উগান্ডায় কেন আর্সেনালকে নিয়ে এত পাগলামি
Published: 16th, April 2025 GMT
সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে আজ চ্যাম্পিয়নস লিগ কোয়ার্টার ফাইনালের ফিরতি লেগে রিয়াল মাদ্রিদের মুখোমুখি হবে আর্সেনাল। লন্ডন থেকে অনেক গানার সমর্থক নিশ্চয়ই মাদ্রিদে যাবেন, প্রিয় দলের সমর্থনে গলা ফাটাবেন। উত্তর লন্ডনের বার-পাবগুলো কাল রাতে মুখর থাকবে আর্সেনাল সমর্থকদের হইহুল্লোড়ে।
ওদিকে উত্তেজনা আর রোমাঞ্চ নিয়ে খেলা দেখতে বসবেন লন্ডন থেকে প্রায় ১০ হাজার কিলোমিটার দূরের শহর উগান্ডার কাম্পালায় আর্সেনালপ্রেমীরা। নিজদের দেশের ক্লাব নয়, কিন্তু আর্সেনালকে নিয়ে সাম্প্রতিককালে উগান্ডার ফুটবলপ্রেমীদের উন্মাদনা বৈশ্বিক সংবাদমাধ্যমে বেশ আলোচিত। যেমন আলোচিত হয়ে উঠেছিল ২০২২ কাতার বিশ্বকাপের সময় আর্জেন্টিনাকে নিয়ে বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীদের উন্মাদনাও।
গত সপ্তাহেই উগান্ডার আর্সেনাল সমর্থকেরা রাত জেগে উৎসব করার একটা উপলক্ষ পেয়েছিলেন। তাদের প্রিয় দল চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে রিয়াল মাদ্রিদকে হারিয়েছিল ৩-০ গোলে! ফ্রি-কিক থেকে আর্সেনাল মিডফিল্ডার ডেকলান রাইসের অবিশ্বাস্য দুই গোলের পর উগান্ডার রাজধানী কাম্পালায় যে আবেগ, উল্লাস আর উন্মাদনা দেখা গেছে, তাতে যে কারও মনে হতে পারে, আর্সেনাল বুঝি তাদেরই ঘরের দল।
মিকেল আরতেতার দল যখন মাঠে নামে, পূর্ব আফ্রিকার এই দেশটির বড় শহরগুলোতে নৈশ ক্লাব, পাবের দৃশ্যই বদলে যায়। রীতিমতো উৎসব শুরু হয় যেন। এক সময় ইংল্যান্ডেরই আরেক ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড বেশ জনপ্রিয় ছিল উগান্ডায়। তবে ইদানীং বেশ বেড়েছে আর্সেনাল সমর্থক। সম্ভবত এই মুহূর্তে আর্সেনালই উগান্ডার সবচেয়ে জনপ্রিয় ফুটবল ক্লাব। গানারদের ম্যাচের আগে এখানে রীতিমতো গির্জায় বিশেষ প্রার্থনাও হয় মাঝেমধ্যে, চাওয়া হয়েছে ঐশ্বরিক সাহায্য! আর্সেনালের মাঠের খেলা দেখে অবশ্য ইদানীং অনেকেরই এমনটা মনে হতে পারে, ঐশ্বরিক সাহায্য দরকার!
আরও পড়ুনরিয়ালের বার্নাব্যুতে ‘বনের বাঘে খায় না, মনের বাঘে খায়’ ১১ ঘণ্টা আগেএই ভালোবাসা শুধু আবেগে সীমাবদ্ধ থাকেনি, এটা বড় একটা ব্যবসায়িক সম্ভাবনাও তৈরি করেছে উগান্ডায়। দেশটির বিভিন্ন শহরের দোকান আর ছোট ব্যবসায়ীরা জার্সি বিক্রি করছেন, আর্সেনালের জার্সি নিয়েই সবচেয়ে বেশি আগ্রহ। বড় কোম্পানিগুলো ম্যাচ ও ফলাফল ঘিরে বিজ্ঞাপণ দিচ্ছে। অন্যদিকে, স্পোর্টস বেটিং কোম্পানিগুলোর জন্যও এটা একটা বিশাল ব্যবসা।
দীর্ঘদিন ধরে আফ্রিকার ফুটবল কাভার করছেন দেশটির অভিজ্ঞ ক্রীড়া সাংবাদিক আইজ্যাক মুমেমা। বিবিসিকে তিনি বলেছেন, ‘আমি আফ্রিকার অনেক দেশ ঘুরেছি, কিন্তু ফুটবল নিয়ে উগান্ডার মতো পাগলামি অন্য কোথাও দেখিনি।’
চলতি মৌসুমে দারুণ ছন্দে আছে আর্সেনাল.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আর স ন ল
এছাড়াও পড়ুন:
যে কারণে সালাহ-ফন ডাইকদের কাছে এই শিরোপা বিশেষ
একসময় ইংলিশ ফুটবলের রাজা তারাই ছিল। ষাটের দশকের মাঝামাঝি থেকে আশির দশকের শেষ পর্যন্ত তো বলতে গেলে লিভারপুলেরই একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল ইংল্যান্ডের শীর্ষ লিগে। তখন অবশ্য নামটা প্রিমিয়ার লিগ ছিল না, ছিল প্রথম বিভাগ লিগ। ১৯৯২ সালে প্রিমিয়ার লিগ নাম হওয়ার পর থেকে যেন লিভারপুলের দুর্ভাগ্যের শুরু। প্রথম বিভাগ যুগে ১৮টি লিগ জেতা লিভারপুল প্রিমিয়ার লিগ যুগে এসে জিততেই ভুলে গেল!
প্রিমিয়ার লিগে শুরু হলো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের একচ্ছত্র রাজত্ব। স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের অধীন ১৩বার লিগ জিতে ইউনাইটেডের মোট লিগ শিরোপা হয়ে গেল ২০টি। লিভারপুলকে পেরিয়ে তারা হয়ে গেল ইংল্যান্ডের ইতিহাসে সবচেয়ে সফল ক্লাব।
ইউনাইটেডের সেই আধিপত্যও শেষ হলো ২০১৩ সালে ফার্গুসনের অবসরের পর। কিন্তু রাজত্ব ফিরে পেল না লিভারপুল। ইংলিশ ফুটবলের নতুন রাজা হয়ে ওঠল ম্যানচেস্টার সিটি। পেপ গার্দিওলার অধীন সর্বশেষ সাত মৌসুমে ছয়বার শিরোপা জিতে সিটি একের পর এক নতুন রেকর্ড গড়তে থাকল।
আরও পড়ুনলাল সমুদ্রে গোল উৎসবে চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল১১ ঘণ্টা আগেমাঝে ২০১৯-২০ মৌসুমে ৩০ বছর পর লিভারপুল পেল ইংলিশ লিগের শিরোপার স্বাদ। তবে পৃথিবী তখন করোনা মহামারি চলছে। শিরোপা উৎসব হলো না লিভারপুলের মনের মতো।
এবার আর্নে স্লটের অধীন প্রথম মৌসুমেই আবার চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল। সেটাও কী রাজকীয়ভাবে! চার ম্যাচ হাতে রেখে, নিজেদের মাঠ অ্যানফিল্ডে, ভরা গ্যালারির সামনে। লিভারপুলের এটি ২০তম লিগ শিরোপা, ইউনাইটেডের সঙ্গে যৌথভাবে তারাও এখন ইংল্যান্ডের সবচেয়ে সফল ক্লাব।
ইতিহাস গড়া এই ট্রফি জেতার পর কী বলছেন লিভারপুলের খেলোয়াড়েরাকোডি গাকপোর উদ্যাপন