৪৬তম বিসিএস লিখিত পরীক্ষা, মানতে হবে যে ৪ গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা
Published: 21st, April 2025 GMT
৪৬তম বিসিএসের আবশ্যিক বিষয়ের লিখিত পরীক্ষা আগামী ৮ মে শুরু হবে। এ পরীক্ষা চলবে ১৯ মে পর্যন্ত। ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ কেন্দ্রে একযোগে পরীক্ষা নেওয়া হবে। পরীক্ষার্থীদের জন্য চারটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দিয়েছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।
পিএসসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, লিখিত পরীক্ষায় বই, ঘড়ি, মুঠোফোন, অলংকার ও কোনো ধরনের ডিভাইস নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ নিষিদ্ধ। পরীক্ষার হলে যদি এসব নিষিদ্ধ সামগ্রী পাওয়া যায়, তাহলে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করা হবে। এ ছাড়া ভবিষ্যতে পিএসসির সব নিয়োগ পরীক্ষার জন্য তাঁকে অযোগ্য ঘোষণা করা হবে।
লিখিত পরীক্ষায় যেসব নির্দেশনা মানতে হবে
১.
২. পরীক্ষা কেন্দ্রের গেটে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের উপস্থিতিতে প্রবেশপত্র এবং মেটাল ডিটেক্টরের সাহায্যে মুঠোফোন, ঘড়ি, ইলেকট্রনিক ডিভাইসসহ নিষিদ্ধ সামগ্রী তল্লাশির মধ্য দিয়ে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে হবে।
৩. পরীক্ষার দিন উল্লিখিত নিষিদ্ধ সামগ্রী সঙ্গে না আনার জন্য সব পরীক্ষার্থীর মুঠোফোনে এসএমএস পাঠানো হবে। এসএমএসের নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে।
৪. পরীক্ষার সময় পরীক্ষার্থীরা কানের ওপর কোনো আবরণ রাখতে পারবেন না, কান খোলা রাখতে হবে। কানে কোনো ধরনের হিয়ারিং এইড ব্যবহারের প্রয়োজন হলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শপত্রসহ আগেই কমিশনের অনুমোদন নিতে হবে।
আরও পড়ুনইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া প্রথম মুসলিম দেশ-মঙ্গল শোভাযাত্রা-রেডিও বেগম জেনে নিন বিস্তারিত১৭ এপ্রিল ২০২৫৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফলাফল গত বছরের ৯ মে প্রকাশিত হয়। এ পরীক্ষায় ১০ হাজার ৬৩৮ প্রার্থীকে লিখিত পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত করা হয়। এ ক্ষেত্রে সম্ভাব্য বৈষম্য দূরীকরণের লক্ষ্যে ইতিমধ্যে নির্বাচিত প্রার্থীদের সঙ্গে আরও সমসংখ্যক প্রার্থীকে লিখিত পরীক্ষার জন্য যোগ্য বিবেচনা করে আবার ফল ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ৪৬তম বিসিএস প্রিলিমিনারি ফলাফল আবার নতুন করে প্রকাশ করা হয়। এতে মোট উত্তীর্ণ হন ২১ হাজার ৩৯৭ জন। আগের ১০ হাজার ৬৩৮ জন প্রার্থীর সঙ্গে নতুন করে লিখিত পরীক্ষার সুযোগ পান ১০ হাজার ৭৫৯ জন প্রার্থী।
এই বিসিএসে ৩ হাজার ১৪০টি পদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নেওয়া হবে স্বাস্থ্য ক্যাডারে। সহকারী সার্জন ১ হাজার ৬৮২ জন ও সহকারী ডেন্টাল সার্জন ১৬ জন নেওয়া হবে। এরপর সবচেয়ে বেশি নেওয়া হবে শিক্ষা ক্যাডারে। বিভিন্ন বিষয়ে এ ক্যাডার থেকে বিসিএস শিক্ষায় ৫২০ জনকে নেওয়া হবে।
আরও পড়ুনরেলওয়ের উপসহকারী প্রকৌশলীর ৫১৬ পদের নিয়োগ পরীক্ষা মে মাসে, নম্বর-সিলেবাস প্রকাশ১৩ ঘণ্টা আগেআরও পড়ুনচীনের প্রেসিডেনশিয়াল স্কলারশিপ, প্রথম বছরে ১০ হাজার চায়নিজ ইউয়ান ২০ এপ্রিল ২০২৫উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ল খ ত পর ক ষ পর ক ষ র থ ১০ হ জ র প রব শ র জন য ব স এস
এছাড়াও পড়ুন:
এসএসসির ফল বৃহস্পতিবার, জানা যাবে যেভাবে
চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফল আগামীকাল প্রকাশ করা হবে।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুর ২টায় ফল প্রকাশ করা হবে। তবে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার মতো এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলও কেন্দ্রীয়ভাবে প্রকাশ করা হবে না।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা, রাজশাহী, কুমিল্লা, যশোর, চট্টগ্রাম, বরিশাল, সিলেট, দিনাজপুর ও ময়মনসিংহ মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বোর্ড, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ও বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল ১০ জুলাই বেলা দুইটায় শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট, সংশ্লিষ্ট সব পরীক্ষাকেন্দ্র বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং এসএমএসের মাধ্যমে প্রকাশ করা হবে।
ফল জানার উপায়:
১. অনলাইনে: শিক্ষার্থীরা www.educationboardresults.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে পরীক্ষার সন, বোর্ডের নাম, রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে ফলাফল জানতে পারবে।
২. এসএমএসের মাধ্যমে: মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে টাইপ করতে হবে— SSCবোর্ডের প্রথম তিন অক্ষররোল নম্বরসাল উদাহরণ: SSC DHA 123456 2025 এবং পাঠাতে হবে 16222 নম্বরে।
৩. প্রি-রেজিস্ট্রেশন (মাদ্রাসা বোর্ডের জন্য): এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানতে হলে প্রি-রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। প্রি-রেজিস্ট্রেশনের নিয়ম হলো: Dakhil লিখে স্পেস দিয়ে MAD লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর এবং সাল লিখে 16222 নম্বরে পাঠাতে হবে। উদাহরণ: Dakhil MAD 123456 2025। ফল প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই প্রি-রেজিস্টার করা নম্বরে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফল পৌঁছে যাবে।
৪. কারিগরি বোর্ডের ফল: কারিগরি বোর্ডের ফল জানতে হলে টাইপ করতে হবে: SSC স্পেস TEC স্পেস রোল নম্বর স্পেস 2025 এবং পাঠাতে হবে 16222 নম্বরে।
৫. প্রতিষ্ঠানভিত্তিক ফল: প্রতিষ্ঠানের EIIN নম্বর ব্যবহার করে সংশ্লিষ্ট বোর্ডের ওয়েবসাইট থেকে প্রতিষ্ঠানভিত্তিক ফল ডাউনলোড করা যাবে।
এদিকে, ফল প্রকাশের পর ফল পুনর্নিরীক্ষণের সময়ও আন্তঃশিক্ষা বোর্ড জানিয়েছে। ১১ থেকে ১৭ জুলাই পর্যন্ত এ জন্য আবেদন নেওয়া হবে। আবেদনপদ্ধতি শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট এবং টেলিটক বাংলাদেশের দেওয়া বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানা যাবে।
গত ১০ এপ্রিল সারা দেশে একযোগে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। লিখিত পরীক্ষা শেষ হয় গত ১৩ মে। ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৫ থেকে ২২ মে মধ্যে হয়। ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড এবং মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ডের অধীনে এই পরীক্ষায় ১৯ লাখ ২৮ হাজার ১৮১ শিক্ষার্থী অংশ নেওয়ার জন্য নিবন্ধন করেছিল। তবে ৩০ হাজারের বেশি পরীক্ষার্থী এক বা একাধিক পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/হাসান/ইভা