গুম–নির্যাতনসহ বিভিন্ন অভিযোগে বিচারের মুখোমুখি করতে সেনাবাহিনীর ১৫ কর্মকর্তাকে আদালতে হাজির করার বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে লন্ডনভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। এই কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিগত সরকারের আমলে এসব অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ করা হচ্ছে।

আজ বুধবার অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল দক্ষিণ এশিয়ার ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে বলা হয়, বাংলাদেশে গুমের ঘটনায় সামরিক বাহিনীর সদস্যদের আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযুক্ত করার এটিই প্রথম উদাহরণ। ভুক্তভোগীদের জন্য জবাবদিহি ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার পথে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

এই বিচারিক প্রক্রিয়াজুড়ে আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের মানদণ্ড পুরোপুরি মেনে চলার ওপর জোর দিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। এর মধ্যে রয়েছে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া ও সুষ্ঠু বিচারের নিশ্চয়তা বিধান করা, বিচার কার্যক্রম বেসামরিক আদালতে পরিচালনা করা এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের বাধ্যবাধকতা অনুসারে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া থেকে বিরত থাকা।

মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক তিন মামলায় সাবেক-বর্তমান ২৫ সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৩২ আসামির বিরুদ্ধে সম্প্রতি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। তাঁদের মধ্যে কর্মরত ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে আজ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।

আরও পড়ুন১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ ট্রাইব্যুনালের১৩ ঘণ্টা আগে

এ ছাড়া ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক-বর্তমান ১০ সেনা কর্মকর্তাসহ ১৭ আসামিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেন বিচারপতি মো.

গোলাম মর্তুজা মজুমদার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১।

মামলা তিনটির মধ্যে দুটি বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে গুম-নির্যাতনের মাধ্যমে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনার। অন্যটি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর রামপুরা ও বনশ্রী এলাকায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায়।

আরও পড়ুনসাবেক-বর্তমান ১০ সেনা কর্মকর্তাসহ ১৭ আসামিকে হাজির হতে সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ৮ ঘণ্টা আগে

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: কর মকর ত ক অ য মন স ট অপর ধ

এছাড়াও পড়ুন:

দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাখ্যান বাউফল উপজেলা বিএনপির একাংশের, বিক্ষোভ মিছিল

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা বিএনপি জরুরি সভা করে পটুয়াখালী-২ (বাউফল) আসনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাখ্যানের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে। সভা থেকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহদপ্তর সম্পাদক মু. মুনির হোসেনকে দলীয় প্রার্থী করারও দাবি জানানো হয়।

আজ রোববার সন্ধ্যায় বাউফল পৌর শহরের হাসাপাতাল সড়কের উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ে এ সভা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবদুল জব্বার মৃধা। এ সময় উপজেলা, পৌরসভা, ১৫টি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের কমিটির নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় মনোনয়ন পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়ে আরও বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব আপেল মাহমুদ, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাসুম বিল্লাহ, উপজেলা যুবদলের সাবেক সদস্যসচিব বশির পঞ্চায়েত, বাউফল পৌরসভা যুবদলের সদস্যসচিব মামুন খান, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক আহ্বায়ক খলিলুর রহমান, সাবেক সদস্যসচিব নাইম সিকদার তারেক, উপজেলা মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক লিটন খান, তাঁতী দলের আহ্বায়ক জামাল মুন্সী, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মুনঈমূল ইসলাম, সাবেক সদস্যসচিব মিজানুর রহমান প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, শহিদুল আলম তালুকদার বিগত ১৭ বছর কোনো আন্দোলন–সংগ্রামে ছিলেন না। তিনি দুর্দিনে কোনো নেতা–কর্মীর খোঁজখবর নেননি। তাঁর মতো একজনকে তাঁরা কোনোভাবেই মেনে নেবেন না।

পরে নেতা-কর্মীরা মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি পৌর শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দলীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

গত বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ৩৬টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেন। এই ৩৬ আসনের মধ্যে পটুয়াখালী-২ (বাউফল) আসনে সাবেক সংসদ সদস্য শহিদুল আলম তালুকদারের নাম ঘোষণা করা হয়।

শহিদুল আলম জাতীয় পার্টি থেকে ১৯৯৬ সালে বিএনপিতে যোগ দেন। বিএনপির মনোনয়নে ২০০১ সালে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালে বিএনপির মনোনয়ন পেলেও মামলাসংক্রান্ত জটিলতার কারণে অংশ নিতে পারেননি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ