জাতীয় পার্টিসহ (জাপা) স্বৈরাচারের দোসরদের আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হলে গণঅধিকার পরিষদ নির্বাচন বর্জন করবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।

রাশেদ খান বলেছেন, ‘‘ভারতের মদদে আওয়ামী লীগের ডামি প্রার্থীরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের চেষ্টা চালাচ্ছে। জাতীয় পার্টি ভারতের মদদে আগামী নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। ফ্যাসিস্টের দোসরদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ জনগণ মানবে না। প্রয়োজনে নির্বাচন কমিশনকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে।’’

আরো পড়ুন:

জকসু নির্বাচন: নবীনদের ‘তরুণ শিক্ষার্থী ঐক্য’ প্যানেল ঘোষণা

জকসু: ছাত্রদলের বিদ্রোহীদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার

মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) বিকেলে ঝিনাইদহের সদর উপজেলার বাজারগোপালপুর বাজারে নির্বাচনি গণসংযোগ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ সব কথা বলেন। 

রাশেদ খান বলেন, ‘‘শেখ হাসিনাকে ভারত ফেরত না দিলে তাদের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করা হবে। ভারত যদি বাংলাদেশে নতুন করে হাসিনার মতো কাউকে তাবেদার শাসক বানাতে চায়, তাহলে জনগণ তা প্রতিহত করবে। বাংলাদেশের জনগণ আর কখনো ভারতের তাবেদার সরকার মেনে নেবে না।’’ 

ভারতের সঙ্গে সমতা ও আত্মমর্যাদার ভিত্তিতে কূটনৈতিক সম্পর্ক গঠন করা হবে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, ‘‘ভারতের দাদাগিরি আমরা আর মানব না। ভারত নির্বাচন বানচালের জন্য আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ডামি প্রার্থীদের স্বতন্ত্র সাজিয়ে ভোটের মাঠে নামাতে চাইছে। আমরা সেই ষড়যন্ত্র সফল হতে দেব না।’’ 

এর আগে বিকাল সাড়ে ৪টায় ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বাজারগোপালপুর বাজারে নির্বাচনী গণসংযোগে অংশ নেন রাশেদ খান। এ সময় জেলা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি প্রভাষক মো.

সাখাওয়াত হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জাহিদ ইকবাল রাজন, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি রিহান হোসেন রায়হান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ দলটির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। 

ঢাকা/সোহাগ/বকুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

‘বিহারে ভোট কিনতে ব্যবহার হয়েছে বিশ্বব্যাংকের ১৪ হাজার কোটি রুপি’

ভারতের বিহার রাজ্যের ভোটারদের প্রভাবিত করতে বিশ্বব্যাংকের ১৪ হাজার কোটি টাকা ব্যবহার করা হয়েছে। দেশটির সাবেক ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের দল জন সুরাজ পার্টি। রবিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করা হয়েছে।

জন সুরাজ পার্টির দাবি, রাজ্যের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের জন্য বিশ্বব্যাংক যে ১৪ হাজার কোটি রুপি দিয়েছিল, তা ভোটে জিততে ব্যবহার করা হয়েছে। এই অর্থ থেকেই নীতীশ কুমারের সরকার ‘মুখ্যমন্ত্রী রোজগার যোজনা’ প্রকল্পের মাধ্যমে ১ কোটি ২৫ লাখ নারীকে ১০ হাজার রুপি দিয়েছে।

দলের জাতীয় সভাপতি উদয় সিংহ বলেন, “নির্বাচনের ফলাফলকে কেনা হয়েছে। ২১ জুন থেকে ভোটের দিন পর্যন্ত ৪০ হাজার কোটি রুপি খরচ করা হয়েছে। জনগণের অর্থ ব্যবহার করে জনগণের ভোট কেনা হয়েছে। আমি এটাও জানলাম যে, বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে পাওয়া রুপি নগদ অর্থবিলিতে ব্যবহার করা হয়েছে।”

চলতি সপ্তাহে বিহারের বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হয়েছে। তাতে দেখা গেছে, বড় ব্যবধানে জয় পেয়েছে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপির নেতৃত্বাধীন জোট এনডিএ। ২৪৩ সদস্যের বিধানসভার মধ্যে এনডিএ ২০২টি আসন জিতেছে, যার মধ্যে বিজেপি ৮৯টি, জেডিইউ ৮৫টি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চিরাগ পাসওয়ানের লোক জনশক্তি পার্টি (রাম বিলাস) ১৯টি, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতন রাম মাঝির হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা পাঁচটি এবং রাজ্যসভার সাংসদ উপেন্দ্র কুশওয়াহার জাতীয় লোক মোর্চা চারটি আসন পেয়েছে। আরজেডি-নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোট মহাগঠবন্ধন মাত্র ৩৫টি আসন পেয়েছে।

তবে রাজ্যের নতুন দল জন সুরাজ পার্টি একটি আসনেও জয় পায়নি।

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • যশোরে জামায়াতে ইসলামীর হিন্দু সম্মেলন অনুষ্ঠিত
  • দিনের ভোট রাতে করতে রাষ্ট্রের ৮ হাজার কোটি টাকা লুট করেছিলেন শেখ হাসিনা: রিজভী
  • শেখ হাসিনার রায় দেশে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখবে: গণসংহতি আন্দোলন
  • দেশবাসীকে ধৈর্য, সতর্কতা ও ঐক্য বজায় রাখার আহ্বান জামায়াত আমিরের
  • রায় প্রত্যাখ্যান আওয়ামী লীগের
  • পদ্মা সেতু ও এক্সপ্রেসওয়েতে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা
  • ইকুয়েডরে গণভোটে ‘না’ এগিয়ে, বিদেশি সামরিক ঘাঁটিতে সায় নেই মানুষের
  • ককটেল নিক্ষেপ ও অগ্নিসংযোগ করলে গুলির নির্দেশ ডিএমপি কমিশনারের
  • ‘বিহারে ভোট কিনতে ব্যবহার হয়েছে বিশ্বব্যাংকের ১৪ হাজার কোটি রুপি’