সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাকা) প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমদকে আহ্বায়ক করে একটি উপ-কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী তিনদিনের মধ্যে নিরাপত্তা কমিটি তাদের সুপারিশ পেশ করবে। 

একইসঙ্গে রমনা পার্কের ন্যায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য আরেকটি উপ কমিটি গঠন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২০ মে) বিকাল ৩টায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনের কনফারেন্স কক্ষে ‘রমনা পার্কের ন্যায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের উন্নয়ন ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে সুপারিশ প্রণয়ন’ সংক্রান্ত কমিটির সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শাকিলা জেরিন।

আরো পড়ুন:

ডাকসু নির্বাচনে ব্যক্তিতেই আস্থা শিক্ষার্থীদের

ঢাবিতে জুলাই বিপ্লব পরবর্তী দক্ষিণ এশিয়ায় নিরাপত্তা-বিষয়ক সেমিনার

এতে ঢাবি প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদসহ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি), ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, কালী মন্দির কর্তৃপক্ষ ও বাংলা একাডেমির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে জানানো হয়, ঢাবি প্রশাসনের অনুরোধে ইতোমধ্যে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অভিযান চালিয়ে ভাসমান লোক ও ভ্রাম্যমাণ দোকান উচ্ছেদ করা হয়েছে। প্রতিদিনই মাদকবিরোধী অভিযান চলছে। এছাড়া ২৪টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। পর্যাপ্ত আলোর জন্য ৮৫টি বাতি লাগানো হয়েছে। শিগগিরই মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও পুলিশের দুইটি ক্যাম্প স্থাপনের কাজ শুরু হবে। উদ্যানে আনসারের সদস্য বাড়িয়ে ৪০ জন করা হয়েছে।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

নয়া দিল্লিতে পৌঁছেছেন পুতিন

দু’দিনের ভারত সফরে নয়া দিল্লিতে পৌঁছেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাকে স্বাগত জানাতে দিল্লির পালমে ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রোটকল ভেঙে হাজির হয়েছিলেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রানওয়েতে দাঁড়িয়েই করমর্দনের পরে পুতিনকে আলিঙ্গন করে নয়াদিল্লি-মস্কোর মৈত্রীর বার্তা তুলে ধরেন মোদি। খবর এনডিটিভি অনলাইন।

সাধারণ প্রোটোকল অনুযায়ী কোনোবিদেশি রাষ্ট্রনেতা ভারত সফরে গেলে তাকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানাতে হাজির থাকেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী। কখনো বা দায়িত্বপ্রাপ্ত অন্য কোনো মন্ত্রী এই কাজটি করেন।

এনডিটিভি জানিয়েছে, গত বছরের জুলাই মাসে প্রধানমন্ত্রী মোদির মস্কো সফরের সময় রাশিয়ান নেতার আতিথেয়তার প্রতিদানস্বরূপ প্রধানমন্ত্রী তাকে ব্যক্তিগত নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানাবেন। শীর্ষ সম্মেলনটি শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে রাষ্ট্রপতি ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে পুতিনকে স্বাগত জানানো হবে এবং তারপরে ভারতের সর্বোচ্চ পর্যায়ের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের ঐতিহ্যবাহী স্থান হায়দারাবাদ হাউসে বৈঠক শুরু হবে। পুতিন পরে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারক সংস্থার একটি নতুন ভারতভিত্তিক চ্যানেল উদ্বোধন করবেন, ভারতীয় রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সম্মানে আয়োজিত একটি রাষ্ট্রীয় ভোজসভায় যোগ দেবেন। শুক্রবার রাত ৯টার দিকে তিনি ভারত ত্যাগ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

সরকারি সূত্রের মতে, পুতিন ব্যবসায়ীদের একটি বিশাল দল নিয়ে ভ্রমণ করছেন। ভারত তার প্রাচীনতম কৌশলগত অংশীদারদের মধ্যে একটির সাথে বাণিজ্য ঘাটতি উন্নত করার আশা করছে

উভয় পক্ষের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শীর্ষ সম্মেলনে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উপর আলোকপাত করা হবে - প্রতিরক্ষা, জ্বালানি এবং বাণিজ্য। জাহাজ চলাচল, স্বাস্থ্যসেবা, সার এবং সংযোগের ক্ষেত্রে একাধিক চুক্তি এবং সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ