গাজা ভূখণ্ডে যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তির আলোচনায় আর কোনো আগ্রহ নেই বলে জানিয়েছে হামাস। গাজায় ইসরায়েলের স্থল অভিযান বাড়ানো এবং এলাকাটি অনির্দিষ্টকালের জন্য দখলে রাখার ঘোষণার পর এই মন্তব্য করেন হামাসের শীর্ষ নেতা বাসেম নাইম।

বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নাইম বলেন, “ইসরায়েল যখন ‘অনাহার যুদ্ধ’ চালিয়ে যাচ্ছে, তখন নতুন কোনো প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা অর্থহীন।”

ইসরায়েল জানিয়েছে, তাদের মূল লক্ষ্য হলো হামাসের হাতে থাকা জিম্মিদের ফিরিয়ে আনা এবং সংগঠনটিকে সম্পূর্ণরূপে পরাজিত ও বিলুপ্ত করা।

সোমবার এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা গাজার ২১ লাখের বেশি মানুষকে স্থানচ্যুত করে পুরো ভূখণ্ড দখল করে নিতে চায় এবং মানবিক সহায়তা কেবলমাত্র সামরিক ঘাঁটি থেকে বেসরকারি কোম্পানির মাধ্যমে বিতরণের পরিকল্পনা করেছে।

তারা আরও জানিয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সফর শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই অভিযান শুরু হবে না, ফলে হামাসের জন্য একটি সুযোগের জানালা খোলা থাকছে বলে উল্লেখ করেছে ইসরায়েল।

ইসরায়েলের এই পরিকল্পনার কড়া সমালোচনা করেছে ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জাতিসংঘ। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে অসংখ্য বেসামরিক মানুষ নিহত হবে এবং গাজার আরও ধ্বংস হবে।

এছাড়া, ইসরায়েলের প্রস্তাব অনুযায়ী সামরিক কেন্দ্র থেকে বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে মানবিক সহায়তা বিতরণের বিষয়টি জাতিসংঘ ও এর সহযোগী সংস্থাগুলো মানবিক নীতিমালার লঙ্ঘন হিসেবে আখ্যা দিয়েছে এবং এতে সহযোগিতা না করার ঘোষণা দিয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইসর য় ল

এছাড়াও পড়ুন:

মাসদাইরে মশক নিধনে বিএনপি নেতারা

ফতুল্লার পশ্চিম মাসদাইর এলাকায় মশক নিধনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দেখা না গেলেও বিএনপি নেতারা মাঠে নেমেছেন। সোমবার সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত এলাকার বিভিন্ন স্থানে ফগার মেশিন দিয়ে মশা মারার ওষধ দেয়া হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, এলাকায় ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বাররা থাকলেও তারা মশক নিধনে কোন রকম ভূমিকা রাখেনি। এতে করে মশার উৎপাত যেমন বেড়েছে তেমনি ঘরে ঘরে জ¦র, ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। 

ইতিমধ্যে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বেশ কয়েকজন। গতকাল মশক নিধনে বিএনপি নেতারা এগিয়ে আসায় স্থানীয়রা তাদের সাধুবাদ জানিয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যা থেকে মশক নিধন কর্মসূচী শুরু হয়। 

বেশ রাত পর্যন্ত এলাকার প্রধান সড়ক, শাখা রাস্তা, বিভিন্ন বাড়ির রাস্তা-গলি, জলাশয়ে ওষধ দেয়া হয়। 

এ সময়ে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি, জেলা মহিলা দলের সহ সভাপতি রোজিনা মেম্বার, এনায়েতনগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এডভোকেট মাহমুদুল হক আলমগীর, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব ইয়াসিন আরাফাত সহ অনেকে ।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ