নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখার এক কর্মীকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। সোমবার রাত ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে থেকে স্থানীয় ছাত্রদল ও যুবদলের নেতাকর্মীরা তাকে তুলে নিয়ে রাজশাহী নগরীর মতিহার থানায় হস্তান্তর করেন।

ছাত্রলীগের ওই কর্মীর নাম অরিত্র। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী এবং নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের রাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল গালিবের অনুসারী ছিলেন। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর তিনি ক্যাম্পাস ছাড়েন। সম্প্রতি রাজশাহী আসলেও ক্লাসে অংশগ্রহণ করেননি। কিন্তু রাতে ক্যাম্পাসে প্রবেশের সময় তাকে আগে থেকে অনুসরণ করে তুলে নিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে ছাত্রদল যুবদলের নেতাকর্মীরা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মালেক বলেন, ‌‘রাবির প্রধান ফটকের সামনে থেকে অরিত্র নামের এক ছাত্রকে ছাত্রলীগ সন্দেহে তুলে থানায় সোপর্দ করেছে ছাত্রদল-যুবদলের নেতাকর্মীরা। আমরা উভয়পক্ষের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা এবং পরিচয় যাচাই-বাছাইয়ের কাজ করছি। এখন দুই পক্ষই থানায় রয়েছে।’

উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মো.

শাহিদুল আলম বলেন, ‘আমাদের একজন ছাত্রকে পুলিশে সোপর্দ করার খবর শুনেছি। কিন্তু পরিচয় এখনো জানতে পারিনি। ওই ছাত্র কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত কিনা আমি জানি না। বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বললে জানতে পারবো।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমরা সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে নিশ্চিত হয়েছি একটা ছেলেকে তুলে নিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। ওই ছেলে ছাত্রলীগের রাজনীতি করতো। তার পরিবারও আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এখন সে থানায় আছে।’
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ছ ত রদল র জন ত ত কর ম কর ম র

এছাড়াও পড়ুন:

আজ মুক্তি পাচ্ছে নতুন দুই সিনেমা, হলে আছে আরও ৭ সিনেমা

কুয়াকাটায় একদল ব্যাচেলর
করোনার সময় দীর্ঘদিন ঘরবন্দী ছিল মানুষ। বিধিনিষেধ শিথিল করা হলে কুয়াকাটায় ঘুরতে যায় একদল ব্যাচেলর। সেখানে নারীদের একটি দলের সঙ্গে তাদের দেখা হয়ে যায়। তাদের কেন্দ্র করেই রোমান্টিক, কমেডি ও থ্রিলারের মিশেলে তৈরি হয়েছে নাসিম সাহনিকের ‘ব্যাচেলর ইন ট্রিপ।’

সিনেমাটির শুটিং শুরু হয় ২০২২ সালের শেষ দিকে। প্রথম লটে এক সপ্তাহের মতো শুটিং করার কথা থাকলেও বাজেটের সমস্যায় দুই দিন পর শুটিং টিমকে রেখেই ঢাকায় চলে গেছেন পরিচালক—এমন একটা অভিযোগ সে সময় এনেছিলেন সিনেমার নায়িকা শিরিন শিলা। পরে তিনি আরও জানান, নায়ক-নায়িকাসহ শিল্পীদের থাকা, খাওয়া—সবকিছুতেই অব্যবস্থাপনা ছিল। এতে ইউনিটে অসন্তোষ তৈরি হয়। সে সময় কলাকুশলীরা ধরেই নিয়েছিলেন, এ সিনেমার শুটিং আর হবে না। দ্বন্দ্ব মিটিয়ে পরের বছর শেষ হয় শুটিং। ডাবিং ও পোস্টের কাজ শেষ করতে লেগে যায় আরও এক বছর।

সিনেমায় জুটি হয়েছেন শিরিন শিলা ও কায়েস আরজু। ছবি: কায়েসের সৌজন্যে

সম্পর্কিত নিবন্ধ