সলিলের গানের ভেতরেই ছিল মিছিলের স্লোগান
Published: 19th, November 2025 GMT
‘গণসংগীত মানুষের রক্তে আগুন জ্বেলে দিয়েছে, উজ্জীবিত করেছে, মুক্তির পথ দেখিয়েছে’—আজ শহীদ মিনারে এই উচ্চারণে আবারও ফিরে এলেন সলিল চৌধুরী। বুধবার, সন্ধ্যায় উদীচীর আয়োজনে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনুষ্ঠিত হলো কিংবদন্তি গণসংগীতকার সলিল চৌধুরীর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে বিশেষ আয়োজন ‘সতত সলিল’।
আলোচনা, গান, কবিতা ও নৃত্যে সজ্জিত এই আয়োজন ছিল একাধারে স্মরণ, শ্রদ্ধা ও চেতনার পুনর্জাগরণ। সভাপতিত্ব করেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাবিবুল আলম। আলোচনায় অংশ নেন লেখক–গবেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সায়েম রানা এবং উদীচী কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক জামসেদ আনোয়ার। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সহসাধারণ সম্পাদক ইকবালুল হক খান।
সলিল চৌধুরী সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে আলোচকেরা বলেন, জাতির যে ঐতিহাসিক ধারাক্রম রয়েছে, সেই ধারার এক গুরুত্বপূর্ণ সময়ের একজন অন্যতম পুরোধা ব্যক্তি ছিলেন সলিল চৌধুরী। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে বাংলার মানুষের প্রতিটি লড়াই–সংগ্রামে গণসংগীত মানুষের রক্তে আগুন জ্বেলেছে, মানুষকে উজ্জীবিত করেছে, মানুষকে তার মুক্তির পথ দেখিয়েছে। সলিল চৌধুরী ছিলেন সেই গণসংগীতের একজন কিংবদন্তি কারিগর। তাঁর হাত ধরে গণসংগীত পেয়েছে এক নতুন মাত্রা। তিনি কবিতাকে, মিছিলের স্লোগানকে যেমন গানে রূপান্তর করেছেন, তেমনি তাঁর রচিত সংগীত হয়ে উঠেছে মিছিলের স্লোগান। বক্তারা আরও বলেন, ‘গণমানুষের মুক্তির বাণী নিয়ে যে গান, তা আমাদের যুগে যুগে রাষ্ট্রব্যবস্থায় শাসকশ্রেণি থেকে শুরু করে অনেকেরই পছন্দের নয়। তাই হয়তো আমাদের সমাজে গণসংগীত যথাযথ স্বীকৃতি পায়নি। কিন্তু তারপরও মানবমুক্তির প্রতিটি লড়াইয়ে, প্রতিটি সংগ্রামে গণসংগীত আমাদের শক্তি জোগায়, সাহস জোগায়। বাংলা আধুনিক গানের অবিস্মরণীয় সুরস্রষ্টা ও গণসংগীতের প্রবাদপ্রতিম ব্যক্তি সলিল চৌধুরীর তৈরি করা গণসংগীত সর্বকালের জন্য প্রাসঙ্গিক।’
আলোচনা শেষে আয়োজন মাতিয়ে তোলে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। বৃন্দগান পরিবেশন করে উদীচী সংগীত বিভাগ ও ‘কোরাস’। একক গান করেন তানভীর আলম সজীব এবং মনসুর আহমেদ। বৃন্দনৃত্য পরিবেশন করে স্পন্দন; একক নৃত্যে অংশ নেন আদৃতা আনোয়ার প্রকৃতি। আবৃত্তিতে অংশ নেয় উদীচী আবৃত্তি বিভাগ; একক আবৃত্তি করেন শাহেদ নেওয়াজ।
আলোচনা শেষে আয়োজন মাতিয়ে তোলে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গণস গ ত
এছাড়াও পড়ুন:
ভাত কী সত্যিই ওজন বাড়ায়?
প্রায় প্রত্যেকেই ওজন বৃদ্ধির জন্য ভাতকে দায়ী করেন। মনে করা হয়, ভাতে অধিকমাত্রায় ক্যালোরি রয়েছে। চিকিৎসকেরা বলেন, ‘‘এক প্লেট ভাতে থাকে ২৭২ ক্যালরি শক্তি’’। আপনি জানেন— একজন পুরুষের প্রতিদিন গড়ে ২ হাজার থেকে ৩ হাজার ক্যালরির প্রয়োজন। আর একজন নারীর প্রয়োজন ১ হাজার ৬০০ থেকে ২ হাজার ৪০০।
শারীরিক পরিশ্রম, জীবনযাপন পদ্ধতি, ওজন, উচ্চতা—এ রকম নানা কিছুর ওপর নির্ভর করে দিনে একটা মানুষের কতটুকু ক্যালরি প্রয়োজন। তাহলে ডায়েট থেকে ভাত বাদ দেওয়ার প্রশ্ন আসছে কেন? পুষ্টিবিদদের পরামর্শ, ‘‘প্রতিদিন দুই বেলা পরিমিত পরিমাণে ভাত খেতে পারেন। তবে কোনো বেলায় এক থেকে দেড় কাপের বেশি ভাত খাওয়া ঠিক নয়।’’
আরো পড়ুন:
কণ্ঠস্বর ভালো রাখার জন্য যেসব অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন
ব্যায়ামের পরে শরীর হালকা লাগে যেসব কারণে
রাতে ভাত খাওয়ার অভ্যাস থাকলে আপনি রাত আটটার মধ্যে খাবার খেয়ে নিতে পারেন। এতে খাবার ভালোভাবে হজম হবে। এবং শরীরে অতিরিক্ত ক্যালোরি জমা থাকবে না।
পুষ্টিবিদরা বলেন, ‘‘ যারা অধিক শারীরিক পরিশ্রম করেন, তারা তিন বেলা ভাত খেতে পারেন। তবে যাদের শারীরিক অ্যাক্টিভিটি কম, তারা এক থেকে দুই বেলা খাবেন।’’
উল্লেখ্য, উপকারিতা পেতে হলে ভাতের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। অতিরিক্ত ভাত খেলে ক্যালোরি বেড়ে যেতে পারে এবং ওজন বৃদ্ধির কারণ হতে পারে।
তথ্যসূত্র: বিবিসি
ঢাকা/লিপি