মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় ২৮ কেজি গাঁজাসহ রাজু ইসলাম (৩২) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করছে র‍্যাব-১১। এ সময় গাঁজা বহনকারী একটি পিকআপ ভ্যান জব্দ করা হয়।

মঙ্গলবার দিনগত রাত ১০টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের আনারপুরা এলাকায় জেএম আই ফিলিং স্টেশনের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত রাজু ইসলাম কুমিল্লা জেলার সদর উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের সেলিম রেজার ছেলে বলে জানা গেছে।

এ ঘটনায় বুধবার সকালে র‍্যাব বাদী হয়ে মামলা রুজুর পর আসামিকে থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করলে দুপুরে গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে মুন্সীগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করা হয়। এতে বিচারকের নির্দেশে আসামিকে বিকেলে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।

জানা যায়, র‌্যাব-১১ নারায়ণগঞ্জ পুলিশ পরিদর্শক বিপ্লব ভৌমিক সঙ্গীও ফোর্সসহ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে নিয়মিত টহল ডিউটিকালীন আনারপুরা এলাকায় একটি টয়োটা কেবিন পিকআপ (ঢাকা মেট্রো থ ১১-৯৮৭৬) থামিয়ে তল্লাশি চালায়। এ সময় ওই পিকআপ থেকে ২৮ কেজি গাঁজা উদ্ধারসহ রাজু ইসলাম নামের একজনকে আটক এবং গাঁজা পাচারের কাজে ব্যবহৃত পিকআপটি জব্দ করা হয়।

গজারিয়া থানার ওসি আনোয়ার আলম আজম জানান, গ্রেপ্তারকৃত রাজুর বিরুদ্ধে গজারিয়া থানায় মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করেছে র‍্যাব। বুধবার দুপুরে আসামি রাজুকে আদালতের মাধ্যমে মুন্সীগঞ্জ জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

পাকিস্তানের এফ–১৬ যুদ্ধবিমানের জন্য উন্নত প্রযুক্তি দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

পাকিস্তানের এফ-১৬ যুদ্ধবিমান বহরের জন্য ৬৮ কোটি ৬০ লাখ ডলার মূল্যের উন্নত প্রযুক্তি ও সহায়তা পরিষেবা বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ৮ ডিসেম্বরের মার্কিন প্রতিরক্ষা নিরাপত্তা সহযোগিতা সংস্থা (ডিএসসিএ) থেকে কংগ্রেসে পাঠানো এক চিঠি থেকে এই তথ্য জানা গেছে।

এই প্যাকেজে রয়েছে লিংক-১৬ ডেটা লিংক সিস্টেম, ক্রিপ্টোগ্রাফিক সরঞ্জাম, এভিওনিকস (বিমানচালনা সরঞ্জাম) হালনাগাদকরণ, প্রশিক্ষণ এবং ব্যাপক লজিস্টিক্যাল সহায়তা।

ডিএসসিএ জানিয়েছে, এই সরঞ্জাম বিক্রির মাধ্যমে তারা যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্রনীতির লক্ষ্য পূরণ করতে চায়। এর ফলে পাকিস্তান সন্ত্রাস দমনে যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্রদেশগুলোর সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করার ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবে। ভবিষ্যতের যেকোনো জরুরি পরিস্থিতির জন্য তারা প্রস্তুত থাকতে পারবে।

এই আধুনিক যন্ত্রপাতিগুলো পাকিস্তানের পুরোনো ব্লক–৫২ এবং মিড-লাইফ আপগ্রেড এফ–১৬ যুদ্ধবিমানগুলোকে নতুন করে তৈরি করবে। এতে এসব যুদ্ধবিমান নিরাপদে চালানোর জন্য উপযোগী হয়ে উঠবে।

ডিএসসিএ আরও বলেছে, এই উন্নত প্রযুক্তি বসানোর ফলে পাকিস্তান ও মার্কিন বিমানবাহিনী যুদ্ধ, মহড়া ও প্রশিক্ষণে সহজে এবং কার্যকরভাবে একসঙ্গে কাজ করতে পারবে। এই মেরামত ও আধুনিকায়নের ফলে বিমানগুলো ২০৪০ সাল পর্যন্ত ব্যবহার করা যাবে এবং নিরাপত্তার গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা দূর হবে।

ডিএসসিএর দাবি, এই সরঞ্জাম বিক্রির কারণে এই অঞ্চলের সামরিক ভারসাম্যে কোনো পরিবর্তন আসবে না।

প্যাকেজে কী আছে

এই মোট অর্থের মধ্যে বড় সামরিক সরঞ্জামের জন্য ৩ কোটি ৭০ লাখ ডলার খরচ হবে। আর বাকি ৬৪ কোটি ৯০ লাখ ডলার খরচ হবে অন্যান্য সরঞ্জাম খাতে।

লিংক–১৬ হলো একটি নিরাপদ যোগাযোগব্যবস্থা, যা যুদ্ধক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্রদের মধ্যে প্রকৃত সময়ে তথ্য আদান-প্রদান করতে পারে। এই প্রযুক্তি জ্যামিং প্রতিরোধ করতে পারে এবং যুদ্ধ চলাকালে নজরদারি, শত্রুকে চিহ্নিত করা, অস্ত্র ব্যবহার এবং দিকনির্দেশনার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজে সাহায্য করে।

অন্যান্য সরঞ্জামের মধ্যে রয়েছে শত্রু বা মিত্রকে চিহ্নিত করার উন্নত ব্যবস্থা, যা মিত্র ও শত্রুদের বিমান শনাক্ত করতে পারে।

টেক্সাসের ফোর্ট ওয়ার্থের কোম্পানি লকহিড মার্টিন এই কাজের প্রধান ঠিকাদার হিসেবে থাকবে। ডিএসসিএ নিশ্চিত করেছে, এই কাজের জন্য পাকিস্তানে অতিরিক্ত কোনো মার্কিন কর্মী বা ঠিকাদারকে পাঠাতে হবে না। এই বিক্রির ফলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা প্রস্তুতিতে কোনো খারাপ প্রভাব পড়বে না।

সম্পর্কিত নিবন্ধ