কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর গাইবান্ধা আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা খান মো. সাঈদ হোসেন জসিমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (৫ মে) সকাল ১১টার দিকে গাইবান্ধা জেলা কারাগারের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

গাইবান্দা সদর থানার ‎ওসি শাহিনুর ইসলাম তালুকদার জানান, গোবিন্দগঞ্জের একটি নাশকতার মামলায় জেল গেটের সামনে থেকে আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা জসিমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে গোবিন্দগঞ্জ থানায় পাঠানো হয়েছে।  

গ্রেপ্তার খান মো.

সাঈদ হোসেন জসিম গাইবান্ধা পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি পেশায় ঠিকাদার। জসিম  গাইবান্ধা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সহ-সভাপতি ছিলেন। তিনি পৌর শহরের হকার্স মার্কেট এলাকার মহুরি পাড়ার (বিহারি পট্টি) মতিন মিয়ার ছেলে।

আরো পড়ুন:

শিবচরে নদীতে নিখোঁজ তরুণীর মরদেহ উদ্ধার

ঝিনাইদহে মাদক মামলায় গ্রেপ্তার দম্পতি আদালতে

গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত আবু ইকবাল পাশা বলেন, ‍“২০১৪ সালে গোবিন্দগঞ্জে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিলে হামলা, ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় গত মাসের ১৯ এপ্রিল দরবস্ত ইউনিয়নের জামায়াত কর্মী আজাদুল ইসলাম ১২১ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করেন। সেই মামলার আসামি খান মো. সাঈদ হোসেন জসিমকে গ্রেপ্তার করা হয়। আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল।” 

জেল গেটে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারের সময় জসিম নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। তিনি বলেন, “তিন মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাভোগের পর উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়েছি। আমার বিরুদ্ধে আর কোনো মামলা নেই। আমি পেশায় ব্যবসায়ী। রাজনীতি আমার পেশা নয়।” পুলিশ কেন গ্রেপ্তার করছে, জানতে চান তিনি। 

গত বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে পৌর শহরের পুরাতন বাজার এলাকার একোয়েস্টেট পাড়ার আরেক আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তাক আহমেদ রঞ্জুর বাসা থেকে খান মো. সাঈদ হোসেন জসিমকে গ্রেপ্তার করে যৌথবাহিনী। 

খান মো. সাঈদ হোসেন জসিম জেলা বিএনপি ও যুবদলের অফিস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় গেল বছরের ২৬ আগস্ট সদর থানায় দায়ের হওয়া বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের দুটি মামলার এজাহার ভুক্ত আসামি। এছাড়া পলাশবাড়ী  উপজেলায় যুবদলের কর্মী সভায় হামলা ও হত্যাচেষ্টার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার এজাহার ভুক্ত আসামি তিনি।

ঢাকা/মাসুম/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আওয় ম ল গ গ র প ত র কর গ ব ন দগঞ জ স ঈদ হ আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

পর্যটকে পরিপূর্ণ কুয়াকাটা

দুর্গাপূজা ও সাপ্তাহিক ছুটির তৃতীয় দিন শুক্রবার (৩ অক্টোবর) পর্যটকে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে পটুয়াখালীর পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটা। ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ সৈকতের তিন নদীর মোহনা, লেম্বুর বন, শুটকি পল্লী, ঝাউবাগান, গঙ্গামতি, চর গঙ্গামতি ও লাল কাঁকড়ার চড়ে এখন পর্যটকদের সরব উপস্থিতি। তাদের নিরাপত্তায় তৎপর রয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, আগত পর্যটকরা সৈকতের বালিয়াড়িতে উচ্ছ্বাসে মেতেছেন। তাদের অনেকে সমুদ্রের ঢেউয়ে গা ভিজিয়ে এবং ওয়াটর বাইকে চড়ে আনন্দ করছেন। অনেকে আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করছেন। পর্যটকদের কেউ কেউ মোটরসাইকেল কিংবা ঘোড়ায় চরে বিভিন্ন পর্যটন স্পট ঘুরে দেখছিলেন। সব মিলিয়ে সৈকতের উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। 

আরো পড়ুন:

চার দিনের ছুটিতে কক্সবাজার রুটে চলবে ‘ট্যুরিস্ট স্পেশাল’ ট্রেন

১ অক্টোবর থেকেই কেওক্রাডং যেতে পারবেন পর্যটকরা, মানতে হবে ৬ নির্দেশনা

পাবনা থেকে আসা হোসেন শহীদ ও সোনিয়া দম্পতি জানান, পূজা ও সরকারি ছুটি থাকায় তারা কুয়াকাটায় এসেছেন। সমুদ্রের ঢেউ উপভোগ করেছেন তারা। এই দম্পতির অভিযোগ, হোটেল ভাড়া কিছুটা বেশি রাখা হয়েছে।  

বরিশালের কাউনিয়া থেকে আসা সম্রাট বলেন, “কয়েকটি পর্যটন স্পট ঘুরে দেখেছি। বৃহস্পিতবার বিকেলে বৃষ্টির মধ্যে লাল কাকড়ার চড়, গঙ্গামতি ও লেম্বুর বন ঘুরেছি। দারুন এক অনুভূতি হয়েছে।”

কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, “পর্যটকদের নিরপত্তা নিশ্চিতে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। বিভিন্ন পর্যটন স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্য মোতায়েন রয়েছে।”

ঢাকা/ইমরান/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ