নারী সংস্কার কমিশন ও তাদের সুপারিশ বাতিল চায় বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস
Published: 20th, April 2025 GMT
অবিলম্বে নারী সংস্কার কমিশন ও তাদের সুপারিশ বাতিল করার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস।
আজ রোববার এক বিবৃতিতে দলের আমির মাওলানা মুহাম্মাদ মামুনুল হক ও মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ এ আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলোতে ইসলামি শরিয়াহভিত্তিক পারিবারিক বিধানকে চরমভাবে অবজ্ঞা ও অস্বীকার করা হয়েছে। সুপারিশে থাকা ‘অভিন্ন পারিবারিক আইন’–এর মাধ্যমে সব ধর্মের নারীদের বিয়ে, তালাক, উত্তরাধিকার ও ভরণপোষণে সমান অধিকার নিশ্চিত করার নামে ইসলামের বিধানকে বাতিল করে পশ্চিমা সমাজব্যবস্থা চাপিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা বলে বিবৃতিতে বলা হয়।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস মনে করে, ইসলামে নারীর জন্য নির্ধারিত উত্তরাধিকার, বিবাহ ও তালাকের বিধান কোরআন ও সুন্নাহ দ্বারা নির্ধারিত, যা পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই। বিবৃতিতে তাঁরা বলেন, যৌন পেশাকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়া বা শ্রম অধিকার প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব সরাসরি কোরআন ও সুন্নাহর পরিপন্থী এবং সমাজে ব্যভিচার, অনাচার ও নৈতিক অধঃপতনকে অবাধ করে দেবে।
অভিন্ন পারিবারিক আইন তৈরির প্রক্রিয়া অবিলম্বে বন্ধ করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। আগামী ৩ মের আগে এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে যেকোনো পরিস্থিতির জন্য সরকার দায়ী থাকবে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
কিশোরগঞ্জে মনোনয়ন না পাওয়া ৫ নেতা ও দলীয় প্রার্থীর পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি
কিশোরগঞ্জ-১ (সদর-হোসেনপুর) আসনে বিএনপির মনোনয়ন না পাওয়া পাঁচ নেতা ও দলীয় মনোনীত প্রার্থী পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি পালন করেছেন। দুই পক্ষের কর্মসূচির ফলে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে বিভ্রান্তি ও উত্তেজনা ছড়িয়েছে।
আজ সোমবার বেলা একটার দিকে জেলা শহরের স্টেশন রোডে মনোনয়ন না পাওয়া জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি রেজাউল করিম খানের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে দলের পাঁচ নেতা একসঙ্গে সংবাদ সম্মেলন করেন। তাঁরা বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ মাজহারুল ইসলামের প্রার্থিতা বাতিলের দাবি জানান। অন্যদিকে বিকেল পাঁচটার দিকে জেলা শহরের রথখলা মাঠ থেকে মাজহারুল ইসলামের পক্ষে একটি মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে আবারও রথখলা মাঠে এসে জড়ো হয়। সেখানে মাজহারুল ইসলাম বক্তব্য দেন।
কিশোরগঞ্জ-১ আসনে মাজহারুল ইসলাম ছাড়াও বিএনপি থেকে মনোনয়ন চেয়েছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য মাসুদ হিলালী, জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি রেজাউল করিম খান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওয়ালীউল্লাহ্ রাব্বানী, সাবেক সহসভাপতি রুহুল হোসাইন, সাবেক সহসভাপতি শরিফুল ইসলাম ও সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খালেদ সাইফুল্লাহ।
মনোনয়নবঞ্চিত এই নেতাদের মধ্যে ওয়ালীউল্লাহ রাব্বানী ছাড়া বাকি পাঁচজন মাজহারুলের মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে এককাট্টা হয়ে প্রতিবাদ কর্মসূচি চালিয়ে আসছেন। তাঁরা প্রতিবাদ সভা, সংবাদ সম্মেলন, মশাল মিছিলসহ নানা কর্মসূচির পাশাপাশি মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করে আসছেন।
আজকের সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত পাঁচ নেতা বলেন, মাজহারুল ইসলাম ১৭ বছর ধরে কোনো আন্দোলন-সংগ্রামে ছিলেন না। তিনি দুর্দিনে কোনো নেতা-কর্মীর খোঁজখবর নেননি। গত স্বৈরাচার সরকারের সময় বিএনপির নেতা-কর্মীরা যেখানে শত শত মামলা–মোকদ্দমায় জর্জরিত ছিলেন, সে সময়ে মাজহারুল জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হওয়া সত্ত্বেও তাঁর বিরুদ্ধে কোনো মামলা হয়নি। তিনি আওয়ামী লীগের দালালি করেছেন। তাঁর মতো অযোগ্য লোককে মনোনয়ন দেওয়ায় তাঁরা হতাশ।
বিএনপির মনোনয়ন না পাওয়া পাঁচ নেতার সংবাদ সম্মেলন। আজ সোমবার বেলা একটার দিকে কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের স্টেশন রোডে বিএনপি নেতা রেজাউল করিমের দলীয় কার্যালয়ে