ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু ২১ মে, বিশেষ ট্রেন চলবে ৫ জোড়া
Published: 5th, May 2025 GMT
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হচ্ছে ২১ মে থেকে। ওই দিন ৩১ মের ট্রেনের টিকিট বিক্রি করা হবে। আর ফিরতি যাত্রার টিকিট বিক্রি শুরু হবে ৩০ মে থেকে। এবারের ঈদ যাত্রায় ঘরে ফেরা মানুষের জন্য পাঁচ জোড়া বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে রেলওয়ে। এর মধ্যে কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় দেশের সবচেয়ে বড় ঈদ জামাতে অংশ নিতে মুসল্লিদের জন্য দুই জোড়া ট্রেন রাখা হয়েছে। এ ছাড়া কোরবানি পশু পরিবহনের জন্য তিনটি বিশেষ ট্রেন চলাচল করবে দুটি রুটে।
রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের উপপ্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (ডেপুটি সিওপিএস) তারেক মুহম্মদ ইমরান। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৭ বা ৮ জুন দেশে পবিত্র ঈদুল আজহা পালিত হওয়ার কথা রয়েছে।
রেলওয়ের তথ্য অনুযায়ী, এবারের ঈদুল আজহায় চট্টগ্রাম-চাঁদপুর রুটে এক জোড়া, ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ রুটে এক জোড়া, জয়দেবপুর-পার্বতীপুর রুটে এক জোড়া করে বিশেষ ট্রেন চলাচল করবে। আর শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল (৫-৬) চলাচল করবে ভৈরববাজার-কিশোরগঞ্জ রুটে। আর ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জে চলবে শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল (৭-৮)।
কোরবানি পশু পরিবহনের জন্য ক্যাটেল স্পেশাল-১ দেওয়ানগঞ্জ থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছাড়বে আগামী ২ জুন বিকেল ৫টায়। ৩ জুনও আরেকটি স্পেশাল ট্রেন এই রুটে চলাচল করবে। আর ক্যাটেল স্পেশাল-২ ইসলামপুর বাজার থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে ২ জুন বেলা ৩টা ৪০ মিনিটে।
এদিকে ঈদের অগ্রিম টিকিট বিক্রির প্রথম দিন হচ্ছে ২১ মে। ওই দিন ৩১ মের ট্রেনগুলোর টিকিট বিক্রি করা হবে। পরদিন ২২ মে বিক্রি হবে ১ জুনের টিকিট। ২৩ মে বিক্রি করা হবে ২ জুনের। ৩ জুনের টিকিট সংগ্রহ করা যাবে ২৪ মে। ২৫ মে ৪ জুনের টিকিট ছাড়া হবে। ২৬ মে ও ২৭ মে দেওয়া হবে যথাক্রমে ৫ ও ৬ জুনের টিকিট।
গতবারের মতো এবারও যাত্রীদের টিকিট ক্রয়প্রক্রিয়া সহজ করতে পশ্চিমাঞ্চলে চলাচলরত আন্তনগর ট্রেনের টিকিট সকাল ৮টা থেকে এবং পূর্বাঞ্চলের টিকিট বেলা ২টা থেকে ইস্যু করা হবে। একজন যাত্রী ঈদে অগ্রিম ও ফেরত যাত্রায় সর্বোচ্চ ১ বার করে সর্বোচ্চ চারটি টিকিট কিনতে পারবেন। তবে ঈদের অগ্রিম ও ফেরত যাত্রার টিকিট রিফান্ড করা যাবে না।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
কর্মস্থলে নেই শরীয়তপুরের ডিসি
নারী কেলেঙ্কারির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর কর্মস্থল ছেড়েছেন শরীয়তপুরের ডিসি মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিন। শুক্রবার থেকে তিনি শরীয়তপুর জেলায় নেই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. মাসুদুল আলম সমকালকে বলেন, ‘শুক্রবার বিকাল থেকে তিনি শরীয়তপুর জেলায় নেই। কোথায় গেছেন জানি না।’
ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসকের দায়িত্ব কাকে দেওয়া হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে এডিসি (সার্বিক) বলতে পারবেন। তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন।’
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আসলাম হোসাইন বলেন, ‘শুক্রবার বিকেলে তিনি অফিস শেষে বাসায় ফিরেছেন। তবে এখন শরীয়তপুরে নেই। তাঁর বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই।’
এ বিষয়ে জানতে জেলা প্রশাসকের সরকারি মুঠোফোন নম্বর ও হোয়াটসঅ্যাপে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।
শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিনের সঙ্গে এক নারীর অন্তরঙ্গ মুহূর্তের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর প্রশাসন এবং সাধারণ মানুষের মাঝে প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
প্রকাশিত ভিডিওতে জেলা প্রশাসককে এক নারীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখা যায়। টেলিগ্রামে ছড়িয়ে পড়া ৫৭ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ক্লিপে দেখা যায়, ডিসি আশরাফ উদ্দিন ওই নারীকে কোলে তুলে নিয়ে চুম্বন করেন। এছাড়া ভিডিও কলের মাধ্যমে অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগও এসেছে ওই নারীর পক্ষ থেকে।
ভুক্তভোগী নারী গণমাধ্যমকে জানান, জেলা প্রশাসক তাঁকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সম্পর্ক গড়ে তোলেন এবং তাঁর দাম্পত্য জীবন নষ্ট করেন। তার অভিযোগ, ‘তিনি আমার স্বামীর সঙ্গে ডিভোর্স করিয়ে সম্পর্ক গড়েন। এখন বিয়ের কথা অস্বীকার করে হুমকি দিচ্ছেন।’
জেলা প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ‘ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর বৃহস্পতিবার রাতে ডিসি শরীয়তপুর ত্যাগ করেন বলে শুনেছি।’
প্রবাসী সাংবাদিক জাওয়াদ নির্ঝর সামাজিক মাধ্যমে ভিডিওটি প্রকাশ করেন। ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘ডিসি নিজেই এই ছবি ও ভিডিও তুলেছেন। ওই নারীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে পরে তা অস্বীকার করেন।’
এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক ইমরান আল নাজির বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা দুঃখজনক। একজন জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে এমন আচরণ কাম্য নয়। এই ভিডিওতে জেলার সম্মান প্রশ্নের মুখে পড়েছে।’
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিন ২৭তম বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারে উত্তীর্ণ হয়ে ২০২৪ সালের ৩ নভেম্বর শরীয়তপুরে যোগদান করেন। এর আগে তিনি নিউরো-ডেভেলপমেন্ট প্রতিবন্ধী ট্রাস্টের পরিচালক ছিলেন।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো তদন্ত কমিটি গঠিত হয়নি। তবে প্রশাসনের উচ্চমহলে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে বলে সূত্র জানিয়েছে।