রাবি ছাত্রলীগ কর্মীকে তুলে নিয়ে পুলিশে দিল ছাত্রদল
Published: 13th, May 2025 GMT
নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখার এক কর্মীকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। সোমবার রাত ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে থেকে স্থানীয় ছাত্রদল ও যুবদলের নেতাকর্মীরা তাকে তুলে নিয়ে রাজশাহী নগরীর মতিহার থানায় হস্তান্তর করেন।
ছাত্রলীগের ওই কর্মীর নাম অরিত্র। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী এবং নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের রাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল গালিবের অনুসারী ছিলেন। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর তিনি ক্যাম্পাস ছাড়েন। সম্প্রতি রাজশাহী আসলেও ক্লাসে অংশগ্রহণ করেননি। কিন্তু রাতে ক্যাম্পাসে প্রবেশের সময় তাকে আগে থেকে অনুসরণ করে তুলে নিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে ছাত্রদল যুবদলের নেতাকর্মীরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মালেক বলেন, ‘রাবির প্রধান ফটকের সামনে থেকে অরিত্র নামের এক ছাত্রকে ছাত্রলীগ সন্দেহে তুলে থানায় সোপর্দ করেছে ছাত্রদল-যুবদলের নেতাকর্মীরা। আমরা উভয়পক্ষের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা এবং পরিচয় যাচাই-বাছাইয়ের কাজ করছি। এখন দুই পক্ষই থানায় রয়েছে।’
উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মো.
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমরা সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে নিশ্চিত হয়েছি একটা ছেলেকে তুলে নিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। ওই ছেলে ছাত্রলীগের রাজনীতি করতো। তার পরিবারও আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এখন সে থানায় আছে।’
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ছ ত রদল র জন ত ত কর ম কর ম র
এছাড়াও পড়ুন:
নিখোঁজের ১২ দিন পর উদ্ধার ভ্যানচালকের মাটিচাপা লাশ
মাদারীপুরের শিবচরে নিখোঁজের ১২ দিন পর মিজান শেখ (৪৫) নামের এক ভ্যানচালকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার ভোরে উপজেলার মাদবরেরচর ইউনিয়নের বাখরেরকান্দি এলাকা থেকে মাটিচাপা দেওয়া অবস্থায় লাশটি পাওয়া যায়। ভ্যান ছিনতাই করতেই এ হত্যাকাণ্ড বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।
মিজান উপজেলার পাঁচ্চর ইউনিয়নের পশ্চিম বালাকান্দি এলাকার বাসিন্দা। ৩১ জুলাই ভ্যান নিয়ে বের হয়ে তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে নুরুল আমিন নামের এক ব্যক্তিকে কুষ্টিয়ার কুমারখালী থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তিনি শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার নাওডোবা এলাকার বাসিন্দা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মিজান নিখোঁজ হওয়ার পর তাঁর স্ত্রী রহিমা বেগম বাদী হয়ে ১ আগস্ট শিবচর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরে তাঁকে উদ্ধারে নামে শিবচর থানা-পুলিশ। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে নুরুল আমিনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শিবচরের বাখরেরকান্দি এলাকায় এক ব্যক্তির বাড়ির ভেতর থেকে মাটিচাপা অবস্থায় মিজানের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ বিষয়ে মাদারীপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (শিবচর সার্কেল) সালাহ উদ্দিন বলেন, ‘নিখোঁজের পর থেকেই আমরা অভিযানে নামি। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনার সঙ্গে জড়িত নুরুল আমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর দেওয়া তথ্যে নিখোঁজ ব্যক্তির মরদেহ মাটিচাপা দেওয়া অবস্থায় উদ্ধার করি। মূলত ভ্যান ছিনতাই করতেই এ হত্যাকাণ্ড বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’