। শুরুটা করেছিলেন জাহানারা আলম। এক সাক্ষাৎকারে জাতীয় নারী দলের পেসার জাহানারা আলম বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের সাবেক নির্বাচক ও টিম ম্যানেজার মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জুর বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন।
পিরিয়ডের কথা জানতে চেয়ে বাজে প্রস্তাব দেওয়া, হ্যান্ডশেকের বদলে জড়িয়ে ধরার অভিযোগও এনেছেন তিনি। জাহানারা দাবি করেছেন, অসংখ্যবার বিসিবিকে এসব যৌন নির্যাতনের কথা অভিযোগ আকারে জানিয়েছেন তিনি। কোন প্রতিকার পাননি। তার অভিযোগের পর রুমানা আহমেদ, সাবেক জাতীয় ক্রিকেটার ও কোচ রেশমা আক্তার আদুরি নিজেদের তিক্ত অভিজ্ঞতা গণমাধ্যমে জানান।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিসিবি পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল। সেই কমিটিকে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে অনুসন্ধান প্রতিবেদন ও সুপারিশ জমা দেয়ার সময় বেঁধে দিয়েছিল বিসিবি। এরই মধ্যে শেষ হয়েছে সময়সীমা। কিন্তু বিসিবি জানিয়েছে, তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময় আরো ১৫ দিন বাড়ানো হয়েছে।
এই সময়টা দেওয়া হয়েছে জাহানারাকে। অভিজ্ঞ এই পেসারকে লিখিতভাবে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এজন্য ১৫ দিন সময় পাচ্ছেন তিনি।
৮ নভেম্বর তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। যেখানে কমিটির প্রধান আহ্বায়ক করা হয় সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি তারিক উল হাকিমকে। বাকি দুই সদস্য হিসেবে যুক্ত করা হয়- বিসিবির পরিচালক রুবাবা দৌলা এবং বাংলাদেশ মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি ব্যারিস্টার সারওয়াত সিরাজ শুক্লা।
এরপর তদন্ত কমিটিতে যুক্ত হন দুই সদস্য- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ আইন কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড.
বাংলাদেশ নারী দলের হয়ে ১৩৫টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন জাহানারা। নারী ক্রিকেটারদের প্রথম সারির সেনানিদের একজন তিনি। বর্তমানে অস্ট্রেলিয়াতে আছেন। সেখানে ক্রিকেট খেলার পাশাপাশি লেভেল-২ কোচিং কোর্স সম্পন্ন করেছেন।
ঢাকা/ইয়াসিন
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সদস য তদন ত
এছাড়াও পড়ুন:
জমে উঠেছে কুমিল্লা বইমেলা
কুমিল্লা নগরীর টাউন হল মাঠে জমে উঠেছে কুমিল্লা বইমেলা। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতা এবং জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের উদ্যোগে কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে।
আজ বুধবার (৩ নভেম্বর) সপ্তম দিনে বইপ্রেমী মানুষের উচ্ছ্বসিত ভিড় দেখা গেছে মেলায়।
এবার মেলায় রাজধানীর ৭৪টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান, ১০টি সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং কুমিল্লার ১০টি স্থানীয় প্রকাশনাসহ মোট ৯৪টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে।
মেলার বই বিক্রেতা মিজানুর রহমান বলেন, “এই মেলায় পাঠকের ভিড় দেখে মনে হচ্ছে মানুষ আবার বইয়ের কাছে ফিরছে। বিক্রিও আগের বছরের চেয়ে ভালো।”
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী তামান্না আক্তার। তিনি বলেন, ‘‘সোশ্যাল মিডিয়ার যুগেও বইয়ের পাতায় যে আনন্দ আছে, তার তুলনা নেই। তাই প্রতিবছর অপেক্ষায় থাকি কুমিল্লা বইমেলার। এই মেলা যেন প্রতি বছর কুমিল্লাতে হয়।’’
প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ‘প্রথম আলো’র বিক্রয় কর্মকর্তা জাহিদুল হক বলেন, “আজ বিকেলের পর থেকে ভিড় এমন পর্যায়ে গেছে যে স্টলে দাঁড়ানোর জায়গা পাওয়া কঠিন। শিশুতোষ বই ও উপন্যাস বেশি বিক্রি হচ্ছে।”
এদিকে সন্ধ্যার পর মেলা নতুন সাজে মেতে ওঠে। মঞ্চে আবৃত্তি, গান আর পথনাটকের সুরে চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে সাংস্কৃতিক উচ্ছ্বাস। শহরের মানুষের ভিড়ে চেনা-অচেনা মুখগুলো যেন বই আর সাহিত্যের এক অদৃশ্য সুতোয় বাঁধা পড়ে তখন।
মেলা চলবে ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
ঢাকা/রুবেল