পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হচ্ছে ২১ মে থেকে। ওই দিন ৩১ মের ট্রেনের টিকিট বিক্রি করা হবে। আর ফিরতি যাত্রার টিকিট বিক্রি শুরু হবে ৩০ মে থেকে। এবারের ঈদ যাত্রায় ঘরে ফেরা মানুষের জন্য পাঁচ জোড়া বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে রেলওয়ে। এর মধ্যে কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় দেশের সবচেয়ে বড় ঈদ জামাতে অংশ নিতে মুসল্লিদের জন্য দুই জোড়া ট্রেন রাখা হয়েছে। এ ছাড়া কোরবানি পশু পরিবহনের জন্য তিনটি বিশেষ ট্রেন চলাচল করবে দুটি রুটে।

রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের উপপ্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (ডেপুটি সিওপিএস) তারেক মুহম্মদ ইমরান। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৭ বা ৮ জুন দেশে পবিত্র ঈদুল আজহা পালিত হওয়ার কথা রয়েছে।

রেলওয়ের তথ্য অনুযায়ী, এবারের ঈদুল আজহায় চট্টগ্রাম-চাঁদপুর রুটে এক জোড়া, ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ রুটে এক জোড়া, জয়দেবপুর-পার্বতীপুর রুটে এক জোড়া করে বিশেষ ট্রেন চলাচল করবে। আর শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল (৫-৬) চলাচল করবে ভৈরববাজার-কিশোরগঞ্জ রুটে। আর ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জে চলবে শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল (৭-৮)।

কোরবানি পশু পরিবহনের জন্য ক্যাটেল স্পেশাল-১ দেওয়ানগঞ্জ থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছাড়বে আগামী ২ জুন বিকেল ৫টায়। ৩ জুনও আরেকটি স্পেশাল ট্রেন এই রুটে চলাচল করবে। আর ক্যাটেল স্পেশাল-২ ইসলামপুর বাজার থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে ২ জুন বেলা ৩টা ৪০ মিনিটে।

এদিকে ঈদের অগ্রিম টিকিট বিক্রির প্রথম দিন হচ্ছে ২১ মে। ওই দিন ৩১ মের ট্রেনগুলোর টিকিট বিক্রি করা হবে। পরদিন ২২ মে বিক্রি হবে ১ জুনের টিকিট। ২৩ মে বিক্রি করা হবে ২ জুনের। ৩ জুনের টিকিট সংগ্রহ করা যাবে ২৪ মে। ২৫ মে ৪ জুনের টিকিট ছাড়া হবে। ২৬ মে ও ২৭ মে দেওয়া হবে যথাক্রমে ৫ ও ৬ জুনের টিকিট।

গতবারের মতো এবারও যাত্রীদের টিকিট ক্রয়প্রক্রিয়া সহজ করতে পশ্চিমাঞ্চলে চলাচলরত আন্তনগর ট্রেনের টিকিট সকাল ৮টা থেকে এবং পূর্বাঞ্চলের টিকিট বেলা ২টা থেকে ইস্যু করা হবে। একজন যাত্রী ঈদে অগ্রিম ও ফেরত যাত্রায় সর্বোচ্চ ১ বার করে সর্বোচ্চ চারটি টিকিট কিনতে পারবেন। তবে ঈদের অগ্রিম ও ফেরত যাত্রার টিকিট রিফান্ড করা যাবে না।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র জন য র লওয়

এছাড়াও পড়ুন:

মাসদাইরে মশক নিধনে বিএনপি নেতারা

ফতুল্লার পশ্চিম মাসদাইর এলাকায় মশক নিধনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দেখা না গেলেও বিএনপি নেতারা মাঠে নেমেছেন। সোমবার সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত এলাকার বিভিন্ন স্থানে ফগার মেশিন দিয়ে মশা মারার ওষধ দেয়া হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, এলাকায় ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বাররা থাকলেও তারা মশক নিধনে কোন রকম ভূমিকা রাখেনি। এতে করে মশার উৎপাত যেমন বেড়েছে তেমনি ঘরে ঘরে জ¦র, ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। 

ইতিমধ্যে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বেশ কয়েকজন। গতকাল মশক নিধনে বিএনপি নেতারা এগিয়ে আসায় স্থানীয়রা তাদের সাধুবাদ জানিয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যা থেকে মশক নিধন কর্মসূচী শুরু হয়। 

বেশ রাত পর্যন্ত এলাকার প্রধান সড়ক, শাখা রাস্তা, বিভিন্ন বাড়ির রাস্তা-গলি, জলাশয়ে ওষধ দেয়া হয়। 

এ সময়ে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি, জেলা মহিলা দলের সহ সভাপতি রোজিনা মেম্বার, এনায়েতনগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এডভোকেট মাহমুদুল হক আলমগীর, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব ইয়াসিন আরাফাত সহ অনেকে ।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ