ফসলি জমি সমান করার সময় বেরিয়ে এল মর্টার শেল
Published: 28th, November 2025 GMT
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় উঁচু-নিচু ফসলি জমি সমান করার সময় মাটির নিচ থেকে বেরিয়ে এসেছে একটি মর্টার শেল। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে উপজেলার গড্ডিমারী ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড থেকে এটি উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এলাকার বাসিন্দা আবুল হোসেনের মালিকানাধীন আবাদি জমিতে ভেকু (খননযন্ত্র) দিয়ে মাটি সমান করার কাজ চলছিল। এ সময় মাটির নিচ থেকে মর্টার শেলটি বেরিয়ে আসে। এটির দৈর্ঘ্য ১৪ ইঞ্চি, প্রস্থ ১০ ইঞ্চি ও ব্যাসার্ধ ২.
মর্টার শেলটি হাতীবান্ধা থানায় নিয়ে রাখা হয়েছে বলে জানান হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) মাহমুদুন্নবী। তিনি বলেন, বিষয়টি আদালতকে জানানো হবে। এরপর আদালত যেভাবে নির্দেশনা দেবে, সে অনুযায়ী পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
শিক্ষাবৃত্তি পেল প্রয়াত সাংবাদিকদের সন্তানরা
কর্মরত থাকাকালীন মৃত্যুবরণকারী সাংবাদিকদের সন্তানদের লেখাপড়ার জন্য শিক্ষাবৃত্তি দিয়েছে এনআরবিসি ব্যাংক-ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)।
ব্যাংকের করপোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) তহবিল থেকে ডিআরইউয়ের প্রয়াত ৩৩ জন সদস্যের সন্তানদের জনপ্রতি মাসিক ৩ হাজার টাকা হারে বার্ষিক ৩৬ হাজার টাকা বৃত্তি প্রদান করা হবে। এই বৃত্তি প্রদানের জন্য এনআরবিসি ব্যাংক সর্বমোট ১১ লাখ ৮৮ হাজার টাকা অর্থ সহায়তা করবে।
আরো পড়ুন:
ডিআরইউ লেখক সম্মাননা পেলেন ২৯ সাংবাদিক
বিভক্তির কারণে সাংবাদিকেরা রাজনীতিকদের পকেটে ঢুকে যান: ফখরুল
বৃহস্পতিবার ডিআরইউ মিলনায়তনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই বৃত্তির চেক হস্তান্তর করেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার।
এ সময় এনআরবিসি ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) ও চিফ অপারেটিং অফিসার মোহাম্মদ আব্দুল কাইয়ুম খান, কমিউনিকেশন বিভাগের প্রধান মো. হারুন-অর-রশিদ, ডিআরইউ সভাপতি আবু সালেহ আকন, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল, কল্যাণ সম্পাদক রফিক মৃধা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, “উন্নত জাতি গঠনে শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। সব পর্যায়ের মানুষকে উপযুক্ত শিক্ষায় শিক্ষিত করতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকেও এগিয়ে আসতে হবে। মহান পেশা সাংবাদিকতায় নিযুক্ত ছিলেন তাদের সন্তানরা আজ বৃত্তিপ্রাপ্ত হচ্ছেন। ব্যাংকিং সেক্টর নানা চ্যালেঞ্জের মধ্যেও যে অঙ্গীকার নিয়ে এনআরবিসি ব্যাংক এই সামাজিক দায়িত্ব বহন করছে, তা সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক। সব প্রতিষ্ঠান এ ধরনের দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিলে একজন শিশুও আর্থিক সংকটের কারণে শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হবে না।”
এনআরবিসি ব্যাংকের ডিএমডি বলেন, “সাংবাদিকরা জাতির বিবেক। তাদের লেখনীর মাধ্যমে অসঙ্গতিগুলো যেমন বেরিয়ে আসে তেমনি উন্নয়নের পথনকশাও পাওয়া যায়। আমরা এনআরবিসি ব্যাংক সমাজের একেবারে পিছিয়েপড়া মানুষদের এগিয়ে নিতে কাজ করছি। আমাদের বিস্তৃত প্রায় ৬০০ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষকে অর্থায়ন করে তাদের আর্থিক উন্নয়নে কাজ করছি। পাশাপাশি সিএসআর তহবিলের আওতায় শিক্ষা ও চিকিৎসায় সহায়তা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় মানুষদের কল্যাণে অর্থব্যয় করা হচ্ছে।”
ডিআরইউ সভাপতি আবু সালেহ আকন বলেন, “সাংবাদিকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশের জন্য কাজ করেন। কিন্তু নানা কারণে তাদের আর্থিক নিরাপত্তা নেই। আমাদের ডিআরইউয়ের ৩৩ জন সদস্য অকালে মৃত্যুবরণ করায় তাদের পরিবার সংকটে পড়েছে। আমরা তাদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি। এনআরবিসি ব্যাংককে ধন্যবাদ অসহায় পরিবারদের সন্তানদের বৃত্তি প্রদানে এগিয়ে আসার জন্য।”
সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল বলেন, “এনআরবিসি ব্যাংকের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি সাংবাদিকদের কল্যাণমূলক কাজে এগিয়ে আসার জন্য। ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে বলে আমরা প্রত্যাশা করি।”
ঢাকা/এসবি