বলিউড শাহেনশাহ অমিতাভ বচ্চন। বয়স বাড়লেও তিনি কাজের ব্যাপারে এখনও পারফেকশনিষ্ট। সম্প্রতি, বয়সের সমস্যাগুলো নিয়ে কথা বলেন তিনি। গত বছর ৮২-তে পা দিয়েছেন অভিনেতা। তিনি তাঁর ব্লগে লিখেছেন, এখন তাঁর চিত্রনাট্যের লাইন মনে রাখতে সমস্যা হয়। তাই অমিতাভ বচ্চন গভীর রাতে পরিচালকদের ফোন করেন এবং দৃশ্যগুলো আরও ভালো ভাবে সম্পাদনা করার জন্য দ্বিতীয় সুযোগও চান। খবর এই সময়ের। 

অমিতাভ বলেন, ‘কাজের জন্য প্রচুর মিটিং করতে হয় তাঁকে। কোন চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে হবে। কী প্রত্যাখ্যান করতে হবে। ভদ্রতার সঙ্গে কোনটা প্রত্যাখ্যান করতে হবে, কোনটা গ্রহণ করতে হবে, একটা বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েন তিনি। তবে চিন্তা বরাবরই একটা বিষয়ে থাকে। আমি যে কাজ পাচ্ছি, তার প্রতি কি সুবিচার করতে পারব? এর পর কী হবে? সবটাই অজানা।’

তবে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কেবল মুখস্থ করার জন্য লাইনগুলো যথেষ্ট নয়। বরং, বিশেষ কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে। যেটা প্রয়োজন। অমিতাভের কথায়, ‘বাড়িতে ফিরে বুঝতে পারা যায় কতগুলো ভুল হয়েছে এবং কী ভাবে সেগুলো ঠিক করতে হবে। পরিচালকের কাছে মধ্যরাতে ফোন করে আরও একবার সংশোধনের সুযোগও চেয়েছি বহুবার।’ তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জীবনের বহু মুহূর্তের পরিবর্তন হয়। বদলে যায় অনেক সমীকরণ। অভিনেতারা দর্শকদের মুখোমুখি না হলে, তেমন পারফর্ম্যান্স না দিতে পারলে সবই চলে যায়। এটা সকলের জীবনের ঘটনা বলেই মনে করেন অমিতাভ। তাই তাঁর কথায়, ‘যাই হোক না কেন, জীবনের চক্র কখনও থেমে থাকে না।’ 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন

সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিরাজগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক বেগম সালমা খাতুন এই আদেশ দেন।

আরো পড়ুন:

কৃষক হত্যার দায়ে ৪ জনের যাবজ্জীবন

শেরপুরে পুলিশের উপর হামলা: থানায় মামলা, গ্রেপ্তার ৪

সাজাপ্রাপ্ত আসামির নাম ইসমাইল হোসেন। তিনি জেলার কামারখন্দ উপজেলার পাইকোসা পূর্বপাড়া গ্রামের মো. আবু তালহার ছেলে। মামলার অপর দুই আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

সিরাজগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মো. মাসুদুর রহমান (মাসুদ) এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, পাইকোসা পূর্বপাড়া গ্রামের ইসমাইল হোসেন একই গ্রামের আব্দুল হালিম সরকারের মেয়ে সুমাইয়া খাতুন সুরভীর সঙ্গে প্রেম করে বিয়ে করেন। কিন্তু, বিয়ের পর থেকে যৌতুকের জন্য ইসমাইল স্ত্রীকে নির্যাতন করতেন। ২০২০ সালের ১৯ জুন সুমাইয়া খাতুন সুরভীকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। পরে লাশ সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যান স্বামীসহ তার পরিবারের সদস্যরা। এ ঘটনায় নিহতের ভাই আবু বাদী হয়ে কামারখন্দ থানায় ইসমাইল হোসেন, তার বাবা আবু তালহা ও মা সাহিদা বেগমকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত, সাক্ষ্যগ্রহন ও শুনানি শেষে বিচারক আজ এই রায় ঘোষণা করেন।

ঢাকা/রাসেল/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ