গজারিয়ায় ২৮ কেজি গাঁজাসহ যুবক গ্রেপ্তার
Published: 15th, January 2025 GMT
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় ২৮ কেজি গাঁজাসহ রাজু ইসলাম (৩২) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করছে র্যাব-১১। এ সময় গাঁজা বহনকারী একটি পিকআপ ভ্যান জব্দ করা হয়।
মঙ্গলবার দিনগত রাত ১০টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের আনারপুরা এলাকায় জেএম আই ফিলিং স্টেশনের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত রাজু ইসলাম কুমিল্লা জেলার সদর উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের সেলিম রেজার ছেলে বলে জানা গেছে।
এ ঘটনায় বুধবার সকালে র্যাব বাদী হয়ে মামলা রুজুর পর আসামিকে থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করলে দুপুরে গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে মুন্সীগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করা হয়। এতে বিচারকের নির্দেশে আসামিকে বিকেলে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
জানা যায়, র্যাব-১১ নারায়ণগঞ্জ পুলিশ পরিদর্শক বিপ্লব ভৌমিক সঙ্গীও ফোর্সসহ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে নিয়মিত টহল ডিউটিকালীন আনারপুরা এলাকায় একটি টয়োটা কেবিন পিকআপ (ঢাকা মেট্রো থ ১১-৯৮৭৬) থামিয়ে তল্লাশি চালায়। এ সময় ওই পিকআপ থেকে ২৮ কেজি গাঁজা উদ্ধারসহ রাজু ইসলাম নামের একজনকে আটক এবং গাঁজা পাচারের কাজে ব্যবহৃত পিকআপটি জব্দ করা হয়।
গজারিয়া থানার ওসি আনোয়ার আলম আজম জানান, গ্রেপ্তারকৃত রাজুর বিরুদ্ধে গজারিয়া থানায় মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করেছে র্যাব। বুধবার দুপুরে আসামি রাজুকে আদালতের মাধ্যমে মুন্সীগঞ্জ জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
শিক্ষকের পিটুনিতে আহত মাদ্রাসা শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি
ঝালকাঠির রাজাপুরে আবু বকর (১২) নামের এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে লাঠি দিয়ে বেদম পিটিয়ে আহত করেছেন তার শিক্ষক। ওই শিক্ষার্থী রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) রাতে রাজাপুর উপজেলার গালুয়া দারুল কুরআন নূরানি কওমি মাদ্রাসায় ওই ছাত্রকে পেটানো হয়। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে।
অভিযুক্ত শিক্ষক জুনায়েদের বিরুদ্ধে এখনো কোনো ব্যবস্থা নেয়নি মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ।
আবু বকর রাজাপুর উপজেলার সাতুরিয়ার মিঞা বাড়ি এলাকার মহসিনের ছেলে। সে গালুয়া দারুল কুরআন নূরানি কওমি মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র। শিক্ষক জুনায়েদ (২৬) সাতুরিয়া এলাকার জাহাঙ্গীরের ছেলে।
আবু বকর সাংবাদিকদের বলেছে, বাবা-মায়ের সাথে আমাকে কথা বলতে দিতেন না জুনায়েদ হুজুর। তিনি বলতেন, বার বার বাড়িতে কথা বললে মায়া বাড়ে। তাই, লুকিয়ে মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতার ছেলে তানভীরের মোবাইল ফোন থেকে আমার বাবার সাথে কথা বলায় শিক্ষক জুনায়েদ ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। পরে গাব গাছের লাঠি দিয়ে আমার সারা শরীরে পেটায়।
আবু বকরের বাবা মহসিন বলেছেন, শিক্ষককে ফোন করে আমার ছেলেকে না মারার জন্য অনুরোধ করছি। তারপরও তাকে চরমভাবে মেরেছে। আমি তার শাস্তি চাই।
তবে, অভিযুক্ত শিক্ষক জুনায়েদ বলেছেন, আবু বকর কথা শোনে না। তাই, তাকে কয়েকটি পিটুনি দিয়েছি। কিন্তু, রাগের মাথায় মাইর বেশি হয়ে গেছে।
মাদ্রাসার পরিচালক মো. মজিবুর রহমান বলেছেন, আবু বকরকে যেভাবে মারা উচিত ছিল, তার চেয়ে বেশি মারা হয়েছে। এজন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। আমি কমিটির সবাইকে বিষয়টি জানিয়েছি। এখন অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে মিটিংএ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেছেন, আবু বকরের বিষয়ে খোঁজ নিতে হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢাকা/অলোক/রফিক