আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির বাংলাদেশ দলে তামিম ইকবালকে চেয়েছিলেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন। অধিনায়কের চাওয়াকে আমলে নিয়ে নির্বাচক কমিটিও চেয়েছিল তামিমকে ফেরাতে। বিসিবির পক্ষ থেকে সেই উদ্যোগও নেওয়া হয়েছিল।

সিলেটে গত পরশু নির্বাচক কমিটির সঙ্গে দুই দফা আলোচনার পর প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, জাতীয় দলে ফেরার ব্যাপারে পরিবার ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত জানাবেন তামিম। কিছুক্ষণ আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেই সিদ্ধান্তই জানিয়ে দিলেন দেশসেরা ওপেনার।

তামিম ইকবাল আর কখনো বাংলাদেশের হয়ে খেলবেন না। এ ব্যাপারে তিনি ফেসবুকে যে পোস্ট দিয়েছেন, তা হুবহু তুলে ধরা হলো—

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে দূরে আছি অনেক দিন ধরেই। সেই দূরত্ব আর ঘুচবে না। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আমার অধ্যায় শেষ।

অনেক দিন ধরেই এটা নিয়ে ভাবছিলাম। এখন যেহেতু সামনে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির মতো বড় একটি আসর, আমি চাই না আমাকে ঘিরে আবার অলোচনা হোক এবং দলের মনোযোগ ব্যাহত হোক।

এটা অবশ্য আগেও চাইনি। চাইনি বলেই অনেক আগে নিজেকে বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে সরিয়ে নিয়েছি।

২০২৩ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর মিরপুরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটি বাংলাদেশের জার্সিতে তামিমের শেষ ম্যাচ হয়ে রইল.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বিএনপি নেতাকে মারধর: খুলনা সদর থানার সাবেক ওসি কারাগারে

খুলনা মহানগর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফখরুল আলমের করা মামলায় সদর থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। 

রোববার আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন হাসান আল মামুন। খুলনা মহানগর দায়রা জজ মো. শরীফ হোসেন হায়দার তার জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এদিকে আদালত চত্বরে থাকা বিএনপি নেতাকর্মীরা মামুনকে লক্ষ্য করে ডিম ও পচা আম নিক্ষেপ করেন। তার শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন তারা। পরে নেতাকর্মীদের সরিয়ে দেন সেনা সদস্যরা। 

মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এ কে এম শহিদুল আলম বলেন, মামলাটিতে উচ্চ আদালতের জামিনে ছিলেন হাসান আল মামুন। উচ্চ আদালতের নির্দেশে রোববার খুলনা মহানগর দায়রা জজ  আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ করেন। এ সময় তার আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন। আমরা জামিনের বিরোধিতা করি। আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০২২ সালের ৫ জানুয়ারি কে ডি ঘোষ রোডের দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির সমাবেশে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এ সময় তৎকালীন ওসি মামুন নিজেই
ফখরুল আলমকে বেদম মারধর করেন। লাঠির আঘাতে ফখরুল আলমের একটি চোখ নষ্ট হয়ে যায়। এ ঘটনায় ২০২৪ সালের ১৯ আগস্ট মামুনের বিরুদ্ধে নির্যাতন ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে আদালতে মামলা করেন ফখরুল।

সম্পর্কিত নিবন্ধ