নাইকো দুর্নীতি মামলায় যাঁরা আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন, তাঁদের কেউ বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কোনো সাক্ষ্য দেননি। বরং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নাইকো দুর্নীতি মামলা করা হয়েছিল।

নাইকো দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণার সময় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক রবিউল আলম মৌখিকভাবে এ মন্তব্য করেন। প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী আমিনুল ইসলাম।

আজ বুধবার এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ সব আসামিকে খালাস দিয়ে রায় দিয়েছেন এই আদালত। খালাস পাওয়া অপর আসামিরা হলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু গিয়াসউদ্দিন আল মামুন, জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহিদুল ইসলাম, ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউসুফ হোসেন, সাবেক মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেডের (বাপেক্স) সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক ও নাইকো রিসোর্সেস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের সাবেক প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।

খালেদা জিয়ার আইনজীবী আমিনুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, রায় ঘোষণার সময় আদালত বলেন, এই মামলায় ৩৯ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। কোনো সাক্ষী মামলার ঘটনার সঙ্গে খালেদা জিয়ার জড়িত থাকার তথ্য বলেননি। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে হয়রানির জন্য খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়।

আইনজীবী আমিনুল ইসলাম আরও বলেন, মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় প্রত্যেককে খালাস দেওয়া হয়েছে।

১৩ ফেব্রুয়ারি এ মামলার যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হয়। এরপর রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য করেন আদালত।

কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের বিপুল আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলাটি করে দুদক।

দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম বাদী হয়ে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেছিলেন।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনটি গ্যাসক্ষেত্র পরিত্যক্ত দেখিয়ে কানাডার কোম্পানি নাইকোর হাতে তুলে দেওয়ার মাধ্যমে আসামিরা রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার ক্ষতি করেছেন।

মামলায় ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। ২০২৩ সালের ১৯ মার্চ অভিযোগ গঠন করেন আদালত।

আরও পড়ুননাইকো দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াসহ সব আসামি খালাস২ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ল ইসল ম জ য় সহ

এছাড়াও পড়ুন:

মেরাদিয়ায় পশুর হাট বসানো যাবে না: হাইকোর্ট

আসন্ন কোরবানির ঈদে রাজধানীর বনশ্রীর মেরাদিয়ায় গরুর হাট বসানো যাবে না বলে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার (২৮ এপ্রিল) এ আদেশ দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) রিটকারীর আইনজীবীর জহিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, গত ২১ এপ্রিল রাজধানীর বনশ্রীর মেরাদিয়ায় পশুট হাট বসানোর সিদ্ধান্ত জানিয়ে ইজারা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন। এ বিজ্ঞপ্তি চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন বনশ্রী এলাকার বাসিন্দা শাহাবুদ্দিন সরকার। রিটের শুনানি নিয়ে গতকাল হাইকোর্ট মেরাদিয়ায় পশুর হাট বসানোর ইজারা বিজ্ঞপ্তি তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন। পাশাপাশি রুল জারি করেন।

আরেক আইনজীবী খুররম শাহ মুরাদ বলেছেন, বনশ্রী আবাসিক এলাকা। বনশ্রীর মেরাদিয়ায় পশুর হাট বসলে এ হাট পুরো আবাসিক এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন ওই এলাকার বাসিন্দারা। এ কারণে এলাকাবাসীর পক্ষে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছিল।

ঢাকা/এম/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মাগুরায় শিশু ধর্ষণ-হত্যা মামলায় সাক্ষ্য ৩ চিকিৎসকের
  • শ্রম আদালতে ঝুলছে ২২ হাজার মামলা
  • মাওলানা রইস হত্যার বিচার দাবি জানিয়ে ১০২ নাগরিকের বিবৃতি
  • বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ও কিশোর গ্যাংয়ের মামলায় আসামিপক্ষে সরকারি আইনজীবীদের না দাঁড়ানোর নির্দেশ
  • চিন্ময় দাসের জামিন স্থগিতের আদেশ প্রত্যাহার, রোববার ফের শুনানি
  • চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন, শুনানি হতে পারে রোববার
  • আনিসুল-সালমান-মামুন রিমান্ডে, নতুন মামলায় গ্রেপ্তার আতিক
  • আবারও নিরপরাধ দাবি হিটু শেখের, ভিন্ন কথা সাক্ষীদের
  • কিউআর কোডসহ অনলাইন যাচাই ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় পদক্ষেপ নিতে কমিটি গঠনের নির্দেশ
  • মেরাদিয়ায় পশুর হাট বসানো যাবে না: হাইকোর্ট