কিশোরগঞ্জে আইনজীবীর বাড়িতে ডাকাতি, ২৫ ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুট
Published: 29th, July 2025 GMT
কিশোরগঞ্জ জেলা জজ কোর্টের আইনজীবী ইসরাত জাহান রুমার বাসায় ঢুকে ডাকাতেরা স্বর্ণালঙ্কার, নগদ টাকা, মোবাইল ফোন লুট করে নিয়ে গেছে। সোমবার (২৮ জুলাই) দিবাগত রাত সোয়া ৩টার দিকে জেলা শহরের রাকুয়াইল এলাকার বাসায় ডাকাতি করা হয়।
ইসরাত জাহান রুমা জানান, রাকুয়াইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উত্তর পাশে অবস্থিত তার বাড়িতে ৬ থেকে ৮ জন মুখোপরা ডাকাত দরজার সিটকিনি ভেঙে ঢুকে পড়ে। এ সময় ডাকাতেরা ছুরি, রামদা, কুড়ালসহ বিভিন্ন ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে পরিবারের সকলকে জিম্মি করে। পরে তারা আলমারির তালা ভেঙে স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা, পরিবারের নারী সদস্যদের পরিধান করা স্বর্ণালংকার, মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
তিনি জানান, ডাকাতেরা ২৫ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ চার হাজার টাকা ও দুটি মোবাইল ফোন লুট করে নিয়ে গেছে।
আরো পড়ুন:
টাকার বিনিময়ে আ.
চাঁদপুরে আদালতে শুনানি চলাকালে আইনজীবীর মৃত্যু
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ডাকাতির ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটক করা হয়েছে। তবে থানায় লিখিত অভিযোগ না করায় মামলা দায়ের করা হয়নি। পুলিশ তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে এবং অপরাধীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
ঢাকা/রুমন/বকুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আইনজ ব স বর ণ ল
এছাড়াও পড়ুন:
খেজুর ও জায়নামাজ নিয়ে আদালতে মডেল মেঘনা আলম
রাজধানীর ধানমন্ডি থানার প্রতারণা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে হওয়া মামলায় জব্দ করা মডেল মেঘনা আলমের ম্যাকবুক, ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোনে রাষ্ট্রবিরোধী কোনো উপাদান আছে কি না, তা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে এসব ডিভাইসের মালিকানা যাচাই করে আগামী ৩১ আগস্ট তদন্তকারী কর্মকর্তাকে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলামের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
এদিন মেঘনা আলমকে আদালতে হাজির করা হয়। বেলা ১১টা ৯ মিনিটে মামলার শুনানি শুরু হয়। এ সময় মেঘনা আলম খেজুর ও জায়নামাজ হাতে নিয়ে আদালতের কাঠগড়ায় ওঠেন।
আরো পড়ুন:
সুস্মিতার অসম প্রেম চর্চায়
‘মাসুদ রানা’ সিরিজের গল্প নিয়ে ওয়েব ফিল্ম, প্রধান চরিত্রে মৌ
এরপর মেঘনার আইনজীবী মহসিন রেজা ও মহিমা বাঁধন মেঘনার ম্যাকবুক, ল্যাপটপ, মোবাইল ও পাসপোর্ট ফিরিয়ে দিতে শুনানি করেন।
এ সময় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হারুন অর রশিদ বিরোধিতা করে বলেন, “এটা অত্যন্ত চাঞ্চল্যকর মামলা। এর আগে গত ১০ এপ্রিল বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিনের আটকাদেশ দিয়ে মডেল মেঘনাকে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে তার ৩০ দিনের আটকাদেশ বাতিল হয়েছিল। গত ১৭ এপ্রিল ধানমন্ডি থানার মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরে গত ২৮ এপ্রিল আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন। ২৯ এপ্রিল তিনি কারামুক্ত হন।”
মামলায় অভিযোগ থেকে জানা যায়, মেঘনা আলম ও দেওয়ান সমিরসহ অজ্ঞাত ২-৩ জন একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা সুন্দরী তরুণীদের দিয়ে বাংলাদেশে কর্মরত বিভিন্ন বিদেশি রাষ্ট্রের কূটনীতিক/প্রতিনিধি ও দেশীয় ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলেন।
এরপর অবৈধ সম্পর্ক স্থাপন করিয়ে বিভিন্ন উপায়ে তাদের সম্মানহানীর ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায় করে আসছেন। দেওয়ান সমির কাওয়াই গ্রুপের নামের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সিইও এবং সানজানা ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি ম্যানপাওয়ার প্রতিষ্ঠানের ফার্মের মালিক বলে জানা গেছে।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত