সরস্বতি পূজা উপলক্ষে গোপালগঞ্জে জমজমাট প্রতিমার হাট
Published: 31st, January 2025 GMT
আগামী ২ ও ৩ ফেব্রুয়ারি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিদ্যার দেবী সরস্বতী পূজা। এ উপলক্ষে গোপালগঞ্জ জেলার বিভিন্নস্থানে বসেছে প্রতিমার হাট। এখন চলছে প্রতিমার বেচাকেনা। এবার প্রতিমার দাম নিয়ে ক্রেতাদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রীয়া থাকলেও কারিগররা বলছেন, জিনিস পত্রের দাম বাড়ায় প্রতিমার দামও কিছুটা বাড়তি।
পঞ্জিকা মতে মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথিতে আশীর্বাদ লাভের আশায় বিদ্যার দেবী সরস্বতী পূজা করে থাকেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। শুধু বাড়িতেই নয় বিদ্যার দেবী সরস্বতী পূজার আয়োজন করা হবে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। দেবীর পায়ে অঞ্জলী দিয়ে অনেক শিশুর শিক্ষাজীবন শুরু হবে।
এ পূজার প্রধান অনুসঙ্গ হলো প্রতিমা। ফলে জেলা শহরের গোহাট সার্বজনীন কালীবাড়ী, সদর উপজেলার সাতপাড়, বৌলতলী, কোটালীপাড়া উপজেলার রাধাগঞ্জ, ভাঙ্গারহাট, ঘাঘর বাজারসহ অনেক স্থানে বসেছে প্রতিমার হাট। এসব হাটে আনা এক একটি প্রতিমা প্রকার ভেদে বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত দামে।
আরো পড়ুন:
লক্ষ্মীপুরে রাসপূর্ণিমা উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শুরু
পুটিয়ার কৃষ্ণপুরে চলছে কাত্যায়নী পূজা
এ বছর ক্রেতাদের মধ্যে প্রতিমার দাম নিয়ে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। ক্রেতাদের অনেকেই বলছেন, দাম সাধ্যের মধ্যে আবার কেউবা বলছেন দাম আগের চেয়ে বেশি নিচ্ছেন বিক্রেতারা। তবে, এর মধ্যেও বিভিন্ন বয়সের মানুষ এসব হাট থেকে কিনে নিচ্ছেন পছন্দমতো প্রতিমা। হাটে শুধু প্রতিমাই নয় বিক্রি হচ্ছে ফুল, মালা, মিষ্টিসহ পূজার অন্যান্য উপকরণও।
রীতি অনুযায়ী বিদ্যার দেবী সরস্বতি পূজার পাশাপশি বসন্ত পঞ্চমীতে গণেশ, লক্ষ্মী, নবগ্রহ, বই, খাতা, কলম ও বাদ্যযন্ত্রের পূজা করার রীতি প্রচলিত রয়েছে। এর মধ্য দিয়ে শীত ঋতুর অবসান হয়ে বসন্ত ঋতুর আগমন বার্তা ঘটবে।
প্রতিমা কিনতে আসা উত্তম সাহা বলেন, “শহরের গোহাট সার্বজনীন কালীবাড়ীতে সরস্বতী প্রতিমার হাট বসেছে। এবার বাড়িতে পূজা করাব। ছেলেকে নিয়ে হাটে প্রতিমা কিনতে এসেছি। ঘুরে ফিরে পছন্দমত প্রতিমা কিনেছি। আমি মনে করি, পূজা নির্বিঘ্নে অনুষ্ঠিত হবে।”
অপর ক্রেতা নারু গোপাল বলেন, “প্রতিবছর এখানে প্রতিমার হাট বসে। এবে এবার প্রতিমার আমদানি একটু কম। তারপরেও দেখে বুঝে দরদাম করে একটি প্রতিমা কিনেছি। এবার আমাদের বাড়িতে সরস্বতী পূজা হবে।”
অপর ক্রেতা পরিমল চন্দ্র ঢালী বলেন, “এক একটি প্রতিমা ২০০ তেকে ১০ হাজার টাকা পযর্ন্ত বিক্রি হচ্ছে। হাটে এসে প্রতিমা দেখছি। পছন্দ হলে কিনে নিয়ে যাব। গত বছরের তুলনায় এবার প্রতিমার দাম একটু বেশি।”
গোপালগঞ্জ শহরের গোহাট সার্বজনীন কালীবাড়ীর হাটে প্রতিমা বিক্রি করতে আসা উত্তম পাল বলেন, “এবার ২০টি প্রতিমা নিয়ে এসেছি। ইতোমধ্যে ১০টি বিক্রি করা হয়েছে। তবে এবার ক্রেতার সংখ্যা একটু কম। আশা করি, বাকি দুই দিনও বেচাকেনা হবে।”
কার্ত্তিক পাল বলেন, “কোটালীপাড়া উপজেলার হিরণ গ্রাম থেকে ৩০টি প্রতিমা নিয়ে এসেছি বিক্রির জন্য। চার থেকে পাঁচটি প্রতিমা বিক্রি করেছি। ক্রেতারা যে দাম বলছেন, তাতে প্রতিমা বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে না। কারণ প্রতিমা তৈরির অনুসঙ্গের যে দাম তাতে খরচও উঠছে না।”
স্বপন পাল নামে এক বিক্রেতা বলেন, “প্রতিমা তৈরিতে ব্যবহৃত ছোন, রংসহ বিভিন্ন সরঞ্জামের দাম প্রতিবছর বেড়েই চলছে। ক্রেতারা যে দাম বলছেন, সেই দামে বিক্রি করলে লোকসানের মুখে পড়তে হবে। তারপরেও বাব-দাদার পেশা আমরা ধরে রেখেছি।”
ঢাকা/বাদল/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সমর্থীত শ্রমিক সংগঠন, "বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যান ফেডারেশন" নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার উদ্যোগে ১লা মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে সমাবেশ ও র্যালি বাস্তবায়ন করার জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
তারই অংশ হিসেবে সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মফিজুর রহমানকে বিষয়টি লিখিতভাবে অবহিত করেন এবং উক্ত সমাবেশ এবং র্যালিটি সুন্দরভাবে সম্পূর্ণ করার জন্য পুলিশের সহযোগিতা কামনা করেন।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) সকালে সোনারগাঁ থানা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি আসাদুল ইসলাম মোল্লার নেতৃত্বে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যান ফেডারেশনের জেলা সহসভাপতি জনাব আব্দুল মজিদ শিকদার ও নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা দর্জি শ্রমিক কর্মচারি ইউনিয়ন এর সাধারন সম্পাদক জনাব ফিরোজ আহমাদ ভুঁইয়া সোনারগাঁ থানার ওসির সাথে সাক্ষাত করে এই সহযোগীতা কামনা করেন।
জানাযায়, আসছে ১লা মে রোজ বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস আন্তর্জাতিক এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে পালিত হবে। সে আলোকে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন, নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার উদ্যোগে কাঁচপুর বাস টার্মিনালে সকাল ৯টায় বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনকে সাথে নিয়ে এক শ্রমিক সমাবেশ এবং র্যালি করা হবে। অত্যন্ত সুন্দর ও সু-শৃঙ্খলভাবে এই দিবসটি যথাযথভাবে পালন করবে পরিকল্পনা করেছেন।
উক্ত দিবস উপলক্ষ্যে তাদের অন্যান্য কর্মসূচি মধ্যে আছে, অসহায় দুস্থ শ্রমিকদের মাঝে খাবার বিতরণ, ফ্রি ব্লাড গ্রুপিং কার্যক্রম ও অসহায় দুস্থ শ্রমিকদের সন্তানদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ।