দেশে ছোট পোশাক পরি না, বিদেশে গিয়ে পরি: মিম
Published: 6th, May 2025 GMT
শোবিজে কাজ করতে এসেছিলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত স্পেনের নাগরিক মারিয়া মিম। এসে ২০১২ সালে অভিনেতা সিদ্দিকের সঙ্গে বিবাহবন্ধনেও আবদ্ধ হন তিনি। কিন্তু বেশিদিন আর সে সংসার এগোয়নি। এক ২০১৯ সালের শেষের দিকে ডিভোর্স হয় তাদের। এরপর থেকেই সিঙ্গেল এই মডেল ও অভিনেত্রী।
তবে নামের শুরুতে মডেল ও অভিনেত্রী থাকলেও খুব একটা এ সেক্টরে তাকে কাজ করতে দেখা যায় না। বেশি দেখা মেলে বিদেশে ঘুরাঘুরিতে। সোশ্যাল অ্যাকাউন্টগুলোতে নিয়মিত আবেদনময়ী ছবি শেয়ার করেন তিনি। এ নিয়ে নিন্দাও সহ্য করতে হয় তাকে। তবে মারিয়া নিজের ইচ্ছেমতোই চলতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন।
সম্প্রতি সেলিব্রেটিদের নিয়ে আয়োজিত ক্রিকেট টুর্ণামেন্টে অংশ নিয়েছেন এই মডেল। সেখানেই গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানালেন, ওয়েস্টার্ন পোশাক পরতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন তিনি।
মারিয়া মিম বলেন, ‘আমার পোশাক নিয়ে সমালোচনা শুনতে হয়। কিন্তু আমি তো দেশে ছোট পোশাক পরি না, বিদেশে পরি। কারণ আমি বেড়ে উঠেছি বার্সেলোনায়। সে কারণে ওয়েস্টার্ন পোশাক পছন্দ করি। এ ধরণের পোশাকে আমাকে ভালোও লাগে।’
এই মডেল বলেন, ‘বলিউডের কেউ ছোট পোশাক পরলে তখন প্রশংসা করা হয়, কিন্তু আমরা ছোট পোশাক পরলে সেটা ভালো লাগছে না। আমি মনে করি, মানুষের মেন্টালিটি পরিবর্তন করা উচিত। কারণ মিডিয়াতে কাজ করতে হলে তো গ্ল্যামারাস থাকতে হবে, সুন্দর ড্রেস পরতে হবে।’
ছোট পোশাক তারাই পরবে যাদের মানায়, সুন্দর লাগবে। যারা ফিট না, তারা যদি ছোট পোশাক পরে বা ওয়েস্টার্ন ড্রেস পরে সেটা দেখতে খারাপ লাগবে— যোগ করেন মারিয়া মিম।
এসময় প্রাক্তন স্বামী অভিনেতা সিদ্দিকুরের বিষয়েও প্রশ্নের মুখে পড়েন অভিনেত্রী। তবে সিদ্দিককে নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।
কেবল বলেছেন, ‘তার সঙ্গে আমার বিচ্ছেদ হয়েছে ৬-৭ বছর আগে। সে তো আমার স্বামী নন, তাই এই বিষয়ে কিছুই বলতে চাই না।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ছ ট প শ ক পর
এছাড়াও পড়ুন:
হ্যারি কেইনের নজর এবার দ্বিতীয় ট্রফিতে
দীর্ঘ ক্যারিয়ারের ট্রফি-খরা শেষ করে অবশেষে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন হ্যারি কেইন। জার্মান ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখে নিজের দ্বিতীয় মৌসুমেই বুন্দেসলিগা শিরোপা জিতে স্বাদ নিলেন বহু কাঙ্ক্ষিত সাফল্যের। রোববার (৪ মে) বায়ার লেভারকুজেন ও ফ্রাইবুর্গের ম্যাচটি ২-২ গোলে ড্র হওয়ায় আনুষ্ঠানিকভাবে শিরোপা নিশ্চিত হয় বায়ার্ন মিউনিখের।
দুই সপ্তাহ আগেই বুন্দেসলিগায় নিজের প্রথম ৬০ ম্যাচে ৬০ গোল করে রেকর্ড গড়েছেন কেইন। এবার ইতিহাসে নাম লেখাতে চলেছেন তিনি। যদি টানা দুই মৌসুমেই অভিষেক বছরেই হন লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা, তবে তিনিই হবেন প্রথম।
সোমবার এক ভিডিও বার্তায় উচ্ছ্বসিত হ্যারি কেইন বলেন, “গত রাতটা ছিল অসাধারণ। খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফদের সঙ্গে উদযাপনটা ছিল দারুণ উপভোগ্য। আজ সকালে হয়তো সবারই একটু ক্লান্ত লাগছে, কিন্তু আমরা ঠিক আছি!”
আরো পড়ুন:
ইন্টার-বার্সা সেমিফাইনালে ফিরে আসছে ২০১০ সালের স্মৃতি
ব্রাজিলের কোচ হওয়ার ব্যাপারে রিয়ালের সঙ্গে আনচেলত্তির সমঝোতা
“অনুভূতিটা সত্যিই দুর্দান্ত। এই মুহূর্তটির জন্য অনেকদিন অপেক্ষা করেছি। কঠোর পরিশ্রম আর নিষ্ঠার ফল এটা—আমার ক্যারিয়ারের প্রথম ট্রফি বলে এর স্বাদ আরও বেশি মধুর।”
“সমর্থকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। আপনাদের ভালোবাসা ও সমর্থন সবসময় আমার চোখে পড়ে, হারিয়ে যায় না। এখন অপেক্ষায় আছি শনিবার (১০ মে) অ্যালিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ভক্তদের সামনে উদযাপন করার। তারপর, চোখ থাকবে পরের ট্রফির দিকে—আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য ‘ট্রফি নাম্বার টু’।”
টটেনহ্যাম হটস্পার ছাড়ার পর থেকেই গোলের বন্যা বইয়ে দিচ্ছেন কেইন। ক্লাব ও দেশের হয়ে এরই মধ্যে ৪০০-এর বেশি গোল করে ফেলেছেন তিনি। বর্তমানে তিনি ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ গোলদাতা, আর প্রিমিয়ার লিগ ইতিহাসে আছেন দ্বিতীয় স্থানে, কেবল অ্যালান শিয়ারার এগিয়ে রয়েছেন তার চেয়ে।
ঢাকা/আমিনুল