বাংলাদেশের হয়ে আর খেলবেন না তামিম ইকবাল
Published: 10th, January 2025 GMT
আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির বাংলাদেশ দলে তামিম ইকবালকে চেয়েছিলেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন। অধিনায়কের চাওয়াকে আমলে নিয়ে নির্বাচক কমিটিও চেয়েছিল তামিমকে ফেরাতে। বিসিবির পক্ষ থেকে সেই উদ্যোগও নেওয়া হয়েছিল।
সিলেটে গত পরশু নির্বাচক কমিটির সঙ্গে দুই দফা আলোচনার পর প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, জাতীয় দলে ফেরার ব্যাপারে পরিবার ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত জানাবেন তামিম। কিছুক্ষণ আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেই সিদ্ধান্তই জানিয়ে দিলেন দেশসেরা ওপেনার।
তামিম ইকবাল আর কখনো বাংলাদেশের হয়ে খেলবেন না। এ ব্যাপারে তিনি ফেসবুকে যে পোস্ট দিয়েছেন, তা হুবহু তুলে ধরা হলো—
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে দূরে আছি অনেক দিন ধরেই। সেই দূরত্ব আর ঘুচবে না। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আমার অধ্যায় শেষ।
অনেক দিন ধরেই এটা নিয়ে ভাবছিলাম। এখন যেহেতু সামনে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির মতো বড় একটি আসর, আমি চাই না আমাকে ঘিরে আবার অলোচনা হোক এবং দলের মনোযোগ ব্যাহত হোক।
এটা অবশ্য আগেও চাইনি। চাইনি বলেই অনেক আগে নিজেকে বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে সরিয়ে নিয়েছি।
২০২৩ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর মিরপুরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটি বাংলাদেশের জার্সিতে তামিমের শেষ ম্যাচ হয়ে রইল.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
‘নিখোঁজ’ ভারতীয় কৃষক ২ কেজি স্বর্ণসহ মুজিবনগরে আটক
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার দর্শনা সীমান্তে এক ভারতীয় কৃষকের ‘নিখোঁজ’ হওয়া নিয়ে তার পরিবারের উদ্বেগের মধ্যে জানা গেল চোরাকারবারের স্বর্ণসহ বাংলাদেশের মুজিবনগর সীমান্তে বিজিবির হাতে আটক হয়েছেন তিনি।
বিজিবি বলছে, মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মুজিবনগর সীমান্তের ১০৪ নম্বর পিলারের কাছ থেকে নূর হোসেনকে আটক করা হয়। তিনি ভারতের নদীয়া জেলার হৃদয়পুর গ্রামের মৃত সোনা সেখের ছেলে।
এর আগে, নূর হোসেনের পরিবার ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফের কাছে তার সন্ধান চেয়েছিল। তারা বলেছিল, সকালে কাজে বেরিয়ে আর ফিরে আসেননি নূর হোসেন। খবর পেয়েছেন, সীমান্তের শূন্যরেখা থেকে বিজিবি তাকে ধরে নিয়ে গেছে।
নূর হোসেনকে বিজিবি ধরে নিয়ে আসেনি; বরং চোরাচালানের স্বর্ণের বারসহ হাতেনাতে তাকে আটক করা হয়েছে।
বুধবার (১৫) বিকেলে বিষয়টি বিজিবির কাছ থেকে পরিষ্কার হওয়া গেছে। মেহেরপুরের মুজিবনগর সীমান্তে ১৮টি স্বর্ণের বারসহ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নূর হোসেনকে আটক করে বিজিবি।
চুয়াডাঙ্গা বিজিবি-৬ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাঈদ মোহাম্মাদ জাহিদুর রহমান বলেন, ‘‘মুজিবনগর মাঠের মধ্য দিয়ে স্বর্ণ চোরাচালানের খবর পেয়ে মেইন পিলার ১০৪-এর সাব-পিলার ৫-এর কাছে ফোর্স নিয়ে অবস্থান নেয় মুজিবনগর বিওপির টহল কমান্ডার হাবিলদার রফিকুল ইসলাম।’’
‘‘পরে সন্দেহভাজন একজন সীমান্তে প্রবেশ করলে তাকে চ্যালেঞ্জ করেন বিজিবির সদস্যরা। এ সময় পালানোর চেষ্টা করে সে। বিজিবি তাকে ধাওয়া করে। পরে মাঠের মধ্য থেকে আটক করা হয় নূর হোসেনকে। তার শরীর তল্লাশি করে কোমরে প্যান্টের ভেতর স্কচটেপ দিয়ে মোড়ানো তিনটি প্যাকেট জব্দ করা হয়। পরে সেগুলো খুলে ১৮টি বার পাওয়া যায়; যার ওজন দুই কেজি ১৮ গ্রাম।’’
“এ ব্যাপারে হাবিলদার রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে মুজিবনগর থানায় মামলা করছেন। স্বর্ণের বারগুলো মেহেরপুর ট্রেজারি অফিসে জমার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে,” বলেছেন জাহিদুর রহমান।
নূর হোসেনের পরিবার ও তার স্বজনদের দাবি অনুযায়ী, মঙ্গলবার সকালে নূর হোসেন সেখ বিএসএফ-এর কাছে তার পরিচয়পত্র জমা দিয়ে কাঁটাতার পেরিয়ে জিরো পয়েন্টের কাছে ভারতের ভূখণ্ডের মধ্যে থাকা নিজের জমিতে কাজ করতে যান। মঙ্গলবার সন্ধ্যা পেরিয়ে গেলেও তিনি বাড়িতে ফেরেননি। এরপরই সীমান্তবর্তী অন্য চাষিদের কাছ থেকে খবর আসে, বিজিবি তাকে ধরে নিয়ে গেছে।
নূর হোসেনের বিষয়ে অন্যের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যে তার পরিবার এ বিষয়ে খোঁজ নিতে বুধবার বিজিবির সঙ্গে যোগাযোগ করলে বেরিয়ে আসে স্বর্ণ চোরালাচানের জড়িত থাকার চাঞ্চল্যকর ঘটনা। কৃষকের ছদ্মবেশে সীমান্তে স্বর্ণ চোরাকারবারির সঙ্গে যুক্ত নূর হোসেন এখন মুজিবনগর থানা হেফাজতে রয়েছেন।
ঢাকা/সুচরিতা/সোহাগ/এনএইচ