ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও বোরহানউদ্দিন পৌরসভার সাবেক মেয়র রফিকুল ইসলামের বাড়িতে ভাঙচুর করে আগুন দিয়েছে বিক্ষুদ্ধ জনতা। শুক্রবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডে জয়া রোডের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে।

বিস্তারিত আসছে...

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

বিয়ে উপলক্ষে বসা সামাজিক বৈঠকে ছুরিকাঘাতে যুবকের মৃত্যু

চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে বিয়ে উপলক্ষে বসা সামাজিক বৈঠকে কথা-কাটাকাটির জেরে ছুরিকাঘাতে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত নয়টার দিকে উপজেলার ফরহাদাবাদ ইউনিয়নের নাজিরহাটের মুছা সওদাগরের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আরও দুজন আহত হয়েছেন।

নিহত যুবকের নাম মো. রবিউল ইসলাম (৪০)। তিনি একই এলাকার জহুরুল হকের বড় ছেলে। স্থানীয় নাজিরহাট ঘাট স্টেশন এলাকায় তাঁর একটি ছোট্ট ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, কিছুদিন পরেই রবিউল ইসলামের এক প্রতিবেশীর বিয়ে হওয়ার কথা। এ উপলক্ষে ওই প্রতিবেশী এলাকার সবাইকে ডাকেন। বিয়ের অনুষ্ঠান কীভাবে করা যায়—এ পরামর্শ নিতেই এমন আয়োজন।

বিয়ের প্রস্তুতিমূলক এ বৈঠক চট্টগ্রামে ‘পানসল্লা’ নামে পরিচিত। এ বৈঠকে রবিউলের আরেক প্রতিবেশী মুহাম্মদ জসিম উদ্দিনও (৪৮) আসেন। রবিউল তাঁর চাচাতো ভাইয়ের ছেলে। তাঁদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে পৈতৃক সম্পত্তির মালিকানা নিয়ে বিরোধ ছিল।

পুলিশ জানায়, পানসল্লা বৈঠকের এক পর্যায়ে জমির বিরোধ কথা সামনে আসে। এরপর রবিউলের সঙ্গে জসিম উদ্দিনের কথা-কাটাকাটি হয়। এ কথা-কাটাকাটি থেকেই জসিম উদ্দিন রবিউলকে ছুরিকাঘাত করেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য। বাধা দিতে যাওয়া রবিউলের ভাই ইমরুল হোসেন (৩৫) ও চাচাতো ভাই মুহাম্মদ ইমনকেও (২১) ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। তাঁরা দুজন বর্তমানে স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর পুলিশ গিয়ে জসিম উদ্দিনকে আটক করেছে।

হাটহাজারী পুলিশ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক আজিজ প্রথম আলোকে বলেন, বিয়ের বৈঠকে কথা–কাটাকাটি থেকে এ খুনের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযুক্ত জসিমকে গণপিটুনি দিতে চেয়েছিলেন। পুলিশ গিয়ে তাঁকে রক্ষা করে হেফাজতে নিয়েছে। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ