ঢাবি শিক্ষার্থী প্রাপ্তি ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত, চিকিৎসায় প্রয়োজন ৫০ লাখ টাকা
Published: 6th, February 2025 GMT
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী সাজিয়া ফারহানা প্রাপ্তি ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ভারতের বোম্বে টাটা মেমোরিয়াল হসপিটালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। চিকিৎসকরা বলছেন, প্রাপ্তির বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট করতে হবে। সে কারণে অন্তত ৫০ লাখ টাকা প্রয়োজন।
প্রাপ্তির বন্ধুরা জানায়, ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় প্রাপ্তির বাড়ি। ধোবাউড়া বিন্দুবাসিনী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও ময়মনসিংহের মুমিনুন্নিসা সরকারি মহিলা কলেজ পড়াশোনা করেন। তারপর ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে। তবে এখন সবকিছুই থেমে গেছে তার। মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান প্রাপ্তির চিকিৎসায় ইতোমধ্যে খরচ হয়েছে ৩০ লাখ টাকা। প্রাপ্তির মা একজন স্কুল শিক্ষক এবং বাবা স্বাস্থ্য বিভাগের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী। যার ফলে তাদের পক্ষে এই খরচ বহন করা সম্ভব নয়।
প্রাপ্তির বন্ধুরা তার চিকিৎসার ফান্ড গঠনে কাজ করছেন। ইতিমধ্যে তারা ফেসবুকে ‘ফান্ড ফর প্রাপ্তি’ পেজ খুলেছেন। সেখানে প্রাপ্তির চিকিৎসা তহবিলের জন্য সবার কাছে আবেদন করেছেন।
নিচের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অর্থ সহায়তা করা যাবে-
A/C No: 3326100012525 (Sonali bank-ধোবাউড়া শাখা)- প্রাপ্তির বাবা মো: মাহবুব আলম খান
বিকাশ: 01621 028277-প্রাপ্তির বাবা মো: মাহবুব আলম খান
০১৭৪৫৬৫৫২৭৪- প্রাপ্তির বোন সিদরাতুল মুনতাহা
01521550474- প্রাপ্তির বন্ধু তাজুল
নগদ
01784230453-প্রাপ্তির বন্ধু বিকন
রকেট
017223793874-প্রাপ্তির বন্ধু সাব্বির
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: প র প ত র বন ধ
এছাড়াও পড়ুন:
ময়মনসিংহ বোর্ডে চার বছরে সর্বনিম্ন পাস, ১৫ কলেজে শতভাগ ফেল
ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডে এবার পাসের হার ৫১ দশমিক ৫৪ শতাংশ। এটি গত চার বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। এবার জিপিএ–৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যাও কমেছে। বোর্ডে শতভাগ ফেলের ঘটনা ঘটেছে ১৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সবাই পাস করেছেন।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য দেন বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. শহীদুল্লাহ।
প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, এবার এইচএসসি পরীক্ষার জন্য ৩০৬টি প্রতিষ্ঠানের ৭৯ হাজার ২৩৭ শিক্ষার্থী ফরম পূরণ করেন। পরীক্ষায় অংশ নেন ৭৫ হাজার ৮৫৫ জন। এই শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাস করেছেন ৩৯ হাজার ৯৬ জন। পাসের হার ৫১ দশমিক ৫৪ শতাংশ। বোর্ডে এবার জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২ হাজার ৬৮৪ শিক্ষার্থী। শাখাভিত্তিক পাসের হার সবচেয়ে কম ব্যবসায় শিক্ষা শাখায়।
ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত চার বছরের মধ্যে এবার সবচেয়ে জিপিএ-৫ কম পেয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এবার ২ হাজার ৬৪৮ জন জিপিএ–৫ পেলেও ২০২৪ সালে ৪ হাজার ৮২৬ জন, ২০২৩ সালে ৩ হাজার ২৪৪ জন এবং ২০২২ সালে ৫ হাজার ২৮ শিক্ষার্থী জিপিএ–৫ পেয়েছিলেন। এ বছর পাসের হার ৫১ দশমিক ৫৪ হলেও গত বছর ছিল ৬৩ দশমিক ২২ শতাংশ। ২০২৩ সালে ৭০ দশমিক ৪৪ এবং ২০২২ সালে পাসের হার ছিল ৮০ দশমিক ৩২ শতাংশ।
৩ কলেজে শতভাগ পাসময়মনসিংহ বোর্ডের অধীনে এবার এইচএসসি পরীক্ষায় তিনটি কলেজের সব শিক্ষার্থী পাস করেছেন। শতভাগ পাস করা প্রতিষ্ঠানগুলো হলো ময়মনসিংহ গার্লস ক্যাডেট কলেজ, জেলার ঈশ্বরগঞ্জের চরজিথর হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং নেত্রকোনার খালিয়াজুরি উপজেলার আবদুল জব্বার রাবেয়া খাতুন গার্লস হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ।
১৫ কলেজের কেউ পাস করেননিএবার এই বোর্ডের ১৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে কেউ পাস করেননি। এর মধ্যে ময়মনসিংহের ৭টি, জামালপুরের ২টি, শেরপুরের ২টি ও নেত্রকোনার ৪টি কলেজ আছে। এই ১৫টি কলেজ থেকে পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছিলেন ১৩২ জন। এর মধ্যে ১০ জনের বেশি পরীক্ষার্থী ছিল চারটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। বাকি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় শিক্ষার্থী ২ থেকে ৯–এর ঘরে ছিল।
বোর্ড চেয়ারম্যানের কথাফলাফল বিপর্যয়ের কারণ হিসেবে ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. শহীদুল্লাহ বলেন, পাসের হার কম হওয়ার নানা কারণ আছে। এর মধ্যে আছে মনোযোগের অভাব, পারিবারিক ও প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তার অভাব, ভালো মানের শিক্ষকের অভাব ইত্যাদি। বিশেষ করে ইংরেজি, আইসিটি, হিসাববিজ্ঞানসহ বিভিন্ন বিষয়ের দক্ষ শিক্ষকের অভাব আছে। এ ছাড়া আরেকটি বড় কারণ হচ্ছে, চরাঞ্চল, হাওর অঞ্চল ও সীমান্ত অঞ্চলে প্রাতিষ্ঠানিক সুযোগ–সুবিধার ঘাটতি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষার্থী, অভিভাবক, স্থানীয় প্রশাসন, ম্যানেজিং কমিটি, শিক্ষার বিভিন্ন দপ্তরের সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে এ থেকে উত্তরণ ঘটানোর চেষ্টা করা হবে বলে তিনি জানান।