এক ম্যাচে ১০ জন রিটায়ার্ড আউট, ১৫ জন ফিরলেন শূন্য রানে—ঘটনাটা আন্তর্জাতিক ম্যাচের
Published: 10th, May 2025 GMT
থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে চলছে মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের এশিয়া অঞ্চলের খেলা। সেখানেই আজ অদ্ভুত ঘটনার জন্ম দিল সংযুক্ত আরব আমিরাত নারী দল। কাতারের বিপক্ষে প্রথম ব্যাটিং নিয়ে ১৬ ওভারেই বিনা উইকেটে ১৯২ রান তুলে ফেলে দলটি। ‘যথেষ্ট হয়েছে, আর নয়’—এই মনে করেই কিনা এরপর দলটির দুই ওপেনার অধিনায়ক এশা ওজা ও তীর্থা সতীশ রিটায়ার্ড আউট (ইচ্ছে করে ফেরত যাওয়া) হয়ে ফেরেন ড্রেসিংরুমে।
এরপর দলটি যা করল, সেটিই ম্যাচটিকে ইতিহাস বানিয়েছে। টি-টোয়েন্টিতে তো আর ইনিংস ঘোষণা করার নিয়ম নেই, তাই দলটি জানিয়ে দেয় তাদের পরের ৮ ব্যাটসম্যানও রিটায়ার্ড আউট। এক ইনিংসে ১১ জন আউট হওয়ার নিয়ম নেই, তাই দলটির ১১ নম্বর ব্যাটারের নামের পাশে অপরাজিত শূন্য লেখে স্কোর কার্ডে।
এই ম্যাচের আগে নারী-পুরুষ মিলিয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এক ইনিংসে কোনো দল দুজনের বেশি ব্যাটার বা ব্যাটসম্যানকে রিটায়ার্ড আউট করায়নি। মেয়েদের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এর আগে এমন আউট ছিল ১২টি। আজ একঝটকায় সেটি প্রায় দ্বিগুণ (২২) হয়ে গেল।
মেয়েদের আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে রেকর্ড চতুর্থ সেঞ্চুরি করেছেন আমিরাত অধিনায়ক এশা ওজা.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র ট য় র ড আউট
এছাড়াও পড়ুন:
মাদকাসক্তদের বিরুদ্ধে ফেসবুকে পোস্ট, কলেজছাত্রীর ঘরে আগুন
মাদকসেবীদের উৎপাতে অতিষ্ঠ হয়ে ফেসবুকে মাদকবিরোধী পোস্ট দেওয়ায় কলেজছাত্রীর ঘরে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আগুনে কলেজছাত্রীর বসতঘরের একাংশ ও মালপত্র পুড়ে গেছে। গত সোমবার গভীর রাতে সুনামগঞ্জ শহরতলির লক্ষ্মণশ্রী গুচ্ছগ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
ভুক্তভোগী ছাত্রী সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তাঁর বাবা সুনামগঞ্জ শহরের ওয়েজখালীর একটি কাপড়ের দোকানের কর্মচারী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আগুন দেওয়ার আগের দিন মাদকাসক্ত অবস্থায় ওই কলেজছাত্রীর ঘরের সামনে এসে অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও হুমকি দেয় একই গ্রামের মেহেদী হাসান নামের এক যুবক। এরপর প্রতিবাদ জানিয়ে সহায়তা চাইতে ফেসবুকে একটি গ্রুপে পোস্ট দেন কলেজছাত্রী। পোস্ট দেওয়ার পর ওইদিন রাতেই হঠাৎ তারা দেখতে পান, তাদের ঘরে আগুন জ্বলছে। ভুক্তভোগী পরিবারের চিৎকার শুনে গ্রামের বাসিন্দারা এগিয়ে আসেন। তারা পানি দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। ততক্ষণে ঘরের বাইরের অংশসহ টিন ও মালপত্র পুড়ে যায়।
ওই কলেজছাত্রীর পরিবারের দাবি, রাতের বেলায় ডিজেল বা পেট্রোল জাতীয় কোনো দাহ্য পদার্থ ছিটিয়ে তাদের ঘরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
ভুক্তভোগী কলেজছাত্রীর ভাষ্য, গ্রামের মাদকসেবীদের অত্যাচারে তারা অতিষ্ঠ। ফেসবুক গ্রুপ সুনামগঞ্জ হেল্পলাইনে তাদের গ্রামের মাদকসেবীদের নিয়ে একটি পোস্ট দিয়েছিলেন তিনি। এরপর থেকেই তাদের নানাভাবে বিরক্ত করছে ও তাঁর পরিবারকে হুমকি দিচ্ছে একই
গ্রামের নুর হোসেনের ছেলে মেহেদী হাসান। সে এলাকায় মাদকসেবী হিসেবে পরিচিত। তার ভয়ে কেউ কথা
বলতে চায় না। ওই কলেজছাত্রী বলেন, তাদের সন্দেহ মেহেদী হাসান তাদের ঘরে আগুন দিয়েছে। এ ঘটনায় তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
ভুক্তভোগীর বাবা বলেন, মেহেদী গতকাল বিকেলে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে গ্রামের একদিক থেকে অন্যদিকে প্রকাশ্যে ঘুরেছে ও মানুষকে গালাগাল করেছে। ভয়ে কেউই তাকে কিছু বলতে চায় না।
অভিযোগ ওঠা মেহেদী হাসানের বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তার বোন ফারজানা জান্নাত বলেন, তাঁর ভাই ওই কলেজছাত্রীর বাড়িতে আগুন লাগায়নি। আগুন লাগানোর ব্যাপারে তারা কিছুই জানেন না। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ওই কলেজছাত্রীর পরিবারের সঙ্গে তাদের ঝামেলা হয়েছে। এ কারণে আগুনের ঘটনায় তাদের ওপর মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।’
সুনামগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল কালাম বলেন, খবর পেয়ে ওই কলেজছাত্রীর বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। পুলিশ গিয়ে জানতে পেরেছে ওই কলেজছাত্রীর পরিবার ও মেহেদী হাসানের পরিবারের মধ্যে পূর্ববিরোধ ছিল। এ ঘটনায় মামলা হলে পুলিশ আরও তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।